আমার মন ভালো করে দেওয়ার কারণ
|
Assalamulaikum
Everyone,
বৃষ্টিময় দিনের শুভেচ্ছা সবাইকে।
আশাকরি প্রত্যেকে সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশা করছি আপনাদের দিনটি আজ সুন্দর ভাবেই শুরু হয়েছে এবং প্রার্থনা করছি যেন সারাটা দিন ভালো কাটুক, সুন্দর ভাবে দিনটি শেষ হোক সবার।
আরেকটি নতুন দিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আমার আজকের ব্লগটি লিখতে শুরু করেছি। আমরা সবাই প্রতিদিনই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিজের কাজে ব্যস্ত সময় পার করি। আমাদের এমন সব ব্যস্ততার মধ্যেও কিন্তু আমাদের অনেক ভালো লাগার মুহূর্ত থাকে যা আমাদের মন ভালো রাখতে এবং নিজেকে রিফ্রেশ করতে সাহায্য করে। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার গতদিনের ব্যস্ততা এবং সেই সাথে ভালো লাগার বিষয়গুলো।
সকালের নাশতা শেষ করে আমি বাগানে গাছেদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করি সেই সাথে খাবার উপযুক্ত হওয়া সবজি ও বিভিন্ন ফলমূল সংগ্রহ করি। প্রতিদিনের মতো গতকালও আমি বাগানে গাছেদের সাথে সময় কাটাতে গিয়ে বেশ ভালো কিছু সময় অতিবাহিত করেছি। সাথে পেয়েছি ঝুড়ি ভর্তি শাক-সবজি যা আমাকে আলাদা রকম আনন্দ দেয়।গতকালের পাওয়া কিছু সবজি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আশা করবো আপনাদেরও ভালো লাগবে।
দুপুরের প্রার্থনা শেষ করে পরিবারের সবাই একসাথে খাবার খেতে পছন্দ করি।বাগান থেকে পাওয়া শাক-সবজি রান্না করা এবং খাওয়ার মাঝে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে যা আমাকে তৃপ্তি দেয়।সত্যি বলতে এসব ফ্রেশ শাক-সবজির আলাদা একটা স্বাদ আছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই শুরু হয় আমার আরেক অভিজান কোন গাছে ডাঁসা পেয়ারা হয়েছে কোন গাছে জাম্বুরা পরিপক্ব হয়েছে, আমড়া, পেঁপে সবকিছু সংগ্রহ করে বিকেলে একসাথে বসে গল্প ও খাওয়া দাওয়া করা।
বাগানের গাছের টাটকা ফলমূল খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনই আমাদের মনের জন্যও তৃপ্তির। বিকেল বেলা বাড়ির সামনের খোলা মাঠে বাচ্চারা খেলাধুলা করে আমিও আমার পুচকে ছানার সাথে বিকেলে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। রৌদ্রময় দিনগুলোতে আমরা বাইরে হাটতে যাই বুনোফুলের ফটোগ্রাফি করি মাঠে থাকা গরু ছাগলের সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করি।
সন্ধ্যা হলে গ্রামের বাড়িতে সাধারণত হাঁস-মুরগি খোপে ঢোকাবার একটা রীতি আছে আমিও যেহেতু গ্রামেই বসবাস করি তাই আমাদের বাসায়ও মুরগী ও কবুতর আছে যাদেরকে সন্ধ্যা হলেই বাসায় ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করতে হয় নয়তো শেয়াল কিংবা বনবিড়াল আক্রমণ করে বসবে। কবুতর আমার অনেক পছন্দের আমাদের ১৪ টি কবুতর আছে যা থেকে প্রতিমাসেই বেশকিছু বাচ্চা পাওয়া যায়। আমরা সবাই কম বেশি কবুতরের মাংস খেতে পছন্দ করি যা আমিষের ভালো উৎস। আমার প্রিয় কাজের একটি হলো কবুতরের গম খাবার দৃশ্য দেখা যা আমি সবসময়ই দেখি।
আমার আজকের ব্লগ এই পযন্ত আগামীকাল নতুন কিছু নিয়ে লিখবো সেই পযন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
https://twitter.com/farhana87988/status/1684948380576006144?s=20
আপনার লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।আমার আপনার মতো এত বড় বাগান নেই। ছোট্ট বারান্দায় কিছু গাছ লাগিয়েছি টবের মাঝে। এর মাঝে পুইশাক ও আছে। চমৎকার সময় কেটে যায় এই বারান্দায় আসলে আমার।গাছে পানি দেই।এছাড়া পাখদের জন্য খাবার আর তাদের পানির জন্য আালাদা পাএ রাখা আছে।আপনার তোলা ছবিগুলো মন কেড়ে নিয়েছে আমার। বিশেষ করে আপনার গ্রামের দৃশ্য আার সোনালু গাছের ছবির কথা উল্লেখ করতেই হয়।ভালো থাকেন আর সুস্থ থাকেন সবসময়