পড়ন্ত বিকেলে ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়া// উত্তেজক কিছু মুহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আজকে আমরা জানবো পড়ন্ত বিকেলে ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়া উত্তেজক কিছু মুহুর্ত।
ক্রিকেট খেলা যত উত্তেজক হোক না কেন,গ্রামে গঞ্জে কিন্তু এখনো ফুটবলের মত উত্তেজক আর কিছু হয়না।কোথাও প্রতিযোগীতামূলক ফুটবল খেলার কথা শুনলেই সবাই পিলপিল করে সেখানে জমা হতে থাকে।মানুষ উপচে পড়ে মাঠে।
আমার মনে হয় এর পেছনের প্রধান কারন প্রতিমূহুর্তের আক্রমণ প্রতিআক্রমণ,আর নির্দিষ্ট সময়ের মাঝেই ফুটবল খেলা শেষ হয়ে যায়।যাই হোক অনেক বকবক করলাম এখন চলে যাই আসল টপিকে।
Pixabay
কয়েকদিন আগে বিকেলে প্রকৃতির সান্নিধ্য পাবার জন্য মন ছটফট করছিল।তাই বন্ধুকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম হাটতে।হাটতে হাটতে চলে গেলাম ব্রিজের দিকে।সেখানে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম হঠাৎ একটি মাইকের আওউয়াজ মনযোগ আকর্ষণ করল।একটু মনযোগ দিয়ে শুনতেই বুঝলাম কে যেন ফুটবল খেলার ধারাভাষ্য দিচ্ছে।
Pixabay
আর যে ধারাভাষ্য দিচ্ছে সে বেশ মজার মানুষ।ধারাভাষ্য দিতে দিতে দর্শক দের মনোরঞ্জন করার জন্য মজার মজার কথা বলছেন।একসময় বললেন,"আমাদের সৌদি আরব থেকে আগত প্লেয়ার এর খেলা দেখে যান"।আমি একটু কৌতুহলী হলাম।ব্যাপার কি? সৌদি আরবের প্লেয়ার।যাই তো দেখে আসি।
বন্ধুকে রাজি করিয়ে চলে গেলাম সেই মাইকের আওয়াজ কে উদ্দেশ্য করে।গিয়ে দেখি কোথায় মাঠ কোথায় কি।পতিত জমির মাঝে চলছে ফুটবল খেলা।জমির আইল গুলোও আছে বহাল তবিয়তে।ফলে অনেক বলই আইলে ধাক্কা খেয়ে বিপথে চলে যাচ্ছে।কিন্তু প্লেয়ার রাও দ্বিগুণ উৎসাহে আবার বল কে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনছে।
যাই হোক ধারাভাষ্যকার মজা করে সৌদি আরবের প্লেয়ার কথা বললেও কিন্তু মিথ্যা বলে নি।কারন আসলেই সৌদির প্লেয়ার সেই মাঠে খেলছে।কি মাথায় ঢুকছে না? আরে আমাদের সৌদির প্রবাসী ভাইয়েরা ছুটিতে বাড়িতে ফিরে এসেছে ছুটিতে।আর তারাই আয়োজন করেছে এই খেলার। বেশ করে আমার বন্ধুর ভাই এই খেলার আয়োজন করেছে এবার সবাই বুঝতে পেরেছেন বন্ধুরা।
খেলা হচ্ছে মূলত লীগ সিস্টেমে।চার দলের লীগ।এলাকারই চার দল। বেশি পয়েন্ট পাওয়া দুই দল যাবে সরাসরি ফাইনালে।তবে যেই জিতুক পুরষ্কার সবাই পাবে।মানে প্রধান পুরষ্কার হচ্ছে একটি খাসি।আর যেই জিতুক খাসি দিয়ে পিকনিক হবে আর তাতে সব দলই অংশ নেবে।দলে খালি প্রবাসীরাই নেই,এলাকার ছেলেরাও খেলছে।
Pixabay
যাই হোক এখন খেলার কথায় ফিরে আসি।আমি যখন যাই। খেলা তখন মাঝপথে।দুই দলই দুর্দান্ত খেলছিল।আর মাঠ ছোট হওয়াতে মুহুর্তেই আক্রমণ পরিণত হচ্ছিল প্রতিআক্রমণে।বেশ জমে উঠেছিল খেলা।কিন্তু হঠাৎ করেই একদলের প্রতিরক্ষা তে চিড় দেখা যায়।প্রতিপক্ষের কর্ণার থ্রো তে প্লেয়ার মার্ক করতে ভুল করে ফলে একজন হেড থেকে গোল করে ফেলে।
এরপর গোল হজম করা দলটি মরিয়া হয়ে ওঠে গোল শোধ করতে কিন্তু তারা ব্যার্থ হচ্ছিল। আমি ভাবছিলাম,যে দলই জয়ী হোক,আমার কিন্তু বিকেলটি দারুন কাটল।একে তো টান টান উত্তেজণা পূর্ণ খেলা।তারউপর ধারাভাষ্যকারের মজার কথা।বেশ লাগছিল।এরপর সন্ধ্যার আজানের সাথে সাথেই খেলা সাঙ্গ হল।একগোল দেওয়া দলটি জয়ী হয়। একটা জিনিস ভাল লাগল।ম্যাচ শেষে বিজয়উদাযাপনের আগে সবাই আগে নিজেদের মধ্যে হাতমেলাল।এবং বিজয়ী দল বিজিত দলকে শান্তনা দিল।এরপর তারা মাঠ থেকে যাওয়ার পর তারা বিজয় উদযাপন শুরু করল।
এরপর আমি আর বন্ধু বাড়ি ফিরে আসলাম।দারুন একটি বিকেল উপভোগ করলাম।আর ভাবলাম কোথায় লাগে এর কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি বন্ধুরা সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার জন্য দোয়া করুন।
আসসালামু আলাইকুম
বেশ ভালো লিখেছেন। ভালো লাগলো ফুটবল খেলা দেখার অভিজ্ঞতার কথা পড়ে। গ্রামের দিকে শীতকালে এই ধরনের খেলা হতে দেখা যায়। ভালো থাকবেন।
জি দিদি❤️❤️
জি দিদি❤️❤️
মজার ছলে ফুটবল খেলার গল্পো আমাদের সাথে ভাগ করে নেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। লেখাটা পড়ে বেশ মজা পেলাম। এরকম ভাবে আমাদের সাথে বিভিন্ন স্বাদের লেখা ভাগ করে নেবেন এই আশা রাখছি।
অবশ্যই দিদি❤️❤️
ভাই আপনার লেখা আজকে আমার মন ছুঁয়ে গেছে দুটি কারণে, একটি কারণ হলো ফুলবল আমার প্রিয় খেলা আর অন্যটি মজার লেখা লিখতে এবং পড়তে আমি ভালোবাসি। ভালো থাকবেন সবসময় আর এই ভাবেই ধৈর্যের সাথে কাজ করে যাবেন, নিশ্চই ফল পাবেন।
আমাদের অ্যাডমিন এবং মডারেটর খুবই ভালো, সবসময় সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকেন।
জি ভাইয়া ❤️❤️❤️
আমাদের কলেজেও এখন ফুটবল খেলা হচ্ছে। প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট থেকে এক একটি দল হয়ে খেলাধুলায় মগ্ন।
আমরা অবশ্য ফাইনাল ম্যাচ অব্দি যেতে পারিনি।
খেলাধুলার পোস্ট অনেক ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ❤️❤️❤️