বিপদ কখন যে কার কিভাবে আসে কেউ বলতে পারেনা (No one can tell when and how danger will come)
হ্যালো সকল স্টিমিয়ান বন্ধুরা,
আমার পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ইনশাল্লাহ অনেক ভালো আছি।
বিপদ কখন যে কার কিভাবে আসে কেউ বলতে পারেনা। এজন্য অন্যের বিপদ থেকে কখনো হাসতে নেই। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের বিপদে মুখে দুঃখ প্রকাশ করে কিন্তু ভেতরে ভেতরে আনন্দ উপভোগ করে। কিন্তু তারা এটা ভাবে না যে তার ও হঠাৎ করে বিপদ হতে পারে।
আমাদের পাশের বাড়ির এক প্রতিবেশীর কথাই বলি তিনি অন্যের বিপদ দেখলে সব সময় বিভিন্ন ধরনের কথা বলতেন এবং বিপদের কথা শুনে এড়িয়ে যেতেন। তিনি সম্পর্কে আমাদের পাড়া-প্রতিবেশী ফুফু হন। তো যখন নিজেদের সামান্য বিপদ হতো তখন সেটাকেই বড় করে ধরতেন কিন্তু অন্যের বিপদে সবসময় বিভিন্ন ধরনের কথা বলতেন।
খুব বেশি দিনের কথা নয় প্রায় মাসখানেক হবে সেই পাড়া প্রতিবেশী ফুফুর পা ভেঙে যায়। আসলে তিনি অনেক গরু এবং ছাগল লালন-পালন করে থাকেন। তো গরু গোয়াল ঘর থেকে বের করার সময় গরু তার হাত থেকে ফকসে যায় এবং তিনি সেখানে পড়ে যান। তার পা পড়ে গিয়ে ভেঙে যায়। আসলে তার পায়ের পাতার একটি আঙ্গুলের হার মাঝখান বরাবর ভেঙে যায়। তো তিনি প্লাস্টার করে আনেন। এভাবে কিছুদিন থাকার পরে তিনি তার পায়ের ব্যান্ডেজ খুলে ফেলান। এরপর থেকে তিনি খুব একটা ভর দিয়ে হাঁটতে পারেন না। এটা কিন্তু হঠাৎ করে ই এই দূর ঘটনা ঘটে যায়।
এর কিছু দিনের মধ্যেই তাদের পরিবারে আবারও বিপদ নেমে আসে। ফুফুর তো সামান্য খরচে মিটে যায় কিন্তু এরপরে যে বিপদ তাদের পরিবারের নেমে আসে সেটা অনেক ব্যয়বহুল ছিল। আসলে ফুফুর একটি মাত্র ছেলে। তো ছেলে ক্লাস এইটে পড়াশোনা করে। তো তাদের স্কুলে ফুটবল খেলা হত প্রায় গেলে স্কুলের ছেলেরা মিলে ফুটবল খেলা করত। তো ফুফুর ছেলেও ফুটবল খেলা করতে যায়। তো ফুটবল খেলা করতে গিয়ে ফুফুর ছেলের ও পা ভেঙে যায়। এই ঘটনাটা ঘটেছে পাঁচ থেকে ছয় দিন আগে। তো এমন ভাবে ভেঙে যায় যে অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়।
তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চার ঘন্টা ব্যাপী অপারেশন করার পরে তাকে ওটি থেকে বের করা হয়। আসলে তার পা খুবই বাজে ভাবে ভেঙে যায় এবং তাকে অপারেশন করে পায়ে রড পরাতে হয়। আরে এটা ছিল খুবই ব্যয়বহুল। তবে এটা হয়তো ধনী ব্যক্তিদের জন্য ব্যয়বহুল নাও হতে পারে কিন্তু আমাদের মত গরীব মানুষের কাছে এটা অনেক বেশি। তো সে এখনও হাসপাতালে বেডে শুয়ে আছে। আর তার এই অবস্থা কথা শুনে আমার খুবই খারাপ লাগছে। আমি মন থেকে দোয়া করি সে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আর আপনারা সবাই দোয়া করবেন সে যেন খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আবারো যেন সে আগের মত হেসে খেলে, খেলাধুলা করে বেড়াতে পারে।
অবশেষে বলবো বিপদ কখন কার জীবনে কিভাবে আসে এটা বলা খুবই মুশকিল। দুর্ঘটনা কখন কার জীবনে ঘটে যাবে আমরা কেউই জানিনা। এজন্য অন্যের বিপদ দেখে আনন্দ উপভোগ না করে বরঞ্চ তাদের সাহায্য করা উচিত। তাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়া উচিত। তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো উচিত।
তো বন্ধুরা আজকের মত লেখাটি এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি।
Actually I am not very comfortable in English because my mother tongue is Bengali. And I feel comfortable expressing myself in my mother tongue. I hope you will like the article that I am sharing with you today |
---|
আসলে আমাদের ভবিষ্যতের কথা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানে না। ভবিষ্যতে কি হবে সেটা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। আমাদের জীবনে হঠাৎ করে এমন কিছু মুহূর্ত চলে আসে। যার জন্য আমরা কখনো প্রস্তুত থাকি না। ঠিক তেমনি আপনার ফুফুর সাথে এমনটাই হয়েছিল।
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা যেন আপনার ফুফুর ছেলেকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটা টপিক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আসলে ভবিষ্যতের কথা আমরা কেউই বলতে পারি না। কখন কার সাথে কি ঘটে যায় এটা বলা কখনোই সম্ভব নয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।
আমরা এ বিষয়টি জানি যে বিপদ কার কখন আসে তা কখনোই বলা যায় না কেননা আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানি না, তবে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকাই উত্তম। আপনার পাড়া-প্রতিবেশী ফুফুর বিপদকে কেন্দ্র করে লেখা আজকের এই আর্টিকেল।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা যেন আপনার ফুফুর ছেলেকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সতর্ক ও জ্ঞানমূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Thank you for your comment review
আপনি ঠিকই বলেছেন কখন কার বিপদ আসে সেটা আমরা কেউ জানিনা।। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষই আছে অন্যের বিপদ থেকে খুশি হন তারা হয়তো ভুলে যান তারাও এরকম বিপদে পড়তে পারেন।। ঠিক আপনার পাড়া প্রতিবেশী ফুফুর মত।।।।।
আপনার পোস্ট থেকে আজকে অনেক বড় শিক্ষা নেওয়ার আছে।।। আমাদের প্রত্যেক মানুষের কারো বিপদে এগিয়ে আসা উচিত তার বিপদ ডেকে আনন্দ নেওয়া কখনোই ঠিক না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।