Better Life With Steem || The Diary Game || 20 December.
Hello Everyone |
---|
ইদানীং এত পরিমাণে ঘুম থাকে চোখে,যে রাত্রি ১১টা সাড়ে ১১টার পরে আর জেগে থাকতে পারি না। ভেবেছিলাম গত রাতে একটা পোস্ট করবো কিন্তু ঐ যে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি আমারও জানা নেই।
যাইহোক,গতকালকের সারাদিনের খন্ড খন্ড কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সকাল |
---|
সকাল বেলা ছোট মেয়ের আধো আধো তোতলানো কথায় ঘুম ভেঙেছিল। তার হয়তো ঠান্ডা লাগছিলো, অতএব আমাকে ডেকে ডেকে বলছিল আম্মু থান্না থান্না।। এরপরে তাকে কম্বল মুড়িয়ে পুনরায় ঘুম পারিয়ে দিয়ে আমি উঠে পরি।
ভেবেছিলাম সকালের নাস্তার জন্য খিচুড়ি করবো কিন্তু, মেয়ের আবদারে পাউরুটি দিয়ে ফ্রেন্স টোস্ট ও চা বানিয়ে নেই।।আমার মেয়ে গুলো আমার মতোই চায়ের পোকা হয়েছে, কিন্তু ওদের আমি সব সময় রং চা দেই,দুধ চা থেকে বিরত রাখি।
দুপুর |
---|
এরপরে দুপুরের রান্নার জন্য কিছু বাজার আনতে যাই।এবং বাজার এনে দুপুরের জন্য রান্না বসিয়ে দেই।দুপুরের জন্য গতকাল দেশী মুরগির মাংস রান্না করেছিলাম,যার রেসিপি আমি গত কালই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। এর পাশে বেগুন ভাজি,পোলাও এবং রাতের জন্য সাদা ভাত, পেয়াজ কলি ভাজি করে রেখেছিলাম।
রান্না শেষে মেয়েদের গোসল করিয়ে দেই।হঠাৎই মাথার মধ্যে কেমন যেন লাগছিল অতএব কাজের কাজের আন্টিকে দিয়ে একটু চুলে তেল দিয়ে নেই।আন্টি এত সুন্দর করে মাথা ম্যাসেজ করে তেল দিয়ে দেয় কি আর বলবো।এরপরে আমিও গোসল করে নেই। আর জোহরের নামাজ আদায় করি।
নামাজ শেষে বারান্দায় রোদে বসে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই।এরপরে ছোট মেয়ে খেলার ছলে একাই ঘুমিয়ে পরে।আর আমি একটি পোস্ট লিখতে বসি।
বিকাল |
---|
বিকালের দিকে আম্মু আব্বুকে নিয়ে ডাক্তারের নিকটে যান এবং সাথে আমার বড় মেয়েও যায়। আমি আর আমার ছোট মেয়ে বাসায় থাকি।সন্ধ্যার নাস্তার জন্য ছোট মেয়েকে একটা ডিম সেদ্ধ করে খাইয়ে দেই।এরপরে মেয়েকে নিয়ে একটু খেলা করি এবং গান শুনি।
এরই মধ্যে আম্মু কল দেয় এবং বলে তারা ঘর রঙ করার জন্য রঙ এর দোকানে গিয়েছে এবং আমার বড় মেয়ে বায়না করছে যে তার রুমের জন্য সে ইয়েলো রঙ করবে,তো আমি বললাম কি আর করার ওর রুম টা ওর পছন্দের রঙ করে দিবো।
কিছুক্ষণ পরে আম্মু এবং আমার মেয়ে চলে আসে রং নিয়ে।আর আম্মু আমাদের নাস্তার জন্য চিকেন রোল নিয়ে আসে। আর আম্মু আমাকে আদা চা বানাতে বললেন।
সন্ধ্যা থেকে রাত |
---|
সন্ধ্যার পরে একটু গ্রামে আমার চাচাতো বোনের সাথে কথা বলি।এই সময় আমাদের গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু গ্রামে এই মুহূর্তে প্রচুর শীত তাই আর যাওয়া হয় নি এর জন্য চাচাতো বোন বার বার যাওয়ার জন্য বলছিল।
যাইহোক এরপরে রাতের খাবার খেয়ে নেই, এবং ডিসকোর্ড এ কিছু জরুরি কথা ছিল তাই জয়েন হয়েছিলাম। আর তখন হাসবেন্ড একটি চকলেট গিফট করেন হঠাৎ, বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো।
এরপরে স্টিমিটে কিছু পোস্ট পড়ি এবং কমেন্ট করি আর পোস্ট পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বলতে পারি না।এই ছিল আমার গত কালকের সারা দিনের কার্যক্রম।
