আমার ঈদ।
আসসালামু ওয়ালাইকুম সবাই কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন জানি নিয়ম রক্ষার্থে আমাকে বলতে হবে আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভালো আছি আজকে আবারো হাজির হয়েছে আমার ঈদ যাপনের অনুভূতি শেয়ার করতে আশা করি ভালো লাগবে মনোযোগ সহকারে একটু পড়ার অনুরোধ করি।
ইসলাম ধর্মের শিষ্টাচার হিসেবে কুরবানী ইতিহাসটা অনেক আগে থেকে এটি হচ্ছে মুসলিমদের একটি ইবাদত যা প্রতি বছর একটি সময় অনুযায়ী হয়ে থাকে। হজরত আদম আলাইহিস সালামের যুগ থেকে এটি প্রচলিত ও বিধি-বিধান হিসেবে চলে আসছে।
কোরআন ও হাদিস থেকে বলতে গেলে মহান আল্লাহতালা ইরশাদ করেছেন: প্রত্যেক উম্মত ও কওমের জন্য আমি কুরবানি বিধি-বিধানে রেখেছিলাম যাতে নির্দিষ্ট পশু কুরবানী সময় আমার নামটি স্মরণ করতে পারে এইজন্য করেছেন যে চতুষ্পদ প্রাণী থেকে মানবজাতি রিযিক নির্ধারণ করতে পারে। (সূরা হাজ্জ, আয়াত-৩৪)
প্রত্যেক ঈদে আমার বাবা-মা ঢাকা থেকে আসে সবাই মিলে একসাথে ঈদ উদযাপন করার জন্য। কিন্তু নসিবে না থাকাতে বাবা-মা কেউই আসতে পারেনি সরকারি চাকরি করেন তারা দুইজন কপালে ছুটি না মিলাই তারা ঢাকাতে থাকে বাবা আমাকে কল করে জানায় ঈদের দুদিন আগে ছোট চাচ্চু ও তার ফ্যামিলিরা চাঁদ রাতের দিন গ্রামে যাবে তাদের সাথে বগুড়া থেকে যাইতে বলেছিল।
বাবার কথায় সম্মান জানিয়ে চাচ্চুদের সাথে চাঁদ রাতের দিন গ্রামে যাই যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আমার মেজো বড়আম্মু তার দুই সেলে সাথে আসে মেঝ বড় আব্বু ছুটি পায়নি যার ফলে শুধু বড় আম্মু আসতে পেরেছিল। ছোট চাচ্চুরা যেয়ে ঈদের আগের দিন মানে চাঁদ রাতের দিন গরু কিনে নিয়ে আসে শহর থেকে।
বরাবরের মতো ঈদের দিন সকালে সবাই ঘুম থেকে ওঠে নাস্তা পানি করে ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং এসে গরু কোরবানি করে এটাই কিন্তু এবার আমার সাথে একটি ব্যতিক্রম ঘটনা হয়েছে গোসল করে রেডি হয়ে ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে ভোর সকালে বৃষ্টি হওয়ার ফলে রাস্তায় কাদা হয়েছিল যার ফলে ব্যতিক্রম ভাবে কাঁদাতে পড়ে আমার কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
হয়তোবা ব্যাপারটা কারো কাছে হাস্যকর হতে পারে আমার কাছে অনেক বেদনা জনক ছিল বাড়ি ফিরে কাপড় চেঞ্জ করে আবার একটি পাঞ্জাবী পড়ে আসতে হয়েছিল আমায় বিষয়টা মন ভুলানোর চেষ্টা করে সে মনে আমিও আমার চাচাতো ভাইয়েরা নামাজের উদ্দেশ্যে আবার রওনা দেই।
আমাদেরকে নিয়ম আছে প্রতিবারের মতো বাবারা চার ভাইয়েরা একসাথে হয়ে আনন্দের সাথে কোরবানি দিয়ে ১ ভাগ গরীব দুঃখী মানুষদেরকে দিয়ে ১ ভাগ নিজেরা ভাগ করে আরেক ভাগ মসজিদে দিয়ে এবং শেষ ভাগ রান্না করে সবাই আনন্দ উল্লাস করে খাওয়া দাওয়া করা। খাওয়ার মাঝখানে বাবা এবং চাচ্চু মিলে একটি হাস্যকর কথা বলে এবং আমরা সবাই হেসে উঠি এই নিয়ে ঈদ আনন্দ শেষ হয়।
কিন্তু এবার আমার ঈদ একদমই ভালো হয়নি না ছিল বাবা না ছিল মেঝ চাচ্চু ছিলাম মাত্র আমরা কয়েকজন দুপুরে গরুর মাংস রান্না করার পর সবাই সবার মত খাওয়া দাওয়া করে নিজের গন্তব্যে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করি। সবাই সবার সাথে শেষবারের মতো দেখা করে নিজের গন্তব্যে রওনা দিয়ে দেই।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আশা করি আমার ঈদ উদযাপন আপনাদের মাঝে ভালই লেগেছে সবার সুস্থতা কামনা করে বিদায় নিচ্ছি আসসালামু আলাইকুম।
cc: @farhan456
Device | name |
---|---|
Android: | Google pixel 2 xL |
Android version: | Android 8.0 (Oreo), upgradable to Android 11 |
Camera: | 12MP 2160p |
Location: | Bangladesh-bogura |
Short by : | @farhan456 |
কুরবানী মানে শুধু নিজের পেট ভারি করা না। আপনার পোস্টের সুন্দর দিক হলো তিন ভাগের এক ভাগ মাংস আপনি গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন সেতা আমার ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সাথে আমিও এক মত আমাদের এই ভাবেই ভাগ করা উচিত।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনাদের ঈদ অনেক আনন্দে কেটেছে ৷ সকাল বেলা উঠে নামাজে গেছিলেন তারপর নামাজ থেকে এসে কোরবানি সমস্ত আয়োজন শুরু করেছেন ৷ সব শেষে ঘুরতে বের হয়েছেন ৷ আর আপন জন অনুপস্থিত থাকলে একটু খারাপ লাগবেই ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