Better Life With Steem || The Diary Game || 12th December.

in Incredible India11 months ago

Hello Everyone
1000005903.jpg

Morning

যথারীতি সকালবেলা সময় মতো ঘুম থেকে উঠে পরি।সকাল ছয়টার সময়।ঘুম থেকে উঠে বিছানাতেই বসে ছিলাম।হঠাৎ মেয়ের বাবা বলে উঠলেন আজকে নাকি সে ছুটি নিয়েছে।তাই আবারো একটু শুয়ে পরি,কারণ অনেক ঠান্ডা লাগছিল,তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি।

1000005655.jpg

আবার ঘুমিয়ে গিয়ে উঠতে প্রায় সকাল ৯টা হয়ে যায়।এখন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত, মুখ ধুতেই খুবই কষ্ট লাগে,পানি মনে হয় কারেন্ট শক এর মতো লাগে।যাই হোক সকাল বেলা নাস্তা করে নেই,,তবুও রোদের দেখা পেলাম না।।এরপরে সাহেবের হাতের চা খাওয়ার সুযোগ হয়েছিল গতকাল।উনার হাতের চা খেতে বেশ ভালোই লাগে।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

Noon

গতকাল ছোট খালা তাদের নতুন বাসায় চলে যায়,তাই ঘরের জিনিস পত্র সব গুছানো শুরু করেন,সাথে আমিও খালার হাতে হাতে কাজ আগিয়ে দেই।আর মনে মনে অনেক কষ্ট ও হচ্ছিল,, এক সাথে অনেকদিন ছিলাম তো।

1000005659.jpg

এদিকে দুপুরের রান্না ও বসিয়ে দিয়েছিলাম সবার জন্য। রান্না শেষে আমি গোসল করে নেই,,আর আম্মু আমার দুই মেয়েকে গোসল করিয়ে দেয়।যোহরের নামাজ শেষে খাবার খেয়ে নেই।। খাবার খাওয়ার পরে ভেবেছিলাম একটু ঘুমাবো,কিন্তু মেয়ের বাবা বললো বাহিরে যেতে হবে। অতএব আর আমি না ঘুমিয়ে মেয়েদের ঘুম পারিয়ে দেই।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

Afternoon and Evening

বিকালে রেডি হয়ে আমরা দুইজন বাইকে করে বেরিয়ে পরি।আমার বাইকে করে হাইওয়ে তে যেতে একটুও ইচ্ছে করে না।ভয় কাজ করে মনে মনে।এরপরে আমরা ফার্নিচারের দেকানে যাই খাট দেখার জন্য।

1000005662.jpg
1000005671.jpg

কারণ খালারা আমাদের বাসা থেকে চলে যাওয়ার ফলে রুম দুইটাএকদম ফাকা হয়ে গিয়েছে,অতএব কিছু ফার্ণিচার প্রয়োজন।কিন্তু একটা খাট বেশি জরুরি।আমার নিকটে খাট কেন জানি সেগুন কাঠের খাট গুলোই বেশি ভালো লাগে।কিন্তু আমার হাসবেন্ড সেগুন কাঠের খাট ছাড়া ভিন্ন ধরনের খাট নিতে চাচ্ছিল।।কিন্তু আমার নিকটে খাট বাদে অন্যসকল সব ফার্নিচার গুলো পচ্ছন্দ সই মনে হচ্ছিল।৷অনেক খোজা খুজির পরে মনস্থির করলাম যে, কাঠের খাটই কিনবো।তাই এবং কেনো দোকানে না গিয়ে বাসায় আসার সিদ্ধান্ত নেই।আর বাসায় আসার পথে শ্বশুরের জন্য এহেরাম এর কাপড় কিনেছিলাম!

1000005674.jpg

বাসায় আসার সময় একটু ক্ষুধা ক্ষুধা লাগছিল,,তাই একটা হোটেলে যাই কিছু নাস্তা করার জন্য।। প্রায় অনেক বছর পরে এমন হোটেল বসেছিলাম নাস্তা করার জন্য, সচারাচর রেস্টুরেন্টে বসা হয়,,কিন্তু হালকা নাস্তা করার জন্য এই হোটেল গুলোই আমার নিকটে ভালো লাগে।যাই হোক আমরা একটা মোগলাই পরোটা এবং চা অর্ডার করি,মজার বিষয় ছিল তারা পানির গ্লাসে চা দিয়েছিল,দেখতে হাস্যকর হলেও টেস্ট ছিল অসাধারণ। নাস্তা শেষে বাসায় চলে আসি।।

