সন্তানের একটু কষ্টতেই মায়ের কষ্ট হয়
হ্যালো সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ইনশাল্লাহ অনেক ভালো আছি।
সন্তানের একটু কষ্ট হলেই বাবা-মায়ের খুবই কষ্ট হয় বিশেষ করে মায়েদের একটু বেশিই কষ্ট হয়। জানিনা আমার সাথে আপনারা একমত কিনা। তবুও আমি মনে করি সন্তানের সামান্য একটু ব্যাথা লাগলেও মায়ের কষ্ট হয়।
এটা আমি আমার জীবন দিয়ে জানি কারণ আমিও একজন মা। সন্তানের সামান্য কিছু হলেই মায়ের ঠিক কতটা কষ্ট হয় সেটা এখন আমি বুঝতে পারি। আসলে আগে বুঝতাম না যখন কারো মেয়ে ছিলাম। তখন দেখেছি যে আমার কোন কিছু হলে কিংবা আমার ভাইয়ের কোন কিছু হলে আমার মা খুব কষ্ট পেতেন কিন্তু ঠিক তখন ততটা বুঝতাম না আসলে কি জন্য আমার মা কান্না করতেন। কিন্তু এখন বুঝতে পারি যে আমার মা কি জন্য কান্না করতেন আর এখনো কি জন্য কোন কিছু হলে কান্না করেন কেন। কারণ এখন আমিও মা এজন্য বুঝতে পারি যে সন্তানের কোন কিছু হলে বাবা-মায়ের ঠিক কতটা চিন্তা হয়, কতটা কষ্ট হয়।
কিছুদিন যাবত ধরে আমার মেয়েরাও খুবই অসুস্থ। হ্যাঁ অবশ্য দুজন মেয়ে। আসলে আমার বড় মেয়ের নাম মিম আর ছোট মেয়ের নাম আয়েশা। তো আমার ছোট মেয়ের কিছুদিন যাবত ধরে সর্দি। এজন্য সে অনেক জ্বালাতন করে অনেক কান্নাকাটি করে তখন আমার খুবই কষ্ট হয় আসলে সন্তানের কোন কিছু হলে সব বাবা মায়ের কষ্ট হয়।
বিশেষ করে আমার বড় মেয়ে আরও বেশি অসুস্থ। কিছুদিন যাবত ধরে আমার বড় মেয়ে ঘুম থেকে কান্না করতে করতে ওঠে। সে কিসের জন্য কান্না করে বলতে পারেনা। সে অনেক ভয় পায়। এজন্য তাকে কবিরাজের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। আসলে আমরা অনেকেই কবিরাজে বিশ্বাস করি না কিন্তু কিছু কিছু কাজে আমাদের বিশ্বাস করতে হয়। তো সেখানে আমার শশুর নিয়ে যায় যেহেতু আমার কোলে ছোট বাচ্চা এজন্য আমি যেতে পারিনি।
তো সেখানে গিয়ে জানা যায় যে আমার বড় মেয়ের জ্বীনের সমস্যা হয়েছে। তবে অনেকেই জ্বীনে বিশ্বাসী নন। কিন্তু অনেক সময় এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। তো সেখান থেকে তদবির করে আনা হয়। এরপর বেশ কিছুদিন ভালো থাকে আর কোন সমস্যা হয় না কিন্তু আবার হঠাৎ করে বেশ কিছুদিন যাবত ধরে আবার একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এজন্য তাকে আবারও সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
তো সেখান থেকে আবারো জানা যায় যে আমার মেয়ের জিনের সমস্যার সাথে সাথে লিভারেরও সমস্যা হয়েছে। তো সেখান থেকে আবারো তদবির করে দেওয়া হয় এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তো সেখান থেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ডাক্তার দেখিয়ে লিভারের ওষুধ আনা হয়। ওষুধ খাওয়ার পরে এখন অনেকটা সুস্থ হয়েছে কিন্তু এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমার মেয়েরা যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
তো আসলে এই কথাগুলো বলার একটাই কারণ যে প্রত্যেক বাবা-মায়েরই তাদের সন্তানদের জন্য চিন্তা হয় তাদের সন্তানদের সামান্য ব্যথা লাগলেও বাবা-মায়ের খুবই কষ্ট হয়। এটা এখন আমি বুঝতে পারি যে বাবা-মায়ের ঠিক কতটা কষ্ট হয় তার সন্তানের জন্য। কারণ আমিও এখন কারো মা। এখন যেমন আমি বুঝতে পারি যে আমার সন্তানদের সামান্য কষ্ট হলেও আমার ঠিক কতটা কষ্ট হয়। ঠিক তেমনি আমার কষ্ট হলে আমার বাবা-মায়ের ঠিক কতটা কষ্ট হতো আর এখনও পর্যন্ত ঠিক কতটা কষ্ট হয়।
অবশেষে বলবো সন্তান যেমনই হোক না কেন বাবা মায়ের কাছে প্রত্যেক সন্তানই তার শ্রেষ্ঠ সন্তান। আর সন্তান যেমনই হোক না কেন সন্তানের সামান্য কষ্ট হলেও বাবা মায়ের বুক ফেটে যায়। আর এটাই বাস্তবতা।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আমার লেখা পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই পৃথিবীতে বিনা স্বার্থে যদি কেউ কাউকে ভালোবেসে থাকে! সেটা হচ্ছে বাবা-মা! বাবা-মায়ের ভালোবাসাটা হচ্ছে সবচাইতে মূল্যবান! সৃষ্টিকর্তার পরে কেউ যদি,,, আপনার ভালো চায়! সেটা হচ্ছে আপনার বাবা-মা।
আমি আপনার কথার সাথে অবশ্যই একমত পোষণ করছি! কারণ মাঝে মাঝে দেখা যায় আমার সন্তানেরা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে,,, রাতের পর রাত ছাড়া ঘুমাতে পারে না! তখন তাদের কষ্টের চাইতে আমার কষ্ট অনেক বেশি হয়।
সন্তানকে একটু ভালো রাখার জন্য বাবার চাইতে মা অনেক বেশি কষ্ট করে! কারণ মা চায় তার সন্তানটা একটু হলেও ভালো থাকুক! অসুস্থ হলে কিভাবে সন্তানটাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করা যায়! সেই টেনশনে মায়ের ঘুম হয় না,,, এটাই হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
সন্তানের একটু কষ্ট হলেই বাবা-মায়ের খুবই কষ্ট হয় বিশেষ করে মায়েদের একটু বেশিই কষ্ট হয়।একদম ঠিক কথা। কারন সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা থাকে বেশি। দেখা যায় সন্তান ভুল করলেও মা কিছু বলে না।এছাড়া সন্তানকে একটু ভালো রাখার জন্য বাবার চাইতে মা অনেক বেশি কষ্ট করে। কারণ মা চায় তার সন্তানটা সবসময় ভালো থাকুক। অসুস্থ হলে কিভাবে সন্তানটাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করা যায়।সেই টেনশনে মায়ের ঘুম হয় না।এটাই হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা। কারন একটা মেয়ে যখন মা হয় তখন সে বুঝতে পারে সন্তানের প্রতি কিরুপ ভালোবাসা যেমন ছোটবলায় বুঝতে পারেনি। এখন বোঝো। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন