এখানে কোন ভবিষ্যৎ নেই।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি তো প্রতিবারের মতো আজকে আমাদের মাঝে আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আশাকরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আপনারা মূলত সবাই জানেন আমি একজন ছাত্র এবং বগুড়াতে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছি ছোট থেকে মানত করেছে মাদ্রাসা লাইনে পড়াবে এবং বড় হাফেজ মাওলানা বানাবে। হ্যাঁ বাবা মার এই বিষয়ে প্রেক্ষাপটে আমি মূল্যায়ন করে মেনে নিয়ে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছি এবং নিজেকে মানুষ হয়ে বড় কিছু হওয়ার জন্য চেষ্টা করছি।
বাবা মার আশাকে পূর্ণ করার জন্য মনে প্রানে তাগিদ দিয়ে সম্পূর্ণরূপে চেষ্টা করছি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পারিবারিক ক্রাইসিস শারীরিক সমস্যা মানসিক দুর্বলতা নিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু হ্যাঁ, বয়স আমার অনেক কম কিন্তু সহ্য পোহাতে হচ্ছে আমাকে অনেক যা দাঁতে দাঁত কামড় দিয়ে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
মূলত আজকে যে বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি বিষয়টি হচ্ছে এত কিছুর মূলে ভুল সিদ্ধান্ত পারিবারিক ক্রাইসিস এর কারণে ঢাকা থেকে বগুড়াতে পড়াশোনা করার জন্য আসতে হয়েছে বাধ্য হয়ে আমাকে এখানে মূলত পড়াশোনা করার জন্য এবং নিজেকে ইস্টাবলিশ করার জন্য মানুষ শহরে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু সেখানে আমাকে শহর ছেড়ে গ্রামে আসতে হয়েছে বিষয়টি কিন্তু ভাবার বিষয়।
মূলত ঢাকাতে আমি যে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতাম একই মাদ্রাসার আরেকটি ভবন ও শাখা ছিল বগুড়াতে সবকিছুকে মেনে নিয়ে বগুড়াতে আসার চেষ্টা করেছি এবং সক্ষম হয়ে একই মাদ্রাসার বগুড়া শাখায় ভর্তি হয়েছি। বেশ পড়াশোনার জন্য নিজেকে একনিষ্ঠতার সাথে চালিয়ে যাচ্ছিলাম।
কোরআনে হাফেজ হওয়ার জন্য আমি মূলত কোরআন শরীফের 30 পারার ভেতর ১১.৫ পাড়ায় মুখস্থ করে ফেলেছিলাম নিজেকে মানুষ হওয়ার এবং বাবা-মার স্বপ্ন পূরণ করার তাগিদে আমার স্বপ্ন এগিয়ে যাচ্ছিল।
কোরআনে হাফেজ হওয়াটা মূলত একটি চ্যালেঞ্জ এর বিষয় ছিল আমার কাছে যা আমাকে সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ করতেই হবে মাঝপথে করোনা আসার ফলে স্বপ্নটা ভেঙ্গে যেতে শুরু করে এবং আমি নিজেকে হার মানতে শুরু করি।
বাবা মার ইচ্ছায় নিজেও ভাবতাম স্বপ্নটা হবে হাফেজ এবং মাওলানা হওয়ার কিন্তু মূলত করোনা আসার ফলে স্বপ্নটা ভেঙ্গে যায়। দুই বছর টাইম লেগেছিল ৩০ পারার ভেতর ১১.৫ করতে করোনা আসার ফলে সবকিছু ভুলে খেয়ে ফেলি যার ফলে ভুলের মাশুল দিতে আমার অনেক সময় লেগে যেত এতে ভবিষ্যতের জন্য এবং সমাজের নিয়মাবলী কাছে আমি হেরে যেতাম।
একটি চাকরি বা কাজ করতে গেলে সমাজ হাফেজে কোরআন এবং মাওলানা দেখেনা সমাজ দেখে কি পাস করেছ তুমি, জেনারেল লাইনের যোগ্যতা কি তোমার এই সমস্যাটি সবার ক্ষেত্রে নয় শুধুমাত্র মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের জন্য হয়ে থাকে।
