শৈশবের একটি স্মৃতিচারণ।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আজকে আপনাদের মাঝে আমার শৈশবের একটি স্মৃতি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি সবাই ভাল লাগবে মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
আজকের পোস্টটি নিয়ে লিখতে বসলাম এবং কিছু ভাবতে পারছিলাম না তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে শৈশবের কিছু স্মৃতির গল্প ভাগ করে নেই। আসলে শৈশবের স্মৃতিগুলো কখনোই ভোলা সম্ভব না যতদিন যায় তত স্মৃতিগুলো স্পষ্টভাবে মনের মাঝে গেঁথে থাকে।
আমাদের শৈশবের স্মৃতিগুলো আমাদের একটি স্বর্ণালী সময়। যে স্বর্ণালী কখনোই ভোলা যায় না বরঞ্চ যত দিন যায় ততোই স্বর্ণালী স্মৃতিগুলো স্মৃতির পাতায় পরিষ্কার হতে থাকে। আমার দেখা হয়তো এমন মানুষ অনেক কম আছে যারা শৈশবের কথা মনে রাখতে চায় না হাতে গোনা বেশিরভাগ মানুষেরাই ছোটবেলার স্মৃতিগুলো স্বর্ণালীভাবে মনে রাখে এবং অনেক মিস করে। আমিও তাদের ভেতর একজন যা শৈশবের দুষ্টামি আড্ডা খেলা দুরন্তপনা অনেক মিস করে থাকি।
যাইহোক আজকে যে কথা বলতে এলাম। অনেকদিন আগের একটি ঘটনা তখন এরকম বৃষ্টির দিন ছিল এবং বর্ষাকাল চলছিল আমরা তখন গ্রামের বাড়িতে থাকতাম আমার একটি ছোট্ট বন্ধু ছিল ওর নাম ছিল ইয়াসিন আমি আরো অনেক ভালো বন্ধু ছিলাম পরিস্থিতি বদলানোর কারণে ওর সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই।
মূলত আজকে যে স্মৃতির গল্প বলবো তখন অনেক বর্ষার দিন চলছিল রাত্রিবেলা অনেক বৃষ্টি এবং ঝড় হওয়ার ফলে বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছিল এবং আমরা অনেক বিপদে পড়েছিলাম তখন আমার ওই ইয়াসিন বন্ধু বাসায় গিয়ে আমরা উঠেছিলাম।
সকাল পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে বৃষ্টি কমে আসে এবং আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায় আমি আর ইয়াসিন বাসায় বসে খেলছিলাম বাবা গিয়েছিলেন দোকানে টিন আনতে। আম্মু এবং নানু বাড়ির কাজ করছিল ফার্নিচার গুলা ঠিক করছিল বৃষ্টিতে সবকিছু উলটপালট হয়ে গিয়েছিল বেশ সময়টা অনেক ভয়ংকর কেটেছিল আমাদের সাথে।
তো মূল কাহিনীটা হচ্ছে আমি আর ইয়াসিন বৃষ্টির পরে সকালে ও আর আমি খেলতে মাঠে গিয়েছিলাম এবং আমার হাতে একটা লাঠি ছিল লাঠির ভেতরে একটি বোতল ঢুকিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে মাঠে খেলতে গিয়েছিলাম।
খেলাধুলা করে দুপুরে বাসায় ফিরবার আগে ইয়াসিন বলল সামনে রাস্তার ওপাশে মেলা হচ্ছে চল মেলা থেকে ঘুরে আসি তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম এবং ইয়াসিন ঠিকই তার বাসা চিনতো আমি চিনতাম না।
মেলার ভেতর ঘুরতে ঘুরতে আমি আর ইয়াসিন হাতছাড়া হয়ে যায় এবং ইয়াসিন আমাকে খুঁজে না পেয়ে ও বাসায় চলে যায় দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যার কাছাকাছি চলে যায় এবং আমি অনেকক্ষণ সময়ব্যাপী বাসায় না থাকায় আম্মু আর নানু বেশ চিন্তায় পড়ে যায়।
ইয়াসিনকে জিজ্ঞেস করলে ইয়াসিন বলে আমি মেলার ভেতরে ছিলাম ওকে খুঁজে পাইনি আমি বাসায় চলে এসেছি। এবং আমি বাসা খুজে না পেয়ে অনেক কান্নাকাটি করছিলাম এবং একটি আন্টি আমায় বিস্কুট কিনে খাওয়ায় এবং আমার কান্না থামায়।
পরবর্তীতে আন্টি না পেরে আমাকে থানায় নিয়ে যায় এবং পুলিশ আঙ্কেল রা মাইকিং করে এবং তার পরবর্তী দিনে আম্মু থানা থেকে আমাকে নিয়ে আসে। আমার জন্য আম্মু বাবা নানুর অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল এবং আম্মু মনে করেছিল আমাকে কেউ কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছে।
আমাকে বাসায় নিয়ে আসার পর কঠিন ভাবে উত্তম ভালোবাসা দিয়েছে যার ফলে এক মাস বাসা থেকে বেরোতে পারিনি, আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন উত্তম ভালোবাসাটা কি দিয়েছে।
আজকের মত এখানে শেষ করছি বন্ধুরা আশা করি সবার কাছে আমার শৈশবের একটি মজার গল্প অনেক ভালো লেগেছে সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
cc: @farhan456
Device | name |
---|---|
Android: | Google pixel 2 xL |
Android version: | Android 8.0 (Oreo), upgradable to Android 11 |
Camera: | 12MP 2160p |
Location: | Bangladesh-bogura |
Short by : | Pixabay |
হাহাহা! পুরো গল্পে যদিও বিভিন্ন হৃদয় বিদারক স্মৃতিচারণ করছেন তবে গল্পের শেষে এসে খানিকটা হাসারও সুযোগ করে দিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।
আপনারা দুই বন্ধু মেলাতে গিয়েছিলেন ৷ তারপর মেলায় ঘুরতে ঘুরতে আপনি হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছিলেন ৷ তারপর আপনাকে থানায় নিয়ে গিয়ে পরে মাইকিং করা হয়েছিল ৷
যাই হোক ভাই আপনার গল্পটি বেশ ভালোই লাগলো ৷ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ৷
ভাই আপনার পুরো ঘটনাটি পড়লাম। আসলে শৈশবে আমরা অনেকেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হই। কারণ সেই সময়টায় আমাদের মাথায় যাই আসে আমরা সেটাই করার চেষ্টা করি। তবে শৈশবের স্মৃতিগুলো কিন্তু অনেক আনন্দের হয়ে থাকে। সবসময় আমরা সেই স্মৃতিগুলো আকরে ধরার চেষ্টা করি।
যাই হোক আপনাকে আবার খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো সেটি পড়ে ভালো লাগলো। এমন বিপদে পরলে আসলে বাড়ীর বড়রা অনেক চিন্তা করে। যাই হোক ভাই ভালো থাকবেন সবসময় ও সুস্থ থাকবেন।