Better Life With Steem || The Diary Game || 16th January.
সবাইকে আমার সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আশা করি আপনারা সকলে অনেক অনেক ভালো আছেন।আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে চনার বড় মেয়ে অনেক অসুস্থ। এবং সেই কারণে তার পিছনেই আমার সারাটা দিন অতিবাহিত হচ্ছে। তো আজকের দিনটি কিভাবে অতিবাহিত করলাম তা সংক্ষেপে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চলে এলাম।
সকাল |
---|
আজকে সকালে আমাদের এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১১°। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে কি পরিমাণ ঠান্ডা পড়েছে। সকালবেলা হাসবেন্ড এর জন্য নাস্তা তৈরি করতে উঠে ঠান্ডা একদম বেহাল অবস্থা আমার,তার উপর ঠান্ডা লেগে প্রচন্ড গলা ব্যাথা, যে কথাই বলতে পারছিলাম। কোনো রকমে তার জন্য নাস্তা বানিয়ে টেবিলে দিয়ে এসে আমারও শুয়ে পড়ি।
আজ সকালে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়েছিলো, তাই মেয়েদের ঘুম পারিয়ে রেখেছিল। সকাল নয়টার সময় বড় মেয়ে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়ার কারণে কান্না করছিল, কিন্তু এখনো তাকে বাসার বাহিয়ে বের করা যাবে না,তাই তাকে অনেক সময় ধরে বুঝিয়ে সকালের খাবার খাইয়ে দিয়ে ঔষধ গুলো খাইয়ে দেই।গলা ব্যাথা এবং শুকনো কাশির কারণে কিছুই খেতে ইচ্ছা করছিল না তাই শুধু চা বানিয়ে খেয়ে নেই।
এরপর মেয়েদের জন্য কিছু ফল কেটে দেই এবং আনার ছাড়িয়ে খাইয়ে দেই।
দুপুর |
---|
বড় মেয়ের জ্বরের মুখে সে কিছুই তেমন একটা খেতে চায় না তাই,দুপুরে কি রান্না করবে বুঝতে পারছিলাম না।মেয়ের কাছে জানতে চাইলে সে বললো মুরগির মাংস এবং পোলাও খাবে।এবং বাসায় যেতেতু আমার খালাতো ভাই ও ছিলো তাই মেয়ের কথা মতো রান্না জোগাড় করতে লাগলাম। এবং পোলাও চাল বাসায় না থাকার কারণে বাসার নিচের দোকান থেকে পোলাও চাল সহ প্রয়োজন কিছু জিনিস কিনে নিয়ে আসি।
এই সময়,বাহির থেকে এসে প্রচুর কাশি শুরু হয় এবং গলা থেকে কিছুটা রক্ত বের হয়।আমার ঠান্ডা একটু বেশি লাগলেই এমনটা হয়।কিছু সময় গরম পানি দিয়ে গারগেল করি।
এরপরে আমি রান্নার সমস্ত কিছু গুছিয়ে, আম্মুকে রান্না করতে দিয়ে এসে গোসল করে নেই।মেয়েদের আর গোসল করাই নি।আম্মুর রান্না শেষে আমি একটু পায়েস রান্না করেছিলাম।
এরপরে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। বড় মেয়েটার শরীর দূর্বল হওয়ার কারণে খাবার খেয়ে বিছানা করে দেওয়ার সাথে সাথেই সে ঘুমিয়ে পড়ে।এরপরে ছোট মেয়েকে ঘুম পারিয়ে দেই।
মেয়েদের ঘুম পারিয়ে আমি একটু মেডিটেশন করতে বসেছিলাম। কারণ বেশি টেনশনে থাকলে আমি মেডিটেশন করতে বসি,নিজের মনটাকে হালকা করার জন্য। কাউকে আর বিশ্বাস করে মনের কথা বলতে ইচ্ছে করে না।
বিকাল এবং রাত |
---|
বিকালে মেয়ের জন্য কিছু ঔষধ আনতে ফার্মেসীতে গিয়েছিলাম।
বাসায় এসে বড় মেয়ের এবং আমার জন্য গরম গরম স্যুপ তৈরি করি।ঠান্ডার মধ্যে গরম গরম স্যুপ খেয়ে অনেকটা আরাম বোধ হয়।