সবকিছুর মূলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হই এক্ষেত্রে মাওলানা হতে পারবো এবং জেনারেল লাইন ও থাকবে যার ফলে আমি সবকিছু সমানভাবে করতে পারব সবার ইচ্ছায় এবং আশেপাশে মানুষের মতামতে একটি আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হই।
ভর্তি হওয়াটা ছিল আমার সর্বোচ্চ ভুল সিদ্ধান্ত মনে মনে ভাবা যায় আমি ১ কিলো ২ কিলো হেটে এলাম কিন্তু বাস্তবটা কঠিন সবাই সুন্দর সুন্দর সুমন্ত্রনা দিতে লাগলো। বাবা ভর্তি হও মাদ্রাসায়. মাদ্রাসা টা অনেক ভালো পড়াশোনার মান অনেক ভালো পড়াশোনা না করতে চাইলেও হাতে ধরে পড়াশোনা করে নিবে তোমার কাছে।
এরকম করাকরি নিয়ম শোনার পরে মাদ্রাসায় ভর্তি হই স্বপ্ন জয়ের জন্য বছরের শুরুর দিকে ছাত্ররা ভর্তি হতে থাকে যার ফলে দুমাস ঠিকমতো মাদ্রাসা চলেনি মনে করেছিলাম এই কারণে হয়তো দু'মাস পড়াশোনা হচ্ছে না। কিন্তু ২ মাস থেকে ৩ মাস ৫ মাস এবং কি এক বছর চলে যায়। ক্লাস ৮ টা কোনভাবে ভালো রেজাল্টের মাধ্যমে পাশ টা করেছিলাম। ৮১ জন ছাত্রের ভেতর বার্ষিক পরীক্ষায় ৩১ জন ফেল করেছে বিষয়টি বুঝতে পারছেন।
সবকিছু মেনে নিয়ে এবার ক্লাস ৯ এ উঠেছি পড়াশোনা নিজের কাছে, এইভেবে পড়াশোনা করছি বছরের ৩ মাস অন্তর মাদ্রাসা থেকে বই পুস্তক দেয়। বিষয়টি ভাবতে পারছেন সরকারি মাদ্রাসার স্যার প্রিন্সিপালরা সবকিছু ধুলোখেলা মনে করে। এসএসসি পরীক্ষার জন্য দুই মাস বন্ধ দিয়ে আজ ৩ তারিখ মাধ্যমিক ভবনের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
দুদিন আগে জানাচ্ছে পরীক্ষা ১০ তারিখের পর হবে এবং কি মাদ্রাসা থেকে এখন পর্যন্ত সিলেবাস দেয় নাই। আমি এখানে কোন ভবিষ্যৎ দেখতে পারছি না, সবশেষে লেখার শীর্ষকটি বলতে চাই।
এখানে কোন ভবিষ্যৎ নেই
আজকের মত এখানে শেষ করছি বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি আসসালামু আলাইকুম।
cc: @farhan456
Device | name |
---|---|
Android: | Google pixel 2 xL |
Android version: | Android 8.0 (Oreo), upgradable to Android 11 |
Camera: | 12MP 2160p |
Location: | Bangladesh-bogura |
Short by : | Pixabay |
প্রিয় ভাই, আপনার পুরো ঘটনাটি পড়লাম। পড়ে যেটা বুজলাম যে আপনি বেশ হতাশায় ভুগছেন। আপনি আপনার জীবনের সঠিক সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়তো ভুল করেছেন বা করেননি সেটা আমি বলবো না, আমি শুধু বলবো আপনি যেখানেই পড়াশোনা করেন না কেন, যদি মন দিয়ে ও সময়মতো ঠিকঠাক পড়াশোনা করেন তাহলে আপনি সফল হবেন।
হ্যাঁ বিদ্যালয় বা কলেজে সমস্যা থাকবেই। কিন্তু সেই সমস্যাকে মোকাবেলা করার ধৈর্য্য রাখা অত্যন্ত জরুরী। ধৈর্য্য হারা হলে চলবে না প্রিয় ভাই। আপনার গন্তব্য ঠিক করুন তার এগিয়ে যান। মাঝপথে হতাশ হওয়ার কোনো মানে হয় না। আল্লাহ আপনাকে উত্তম কিছু দান করুক ও আপনার সমস্যাগুলোর সমাধান করে দিক এই দোয়া করি। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আমাকে মোটিভেট করার জন্য। ভালো থাকবেন।💞