তুমি রবে নিরবে// (পর্ব-১)
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠ্যবৃন্দ ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আজকে আপনাদের মাঝে আবার নতুন একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি আশা করি ভাল লাগবে, মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য এয়ারপোর্ট ছেড়ে গেলো উড়োজাহাজ। দিগন্তে ডানা মেলে। অপরিচিত মুখগুলোর আড়ালে দাঁড়িয়ে ইভান। ফারিয়ার চোখ ইভানকে খুঁজেনি। খুঁজার কথাও না। মুঠোফোনে যাওয়ার তারিখটি জানিয়েছিলো। মন খারাপ করা কোন কথা ছিলো কী তখন? কথায় কতো কথা হয়। অদৃশ্য সূতোয় গাঁথা কিছু কথা এমন ও থাকে। বহতা নদীর মতো শুধু মনের ভিতর বয়ে যাওয়ার জন্যেই যথেষ্ট। সেই নদীতে ভালবাসা কখনো কলকলিয়ে ওঠে। আবার ভাটার টানে কখনো শান্ত থাকে। ভালবাসার চোরা একটা স্রোত থেকেই যায়। ভার্সিটির জীবনে কতো জনের সংগেই তো পরিচিত ইভান। মনে দাগ কাটে কয়জন। প্রথম ভালবাসা বলেই কী ফারিয়া ছবি হয়ে গেঁথে আছে মনে। কাছে থাকতে যাকে সে মূল্যায়ন করেনি। ফারিয়ার কাছে আসাকে কখনো নিজের করে ভাবেইনি। আজ তার জন্যেই কেন চোখ নদী হয়ে যায়। যে গেছে সে আর কখনো ফিরে আসবেনা বলেই কী? কতো সহজে মানুষ বদল হয়ে যায়। যায় আর একজনের হয়ে। সেই অচেনা অজানা একজনের সংগেই ফারিয়ার প্রথম দেখা হবে। কথা হবে। বাসর হবে। কিন্তু জানা হবে কী। ইভানের মুক্ত ভালবাসায় ফারিয়া পরে থাক হৃদয়ের কোন এক কোণে। যেখানটায় শুধু ইভানেরই বসবাস। আর কারো প্রবেসিধিকার নেই সেখানে।
গতোদিনের মুঠোফোনে একটি কথায় যেন ইভানের ঘুমিয়ে থাকা মনটাকে জাগিয়ে দিলো। এইসব তো কবেই চুকেবুকে গিয়েছিল। আবার কেন পুরনো ক্ষতে মলমের প্রলেপ। সময় সময়ের গতিতে পার হলো প্রায় চার বছরের কাছাকাছি। এর মাঝেও যে ফারিয়া কয়েকবার কথা বলেনি তাও নয়। তবে দেখা করার কথা একবার ও আসেনি। শূন্যতা কী পুরানো সম্পর্কে কাছে টেনে আনে। নিয়মে বাঁধা জীবনে মৌমিতাকে নিয়ে বেশ তো আছে ইভান।
তোমার চা। নাস্তা খেয়েই কিন্তু বাজারে যেতে হবে। ফ্রিজ একেবারেই খালি।
সাদা কাপে সোনালি রঙের ধূঁয়া ওঠা গরম চা। এক হাতে চা রেখে অন্য হাতে মৌমিতাকে কাছে টানে ইভান।
কাজ ছাড়া কী তোমার আর কিছু থাকতে নেই মিতা। ছুটির সকালে আমার কাছে একটু বসলেও তো পারো।
ইভানের বুকে মাথা রাখে মৌমিতা।
সাত সকালে এইসব কী বলতো। আমি কখন তোমাকে খেয়াল করিনা। তুমি আছো বলেই তো আমার এই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা। এবার ওঠো প্লিজ। চাদরটাও যে বদলানো দরকার।
ইভানের হাতে বন্ধী মিতা। দায়িত্বই কী সংসারের সবকিছু। এর ভিতরে ও কী আর কিছু থাকতে নেই। মিতার জবাব থাকে দুষ্ট হাসিতে। নিজেকে সপে দেয় ইভানের বুকে।
দাম্পত্য এমনই একটা জিনিস। এটাকে রচনা করতে হয়না। আপনিই রচিত হয়ে যায়। এখানে আমাবস্যার চাঁদ যেমন থাকে। ঠিক তেমনি পূর্ণিমা ভরা আলোও আসে জীবনে। সংসারের মাঝে ডুব দেওয়া মৌমিতা ভালবাসার অন্য কোন রূপ ওর কাছে ধরা দেয়না। শুধু কর্ত্তব্যের মাঝেই ভালবাসা খুঁজে পায়। ইভান চায় আরো কিছু। অভাব বোধটা কী সেটাই বুঝতে পারেনা।
মিতার দেওয়া লিষ্ট অনুযায়ী সবকিছু কিনে ষ্টোরে এসে দাঁড়ায়। চা-পাতা, গুড়োদুধ, সাবান, পেষ্ট সব কিনা শেষ। দাম মিটানোর সময় যোগ হয় বাড়তি এক প্যাকেট কফি। ফোনকলটি কী ইভানের মনকে এলোমেলো করে দিলো। আজ সবকিছুতেই মিশে আছে ফারিয়া। মিতাকে আদরের মাঝে। সকালে নাস্তার টেবিলে। বাজার ঘুরে ঘুরে সবকিছু কিনার ভিতরে ও ফারিয়ার কন্ঠটিই বারবার বেজে ওঠে।
তোমার কোন অজুহাত আমি মানবো না। তুমি একটি বার শুধু আমার সাথে দেখা করো।
আজকের মত এখানে শেষ করছি বন্ধুরা, আশা করি গল্পটি ভালো লাগবে গল্পটি লিখতে আমার প্রাণপ্রিয় একজন বড় ভাই সাহায্য করেছে আশা করি সবার ভালো লাগবে, এই নিয়ে আপনাদের মাঝে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম। |
---|
cc: @farhan456
Device | name |
---|---|
Android: | realme 8 |
Android version: | realme UI 3.0 Android 12 |
Camera: | 64MP |
Location: | Bangladesh-bogura |
Short by : | Pixabay |
We support quality posts anywhere and any tags.
Curated by : @sduttaskitchen
Thank you didi for supporting my post 💗💗