Better Life With Steem || The Diary Game || 12 February.
দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপ নিয়ে আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।তাহলে চলুন শুরু করি।
![]() |
---|
সকাল |
---|
সকালে ঘুম থেকে উঠেই আগে কাজের নানুকে কল দিয়ে জেনে নিলাম যে,উনার নাতি এবং মেয়ে কেমন আছেন,এবং সাথে এটাও বলে দিয়ে ছিলাম যে,আমি উনার মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে যাবো।
![]() |
---|
আর গতকালকে অনেক রাতে বাসায় ফেরার কারণে বাবু কে দেখা হয়নি,তো ওকেও দেখে আসা হবে।
সকালবেলা অনেক তাড়াতাড়ি করে নাস্তা বানিয়ে নেই, এরপরে হাসবেন্ড নাস্তা করে চলে গেলে, তারপরে আমিও ওদের জন্য খাবার নিয়ে যাই।বাচ্চাটা মাশাআল্লাহ অনেক কিউট হয়েছে। আসলে পৃথিবীর সকল বাচ্চারাই অনেক সুন্দর হয়ে থাকে।
এরপরে বাসায় এসে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসি।বাসায় এসে ঘর গুছিয়ে উঠতেই দেখলাম যে,আমার এক বান্ধবী ওর মেয়েকে স্কুলে দিয়ে বাসায় এসেছে। এরপরে দুইজন নাস্তা করি এবং অনেক গল্প করি।
![]() |
---|
আজকে মেয়ের ক্লাসে গার্ডিয়ান মিটিং ছিল তাই সময় মতো স্কুলে চলে যাই।
দুপুর |
---|
![]() |
---|
বাসায় আসার সময় কিছু বাজার করে নিয়ে আসি।আজকে দুপুরে তেমন ভারী কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না,তাই পাতাকপি ভাজি আর শুটকি ভুনা
করেছিলাম,আর বাচ্চাদের জন্য মাছ রান্না করেছিলাম।
![]() |
---|
রান্না শেষে গোসল করে মেয়েদের খাবার খাইয়ে দেই এবং ওদের খাওয়া হলে আমিও খাবার খেয়ে নেই। আজকে একটু বাহিরে যাওয়ার ছিল তাই মেয়েদের দুপুরে ঘুম পারাই নি।
বিকাল বেলা আম্মু কিছু জিনিস কেনার জন্য বাহিয়ে যেতে বলছিল,যদিও যাওয়ার কোনো ইচ্ছে ছিল না,কিন্তু মেয়েদের বায়নায় যেতে হলো।
![]() |
---|
আম্মু ঘরের জন্য কিছু জিনিস কিনে এবং কিছু বাজার নিয়ে আমরা বাসায় চলে আসি।
সন্ধ্যা ও রাত |
---|
সন্ধ্যায় বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নেই, এবং খুবই ক্ষুধা লেগেছিল তাই ইজি নুডুলস রান্না করে নেই।
![]() |
---|
এরপরে সন্ধ্যায় আবারও হাসপাতালে গিয়েছিলাম ওদের কিছু জিনিস দেওয়ার জন্য। বাসায় এসে মেয়েকে পড়তে বসাই আর এরই মধ্যে দেখি মেয়ের বাবা চলে এসেছে আজ সাতটার মধ্যেই বাসায় চলে এসেছেন। এরপরে তাকে চা বানিয়ে দেই।
![]() |
---|
একটু পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে কল আসলো এবং শ্বাশুড়ি মা বললেন যে,আগামী শনিবার উনারা সবাই বেড়াতে আসবেন,আসলে আমার বড় ননদের মেয়ের বিয়ে হয়েছে, তাই নতুন জামাই আসবেন সাথে সবাই আসবেন। অর্থাৎ প্রায় দশ থেকে পনেরো জন মতো মানুষ হবে।যাইহোক আগে থেকে জানানো তো ভালোই হলো।
এরপরে রাতের খাবার খেয়ে নিয়ে রাতের ঔষধ গুলোও সেবন করে নেই। এবং মেয়েদের ঘুম পারিয়ে দেই। ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো গুছিয়ে রাখি এতে করে সকালে কাজের চাপ কম হয়।এরপরে পোস্ট লিখতে বসি আর তখন ননদের মেয়ে কল দেয় আর ওর সাথে কথা বলতে বলতে প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় পার হয়ে যাই এরপরে আজকের ডায়েরি গেম পোস্ট লিখতে শুরু করি।
আপু আপনি আপনার দিনটি কর্মব্যস্ততা ও খাওয়া দাওয়ার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। আপনি বলেছেন পৃথিবীর সব শিশুই সুন্দর হয়। হ্যা এই কথা একদম সত্যি। সবাই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে সুন্দর ও নিস্পাপ হয়েই। দুপুরে আপনি পাতাকপি ভাজি আর শুটকি ভুনা দিয়ে ভাত খেয়েছেন। রাতে নুডলুস খেয়েছেন। সব মিলিয়ে দিনটি দারুণভাবে উপভোগ করেছেন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
ঠিকই বলেছেন সকল বাচ্চারাই অনেক বেশি সুন্দর। নুডলস দেখতে খুব সুন্দর লাগছে খেতেও নিশ্চয় ভালো হয়েছে। ভালো থাকবেন।
আপনার শ্বশুর বাড়ি থেকে অনেক লোক বেড়াতে আসছে। এ কারণে আপনার উপরে কাজের অনেক প্রেসার যাবে। এরমধ্যেও নিজের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ আপনি এমনিতেই অসুস্থ। সব মিলিয়ে বেশ ব্যাস্ত দিন পার করলেন। ভালো থাকবেন।
মাশাআল্লাহ বাচ্চাটা দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।। আজ মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসার পথে বাজার করেছেন।। আর বাসায় এসে সংসারে কাজ করেছেন।। একটা মেয়ের সংসারের অনেক দায়িত্ব থাকে।।
ভালো লাগলো আপনার একটি দিনের কার্যক্রম পড়ে।।
সকাল থেকে স্কুল, বাজার সব মিলিয়ে খুব ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে পার করেছেন আপ্নার নুডলস মনে হয় অনেক প্রিয়। চায়ের কালার টা দারুণ হয়েছে, মনে হচ্ছে খেতেও ভালো হয়েছিল অনেক।
মাশাল্লাহ বাচ্চাটা অনেক কিউট হয়েছে, দোয়া রইল যেন বড় হয়ে কোরআনের হাফেজ হতে পারে। আর আপনি একদম ঠিক বলছেন প্রতিটা বাচ্চাই অনেক সুন্দর হয় কেনই হবে না আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নিজের হাতে যে বানিয়েছে মানুষকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় দিনালিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।