1000005675.jpg

আর বাসায় এসে ঘরের কিছু কাজ ছিল,সেই কাজ গুলো করি আর এরপরে আম্মুর পাশে বসে কিছুক্ষণ কথা বলে,মেয়েদের রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে ঘুম পারাই আর ওদের ঘুম পারাতে পারাতে আমিও ঘুমিয়ে পরেছিলাম।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
Sort:  
Loading...
 10 months ago 

আপনি সকালে উঠেন তারপর শুনেন যে আপনার মেয়ের বাবার অফিস বন্ধ তাই আবার ঘুমিয়ে পড়লেন তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলেন ৷ তারপর আপনার খালা চলে যাবে উনার ব্যাগ গুছাতে সাহায্য করলেন তারপর দুপুরে সবার জন্য খাবার বসিয়েছেন ৷ তারপর দেখলাম বাইরে গেছেন ফার্নিচার দেখতে তারপর নাস্তা চা খাওয়া দাওয়া করেছেন ৷ তারপর বাড়ি এসে বাড়ির কাজ গুলো করে থাকেন আর এভাবেই আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো অতিবাহিত হয়েছে ৷

ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ শুভকামনা রইলো ৷

 10 months ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য।

১২ই ডিসেম্বরে অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন, আপনার হাজবেন্ড অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিল তাই সকালে না উঠে নয় টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিলেন, ঘুম থেকে ফ্রেশ হওয়ার জন্য গিয়েছিলেন কিন্তু পানি পর্যাপ্ত ঠান্ডা ছিল, এখন তো মোটামুটি ভালই শীত পড়েছে তাই পানি ঠান্ডা হয়ে যায়। বিশেষ করে টাংকির পানি সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা হয়। আমরাও যখন সকালবেলা অজু করি তখন পানি পর্যাপ্ত ঠান্ডা থাকে কারণ আমারাও টাংকির পানি দিয়ে ওযু করি।
এরপরে আপনাদের বাসার খালা নতুন বাসায় চলে গিয়েছে তাই বাসা খালি হয়ে গিয়েছে এজন্য আপনারা ফার্নিচার কিনতে গিয়েছিলেন, আসার সময় হোটেল থেকে নাস্তা করে এসেছেন।
দিনটি আপনার অনেক সুন্দর ও আনন্দে কেটেছে, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

 10 months ago 

আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম। আপনার সারাটা দিন অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে কাটাতে হয়েছে। কেননা আপনার ছোট খালাম্মা নতুন বাসায় উঠেছে আপনিও তার সাথে বাসায় গিয়েছেন। এবং বাসার ফার্নিচার গোছানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন। আসলে একটা বাসা পরিবর্তন করা কতটা কষ্টকর সেটা হয়তো আমি একটু হলেও অনুধাবন করতে পারি। কেননা আমিও কিছুদিন আগে আমার ননদরা যখন নতুন বাসায় উঠেছিল। তখন আমিও তাদের সাথে গিয়েছিলাম। অনেক বেশি কষ্ট হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্য কর্ম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

সকালে ঘুম থেকে উঠলেন ঠিকই কিন্তু আপনার স্বামীর অফিস ছুটি বিধায় আবার শুয়ে পড়লেন। অতঃপর নয়টায় ঘুম থেকে উঠলেন। নাস্তা সেরে আপনার খালা চলে যাবে নতুন বাসায় তাই তাদের প্যাকিংয়ে সহায়তা করলেন। তারপর দুপুরের রান্না সেরে নিলেন। বিকেলে স্বামীর সাথে ফার্নিচার দোকানে গেলেন। আপনার মত এই অবস্থা আমারও হয়। যেটা কিনতে চাই সেটা ছাড়া বাকি সবই পছন্দ হয়। যাইহোক পরবর্তীতে আপনি ছোট একটি রেস্টুরেন্টে গেলেন এবং মোগলাই ও চা খেলেন। এভাবে পরিবারের প্রতি সময় দিয়ে আপনি একটি ব্যস্ত দিন পার করলেন। আপনার দিনলিপি পড়লাম। খুব ভালো লাগলো।