আপনার যেহেতু ঘুম চোখ জড়িয়ে যায় এতে বুঝতে হবে যে আপনার হয়তো ঘুমের ঘাটতি রয়েছে। সকালে মেয়ের আধো আধো বুলি শুনে ঘুম থেকে উঠলেন। অতঃপর নাস্তা করে বাজার করে নিয়ে আসলেন। দুপুরে রান্না সেরে খেয়ে নিলেন। সন্ধ্যায় আপনার মা রোল এনেছিল আর আপনি আদা চা বানিয়েছেন। অতঃপর রাতে আপনার হাসবেন্ড আপনাকে সারপ্রাইজ দিয়ে একটি চকলেট গিফট করলো। মুহূর্তটি নিশ্চয় অনেক এনজয় করেছেন। এভাবে সারাদিন সংসারের পিছে ব্যস্ত থেকে সময় কাটিয়ে দিলেন। আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম।ভালো লাগলো পড়ে।
আমি সাধারণত শারীরিক ভাবে অনেকটাই দূর্বল প্রকৃতির, যার জন্য অসুস্থতা আমার লেগেই থাকে।।আর প্রিয় মানুষটার থেকে একটু কেয়ার পেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
চোখে যদি ঘুম আসে তাহলে অবশ্যই ঘুম পড়ে নিতে হবে, ঘুমের জন্য শরীর খারাপ করে থাকে অনেক তাই অবশ্যই ঘুম পড়তে হবে। যাইহোক কালকে রাতে পোস্ট করতে চেয়েছিলেন কিন্তু রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কখন বলতে পারেন না। এবং সকালে আপনার ছোট মেয়ের জন্য ঘুম ভেঙে যায় তাকে ঠান্ডা লাগছিল তাই আপনি তাকে কম্বল দিয়ে আবার ঘুম পরিয়ে আপনি উঠে পড়লেন। এবং আপনি খিচুড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলেন কিন্তু মেয়ের আবদারে পাউরুটি দিয়ে ফ্রেন্স টোস্ট ও চা বানিয়ে দিয়েছিলে। যাইহোক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সারাদিন মেয়েদের মেয়েদের পিছনেই সময় যায় আমার, তাই স্টিমিটের কিছু কাজ যার জন্য রাত জাগতে হয়।কিন্তু ইদানীং চোখে এত ঘুম ভর করে যে চাইলেও জেগে থাকা হচ্ছে না।
আপনার সারাদিনের কার্যকর গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, দুপুরের রান্নার জন্য কিছু বাজার আনতে যান, নাস্তার জন্য চিকেন রোল নিয়ে আসলেন, আমার খুব পছন্দের আমার ছেলেও পছন্দ,, আমি মাঝে মাঝে ছেলেকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলে রিকেন রোল টা বেশি খাওয়া হয়। আর কিটকাট আমার পছন্দের একটা চকলেট।
চিকেন রোল আমারও অনেক পছন্দের। কিন্তু আমার মেয়ে তেমন খেতে পারে না কারণ অনেক ঝাল হয় এই চিকেন রোল গুলো।
বাচচাদের আধো আধো কথা শুনতে খুব ভালো লাগে।শীতের সকালে কিন্তু খিচুড়ি খেতে ভালোই লাগে।যদিও আপনি মেয়ের আবদারে সেটা করতে পারেন নাই।
সব বাচচারাই চা খুব পছন্দ করে।
আমার ছেলেদের দুধ খাওয়াতে গেলে জান বেরিয়ে যেত কিন্তু চা দিলে সুন্দর করে খেয়ে নিতো। তখন আর তাদের বমিও আসতো না কিছুই হতো না।
আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার ছোট মেয়ে দুনিয়ার কোনো কিছুই খেতে চায় না। সব খাবারের প্রতিই তার অনিহা,কিন্তু চা দেখলে সে পাগল হয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমি জানি দুধ চা খাওয়া খারাপ কিন্তু কিছুতেই ছাড়তে পারছি না। রোজ তো দেখছি চিকেন চলছে। মাংসের ঝোল আবার বিকেলে চিকেন রোল। হাসবেন্ড কিছু গিফট করলে ভালো তো লাগবেই, তারওপর সেটা যদি আবার চকলেট হয় তবে তো আর কোনো কথা হবে না। ভালোভাবেই কেটেছে আপনার দিনটা। ভালো থাকবেন, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমারও একই অবস্থা দাদা,অনেক চেষ্টা করছি,দুধ চা খাওয়ার পরিমান টা কমিয়ে দিবো কিন্তু মন মানছে না।আর পার্টনার এর থেকে একটু এমন কেয়ার পেলে সবারই মনে হয় ভালো লাগে।