এরপরে রাতের জন্য ভাত রান্না করে নেই এবং মেয়ের বাবা অফিস থেকে বাসায় এলে রাতের খাবার খেয়ে নেই। খাবার খাওয়া শেষে বড় মেয়েকে রাতের ঔষধ খাইয়ে দেই, ঔষধ সে আপোষে খেতে চায় না,অনেক কষ্ট করে ঔষধ খাওয়াতে হয়।ঔষধ খাইয়ে বড় মেয়েকে ঘুম পাড়াতে নেই, এবং তার রাতের বেলা ঠান্ডা কারণে কষ্ট হয় তাই অবেক সময় লাগে ঘুম পাড়াতে।বড় মেয়েকে ঘুম পারিয়ে ছোট মেয়েকে ঘুম পাড়াতে নিয়েছি এবং অন্যদিকে আমি পোস্ট লিখছি।আর এভাবেই আমার জীবনের পাতা থেকে একটি দিন ঝরে গেল।
তাই।
দিন দিন ঠান্ডার পরিমাণ এত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা বলে বোঝাতে পারবো না। তবে আমাদের এখানে মোটামুটি ভালো থাকলেও। উত্তরবঙ্গের অবস্থা একেবারেই খারাপ। সেই মানুষগুলো কেমন আছে এটা ভেবেই আমি মাঝে মাঝে অবাক হই।
আপনার মেয়ে এমনিতেই অসুস্থ তাই আবার যদি স্কুলে যায় তাহলে তো আরো সমস্যা হয়ে যাবে।ঠান্ডার কারণে, আপনি একদম ঠিক কাজ করেছেন মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে। নিজে মেডিটেশন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। সকাল বেলা আপনি চা খেতে অনেক পছন্দ করেন তা আপনার প্রতিটা পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
বাচচারা অসুস্থ থাকলে মায়েরা এমনিতেই অসুস্থ হয়ে পরে। এর মাঝে ভাইয়ের জন্য নাস্তা বানাতে য
গিয়ে আপনি আগে থেকেই অসুস্থ। এত শীতের মাঝে বাচচাদের স্কুল খোলা থাকলে কস্ট বেড়ে যায়।
দুপুরে পোলাও রানা করার চাল না থাকার কারনে নিচে চাল কিনতে গিয়ে কাশি ওঠে। এতে আপনার গলা দিয়ে সামান্য ব্লাড বের হয়। এরকম আমার বড় ভাবির মাঝেও দেখেছি।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
মেয়েদের সাবধানে রাখার সাথে সাথে আপনিও সাবধানে থাকবেন এই ঠান্ডার মাঝে।
যত দিন যাচ্ছে ঠান্ডাটা যেন তত বয়ে যাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠে হাজবেন্ডের জন্য তাড়াতাড়ি নাস্তা রেডি করে টেবিলে রেখে আবার শুয়ে পড়েন। বড় মেয়ে অসুস্থ থাকার কারণে কিছুই খেতে চায় না
তাকে জিজ্ঞাসা করলেন কি খাবে মেয়ে বলে পোলাও মাংস পাবে তারপর সেটাই রান্না করে এবং এর সাথেও পায়েশ রান্না করলেন । মেয়ের বাবা অফিস থেকে আসার পর তাকে রাতে খাবার খেতে দেন এবং মেয়েদের কেউ রাতে খাবার খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দেন। তারপরে আস্তে আস্তে করে মেয়েদের কে ঘুম পাড়িয়ে দেন।
খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি গুলো পড়ে থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনার মেয়ে অসুস্থ গত পোস্টে পড়েছি। বাচ্চারা অসুস্থ হলো মায়ের যে কি ভোগান্তি হয় এটা শুধুই ভাই জানে। মেয়েকে সুস্থ করার জন্য তার পছন্দের খাবার রান্না করে দিলেন, ফিন্নি মিক্স আমি বেশ পছন্দ করিনা খুব দ্রুত রান্না করা যায় আমার মনে হয়।
তবে হ্যাঁ ঠান্ডার জন্য কিন্তু এরকম সব খুব উপকারি আর সেটা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল আমার কাছে।
আমি এই বারই প্রথম ফিরনি মিক্স দিয়ে রান্না করেছি।স্বাদ আমার কাছেও অনেক ভালোই লেগেছে।
আমার মনে হয় বাংলাদেশে আর দুই এক বছর পরে ইউরোপ আমেরিকার মত তুষার বরফ পড়বে।
প্রচন্ড ঠান্ডার ভিতরে দিন পার করছেন এবং আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে উপস্থাপনা করেছেন এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ পরবর্তীতি দিনা লিপি পড়ার আশায় রইলাম ।