 10 months ago 

পরিবারের সাথে এমন সময় পার করতে ভালোই লাগে।একটু ভিন্ন সময় কাটে।

 10 months ago 

সত্যিই একটু ঠান্ডা বেশি পড়েছে আর সকালে পানি ধরতে গেলে কারেন্টের শকের মতোই লাগে।। আজ আমাদের ভাইয়া ছুটি নিয়েছে তাই একটু লং টাইম শুয়েছিলেন।।

আপনার খালারা তাদের বাসায় চলে যায় তাই ঘরের জিনিসপত্র সব গোছানো শুরু করে।। আজকে ভাইয়াকে নিয়ে বাইরে গেছিলেন সেই সাথে ফার্নিচার কেনার উদ্দেশ্য একটা দোকানে গিয়েছিলাম কারণ আপনার খালারা চলে যাওয়ার পর রুমগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে।।

আজকে ভাইয়ের সাথে অনেক সুন্দর একটি দিন পার করেছেন।। আপনাদের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো সারা জীবন এভাবেই একসাথে যেন দিন পার করতে পারে।

অনেকদিন একসাথে থাকলে মায়ার বাঁধনটা আরো বেড়ে যায়। আমার কাছেও সেগুন কাঠের তৈরি খাটই হলো বেস্ট চয়েস। যদিও দাম অনেকটাই বেশি পড়ে সেগুন কাঠের তৈরি খাট কিনতে গেলে। এহেরাম এর কাপড় জিনিসটা কি সেটা ঠিক বুঝলাম না। আপনার পোস্ট পড়ে মনে পড়ে গেল অনেকদিন আমার মোগলাই খাওয়া হয়নি। আপনার সারাদিনের কার্যাবলী শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

দাদা ভাই,হজ্জ করতে গেলে পুরুষদের এক ধরনের সাদা কাপড় পরিধান করতে হয় তাকেই এহেরামের কাপড় বলা হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য।

ও আচ্ছা, আমার জানার পরিধি আরেকটু বাড়লো। ধন্যবাদ রিপ্লাই দেবার জন্য।

 10 months ago 

ইদানীং ভালোই বাহিরে খাওয়া হচ্ছে যা আপনার বিগত এবং পোস্ট পড়ে বুঝলাম। এই পোস্ট পড়তে গিয়ে দেখলাম আপনার বাসা বদলিয়ে নতুন বাসায় উঠেছে। বাসা পাল্টানো যে কত ঝামেলা তা আমি ভালো করেই জানি। সব আসবাবপত্র গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে নতুন গোছানোতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আপনি খালাকে খুব হেল্প করেছেন এগুলো গোছানোয়। এটা বেশ ভালো লাগলো। আমাদের সর্বক্ষণ উচিত মানুষের যেকোনো উপকারে আসা৷

 10 months ago 

জি ভাইয়া, ইদানীং সত্যিই বাহিরের খাবার একটু বপশিই খাওয়া পরে যাচ্ছে। যেটা শরীরের জন্য মোটেও ঠিক নয়।কিন্তু মন মানতে চায় না।
বাসা গোছানো নিয়ে কিছু দিন যাবত অনেকটাই ব্যস্ত আছি।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 10 months ago 

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলেন তারপর মেয়ের বাবা বলল ছুটি নিয়েছে তো আবার শুয়ে পড়লেন। সকাল ৯ টা বাজে উঠেছেন হাত মুখ দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলেন এবং আপনার সাহেবের হাতে বানানো চা খেলেন। গতকালে আপনার খালার নতুন বাসায় চলে যাবে তার জন্য সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিল। এবং আপনার হাতে হাতে করে দিলেন। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম এরপর বিকেল বেলা বাহিরে দুজনে বাইকে করে গেলেন ফার্নিচারের দোকানে খাট কেনার জন্য। তারপর বাসায় আসার সময় একটু ক্ষুদা লাগছিল তারপর হোটেলে গিয়ে নাস্তা করে নিবেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কার্যনীতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন থ্যাঙ্ক ইউ।

 10 months ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য।

আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। সকালবেলা আপনি চা খেয়েছিলেন নাস্তা হিসেবে। আপনাদের খালারা আপনাদের বাসা থেকে যাওয়ার পরে আপনাদের রুমগুলো অনেকটা ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল বিশেষ করে একটি খাটের প্রয়োজন ছিল তাই আপনি ফার্নিচারের দোকানে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সময় মোগলাই খেয়েছিলেন ক্ষুধা লাগার কারণে। আমাদের সাথে আপনার দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 68547.43
ETH 2527.38
USDT 1.00
SBD 2.53