Better Life With Steem || The Diary Game || 1st February 2024.
Everyone |
---|
কেমন আছেন আপনারা সকলে? আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের সাথে গত পরশুদিনের সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করবো।
সকাল |
---|
ইদানীং সকালবেলা সাতটা নাগাদ একটু একটু করে রোদ উঠতে শুরু করে । তাই ঘুম থেকে উঠার আলসতা আগের তুলনায় অনেকটা কমে গিয়েছে।
আর আমার রুমের থাইগ্লাসের দরজা হওয়ার করণে রোদ উঠলে সরাসরি চোখে আলো পরে ঘুম ভেঙে যায় ।হাতে ৩০ মিনিট সময় ছিল নাস্তা তৈরি করার জন্য। আর তারই মাঝে মেয়ের বাবার জন্য দুইটা রুটি তৈরি করে এবং ডিম ভেজে নাস্তা দেই।
তারপর শুরু হয় আরও এক মহাযুদ্ধ।এবং তা হলো
মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে স্কুলের জন্য রেডি করা।শীতের সময় বড় মেয়েটা সহজে ঘুম থেকে উঠতে চায় না সকাল বেলায়। এরপরে মেয়েকে নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে স্কুলে নিয়ে যাই,এবং ওকে ক্লাসে বসিয়ে দিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে ছোট মেয়ে ঘুমিয়ে থাকতে থাকতে আমি নাস্তা করে নেই।
আর আফিজা উঠলে তখন ওকে খাবার খাইয়ে দেই। সেদিন আমার ছোট খালার বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো তাই মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে যাওয়ার আগে ঘরের কাজ গুলো গুছিয়ে গোসল করে নেই।এরপরে মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে আসি।
দুপুর |
---|
মেয়ে স্কুল থেকে আসলে ওর হাত মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে দেই এবং ওদের দুই বোনকে রেডি করে দেই।এরপরে আমিও রেডি হয়ে নেই এবং বেলা বারোটার আগেই বাসা থেকে রওনা দেই।আর আগের দিন রাতে আম্মু দুধ পাকান পিঠা বানিয়েছিলো তাই খালার জন্য ও নিয়ে গিয়েছিলাম।
খালার বাসায় গেলে আমার মেয়েরা অনেক অনেক খুশি হয় কারণ আমার খালাতো ভাইও ছোট। আর ওরা আমার খালাতো ভাইয়ের সাথে অনেক আনন্দ করে।
খালার বাসায় গিয়ে দেখি খালা রান্না করছিল। আর আমিও তখন খালাকে রান্নার কাজে সাহায্য করি।আর রান্না শেষে কিছু সময় বারান্দায় গিয়ে রোদে বসে ছিলাম,খালার বাসাটা খোলা জায়গায় হওয়ার কারণে বেশ ভালোও রোদ বাতাস পাওয়া যায়।
এরপরে আমার দুই মেয়েকে খাইয়ে দিয়ে আমি আর খালা দুপুরের খাবার খায়ে নেই।খাওয়া শেষে ছোট মেয়েকে ঘুম পারিয়ে দেই আর আমার বড় মেয়ে ওর মামার সাথে খেলতে থাকে।
ছোট খালা আমার বান্ধবীর মতো যখন বাসায় খুব খারাপ লাগে তখনই আমি খালার বাসায় চলে যাই।
প্রায় বিকাল পর্যন্ত আমি আর খালা অনেক গল্প করি।
বিকাল |
---|
বিকালবেলা আমার বড় মেয়ে আর আমার খালাতো ভাই ওদের বাড়ির নিচের মাঠে গিয়ে খেলা করে।
আর খালা আমাদের জন্য নুডুলস রান্না করে দেয়।এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছিল আর মেয়েদের নিয়ে একাই আমাকে বাসায় ফিরতে হবে তাই সন্ধ্যার আগ দিয়েই আমি খালার বাসা থেকে বেরিয়ে পরি।
আমার ছোট মেয়েতো আসার সময় সেই কান্না সে আসবেই না ওখানেই থাকবে।
সন্ধ্যা |
---|
খালার বাসা থেকে আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা পার হয়ে যায়।আর খালা আমার হাসবেন্ড আর আমার আম্মু আব্বুর জন্য খাবার প্যাক করে দিয়েছিলেন। তাই বাসায় এসে খাবার গুলো বের করে একটু গরম করে রাখি। এরপরে বড় মেয়েকে একটু পড়তে বসাই।
দুপুর বেলা অনেক মসলা যুক্ত খাবার খাওয়া হয়েছিল তাই একটু আচার খাইয়েছিলাম বাসায় এসে।এরপরে রাতে সবাইকে খাবার খেতে দিয়ে মেয়েদেরকে ঘুম পরিয়ে দেই।আর আমার তেমন একটা ক্ষুধাও ছিল না তাই আর রাতে খাইনি কিছুই। এরপরে ঘরের কিছু কাজ শেষ করে আমিও এসে ঘুমিয়ে পরি।
We support quality posts anywhere and with any tags.
Thank you so much for your support.
ছোট বাচ্চারা বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের সাথে থাকতেই অনেক বেশি ভালোলাগা কাজ করে। তাদের মধ্যে আপনার বাচ্চারাও ঠিক তাই। আপনার খালাতো বোন ছোট হওয়ার কারণে, আপনার মেয়েরা তাদের সাথে অনেক বেশি আনন্দ করে।
একদমই ঠিক মা খালারা যদি বন্ধুর মত হয় তাহলে বাহিরের বন্ধুর কোন প্রয়োজন হয় না। নিজের দুঃখ সুখের কথা তাদের সাথে শেয়ার করা যায়। আপনার খালার বাসায় আপনারা অনেক বেশি আনন্দ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সংসারী মানুষদের সকালের কাজের রুটিন প্রতিদিনই প্রায় একই রকম হয়।। আর হ্যাঁ বর্তমানে সকালেই রোদ উঠে যায়।। মেয়ে এবং মাকে বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে।। মাঝে মাঝে মন খারাপ থাকলে কারো বাসায় ঘুরতে গেলে আসলেই মন ভালো হয় ।