বিশেষ করে শরীর যদি খারাপ থাকে বা ক্লান্তি থাকে তাহলে ঘুম অনেক পরিমাণ হয়। ঘুমের জন্য কাতর হয়ে যায়। আসলে বড়রা যেদিকে যায় ছোটরা তো একই দিকে একই পথে চলে। মানে আপনি যখন চায়ের পোকা তো আপনার মেয়েও আপনার মত। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের সহজে দুধ চা দেবেন না মাঝের মত একটু রং চা করে দিবেন। দুধ চা অনেক ক্ষতি করে কিন্তু আমরা এটা বুঝি না স্বাদের জন্য দুধ'চা টা গ্রহণ করি। দুপুরবেলা বাজারে গেলেন তারপর রান্না করলেন। বিকেল বেলা ছোট মেয়ের সাথে দুষ্টুমি করলেন। আসলে বাচ্চাদের কথা এবং বাহানা গুলো খুব ভালো লাগে আমার কাছে।
থ্যাংক ইউ আপনার দিনলিপিগুলো আপু আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন ।
ওদের আমি সহজে দুধ চা দেই না, হঠাৎ মাঝে মাঝে দেই।দুধ চা ক্ষতিকর হলেও রং চা কিন্তু আবার উপকারী।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য।
শরীর যদি খারাপ থাকে বা ক্লান্ত হয় তাহলে ঘুমের চাহিদা একটু বেশি থাকে।। আর হ্যাঁ মা যেমন হবে মেয়ে তো তেমনই হবে এটাই তো স্বাভাবিক।।
দুপুরে বাজার করতে গিয়েছিলেন সেখান থেকে এসে রান্না করেছেন।। আজ আপনার আব্বু আপনার আম্মুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেছিল। বিকালে মুহূর্ত ছোট মেয়ের সাথে দুষ্টামি করেছেন সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা দিন পার করেছেন।।
ভাই আপনি তো সেম আমার আম্মুর মতো ডায়লগ দিলেন,আমার আম্মু সব সময় এই কথা বলে আমাকে।
মেয়ের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত টা আমার কাছে অনেক সুন্দর একটা মূহুর্ত মনে হয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য।
একটি মায়ের সবচাইতে আপন হয়ে থাকে তার সন্তান। আর এই সন্তানের সাথে একটি মা সবসময় থাকেন আর এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো আপনার মেয়ের সাথে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে।
মাশাল্লাহ খুব সুন্দর। সকালে চা বিস্কুট দিয়ে শুরু হল আপনার। সবজিগুলো দেখতে বেশ টাটকা ছিল। আমি দেখতে পেলাম চকলেট গিফট পেয়েছেন সাহেবের কাছ থেকে এটা অনেক বড় পাওয়া । ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনলিপি টি শেয়ার করার জন্য।বিষয় অনেক আনন্দের ছিল।
একদম ঠিক বলেছেন আপু,হাসবেন্ড এর থেকে পাওয়া এমন ছোট ছোট গিফ্ট গুলো অনেক বড় বড় উপহারের থেকেও বেশি মূল্যবান মনে হয়।
আমারও খুব ভালো লাগে। যখন করতে হবে কিছু এনে দেয় আমাকে। এক মুঠো বাদাম হলেই বা মন্দ কি। ছোটখাটো জিনিস দিয়ে ও অন্তরে ঢোকা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আসলে শীতের সকালে উঠতে মন চাচ্ছে না । ভালোই তো আপনার ঘুম বেরেগেছে। আপনার ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে । আমাদের তো ঘুম কোথায় হারিয়ে গেছে বলতেই পারিনা ।রাত 2 টার সময় ঘুমাতে যাই আবার সকাল ছয়টায় ওঠতে হয় । আর দিনের বেলা তো কোন রেস্টই পাইনা ।আমরা সকলেই জানি একজন মানুষের প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন ।
আপনি নাস্তা করে বাজার করেছেন, রান্না করেছেন ।আপনার মুরগির রান্না রেসিপিটি ও অনেক সুন্দর ছিল খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে । আমিও আপনার রেসিপি কে দেখে একদিন রান্না করার চেষ্টা করব। ২০ তারিখের দিনলিপি আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
জি আপু সময় মতো ঘুম হওয়া টা ভালো,কিন্তু সারাদিন সংসারের ব্যস্ততার কারণে আমার কাজের জায়গা স্টিমিটে সময় দিতে পারি না এক রাত ছাড়া।
যাইহোক ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য।