ভালো কাজের ফল সব সময় ভালো হয় আর খারাপ কাজের ফল সবসময় খারাপই হয়
হ্যালো সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ইনশাল্লাহ অনেক ভালো আছি।
ভালো কাজের ফল সব সময় ভালো হয় আর খারাপ কাজের ফল সবসময় খারাপ হয়। আজকে আমি তেমনি একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এক ছিল রাজা। রাজার ছিল এক বৃদ্ধ মা। আসলে রাজার মাকে রাজমাতা বলা হয়। সেই রাজমাতা ছিল খুবই কৃপণ। সে কাউকে কোন কিছু দান করত না। কেউ যদি তার কাছে কিছু চাইতো তাহলে সে কোন কিছুই দিতো না। কোন ভিখারি এসে তার কাছে যদি কোন সাহায্য যেত তাহলে সে সেই ভিখারিকে চাল দেওয়ার বদলে ধান দিত। আসলে তখন ধান মাড়াই করতে খুবই কষ্ট হতো কারণ তখন ঢেঁকিতে পা দিয়ে ধান মাড়াই করে চাল বানানো হতো আর কেউ তো রাজমাতা খুবই কৃপণ ছিলেন এজন্য রাজমাতা কাউকে চাল দিতেন না। কেউ সাহায্য চাইতে আসলে তাকে ধান দিয়ে বিদায় দিতেন।
সেই সাথে সেই রাজার বাড়িতে এক কাঠুরে প্রতিদিন কাঠ নিয়ে যেতেন। সে অনেক সততার সাথে কাজ করতে এবং সব সময় সৎ পথে থাকতেন। সে রাজার বাড়িতে কাঠ দিয়ে প্রতিদিন ৩ টাকা করে পেতেন। সে সেই টাকা থেকে এক টাকা করে পথে কোন ভিকারীকে দান করে দিতেন এবং দুই টাকা বাড়িতে নিয়ে আসতেন। এভাবেই কাঠুরের জীবন যাপন করত।
প্রতিদিন কাঠুরের যে এক টাকা করে ভিখারীকে দান করতেন এজন্য তার স্ত্রীর কাছে তাকে অনেক কথা শুনতে হতো। কারণ সে যদি ৩ টাকা করে সম্পূর্ণ বাড়িতে নিয়ে আসে তাহলে তাদের সংসার আরো ভালো চলে যায়। কিংবা সে যদি সেই এক টাকা দান না করে বাড়িতে জমিয়ে রাখে তাহলে একসাথে অনেক টাকা তাদের জমা হয়। ফলে তারা অনেক সুখে জীবন যাপন পালন করতে পারতো। কিন্তু কাঠুরে তার স্ত্রীর কোন কথাই কান দিতেন না সে প্রতিদিন এক টাকা করে দান করতেন।
একদিন হঠাৎ সেই রাজার মা মারা যান। রাজা অনেক কান্না করেন তার পরেও মাকে বিদায় দিতে হবে। যেহেতু রাজমাতা এজন্য ধুমধাম করে তার বিদায় জানান। কিন্তু মরার পরে কবরের ভিতরে রাজ মাতার খুব কষ্ট হয়। সেখানে তাকে ভালো খেতে দেওয়া হয় না তেমন ভালো পোশাক দেওয়া হয় না। সে যেমন কেউ সাহায্য চাইতে আসলে তাকে ধান দিত তেমনি তার সামনেও ধান দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে কোন ভাত খেতে দেওয়া হয়নি। তার কবরে ধান খেয়েই জীবন যাপন করতে হয়।
এদিকে কাঠুরে প্রতিদিন এক টাকা করে দান করে একটি জান্নাত লাভ করেন। সে দুনিয়ায় থেকেই আখিরাতের জন্য কাজ করে যায়। সেই কাঠুরে বুঝতে পারে যে রাজার মায়ের খুব কষ্ট হচ্ছে কবরের ভিতর। সে একদিন রাজাকে বলে যে আপনার মায়ের খুবই কষ্ট। এদিকে রাজা বলে যে তুমি কি করে জানলে যে আমার মায়ের কবরের ভিতর কষ্ট হচ্ছে খুবই কষ্টে আছে। কাঠুরে বলল যে আমি স্বপ্নে দেখেছি। রাজা বিশ্বাস করতে চাইছিল না কিন্তু কাঠুরে বলল যে আমি আপনাকে দেখাতে পারি।
একদিন কাঠুরে রাজাকে সাথে করে নিয়ে গেল। রাজাকে চোখ বন্ধ করতে বলল এবং তার হাত ধরে থাকতে বলল। সেই কাঠুরে রাজাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে গেল। আসলে সে যেহেতু দুনিয়ায় থেকে একটি জান্নাত পেয়েছে এজন্য সে সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে কবরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এজন্য কাঠুরে রাজাকে সাথে করে নিয়ে গেল এবং তার মায়ের সামনে নিয়ে গেল। রাজা তার মাকে দেখে খুবই কান্না করলো খুবই কষ্ট পেল কারন তার মায়ের সামনে ধান ফেলে রাখা হয়েছে।
রাজা তার মায়ের কাছে জিজ্ঞাসা করল যে মা তোমার সামনে ধান দেওয়া কেন তোমাকে ভালো-মন্দ খেতে দেওয়া হয়নি কেন। কারণ রাজার মায়ের সামনে আরো অনেকে আছে যাদেরকে অনেক ভালো ভালো খাবার খেতে দেওয়া হয়েছে অনেক ভালো পোশাক পরতে দেওয়া হয়েছে। এজন্য রাজা তার মায়ের কাছে জিজ্ঞাসা করল যে তোমাকে ভালো খেতে দেওয়া হয়নি কেন ভালো পোশাক পড়তে দেওয়া হয়নি কেন। তখন রাজার মা বলল যে আমি দুনিয়ায় কাউকে ভালো খেতে দেয়নি কাউকে কোন পোশাক দান করিনি আসলে আমি দুনিয়ায় কোন ভাল কাজ করেনি এজন্য আমাকেও এখানে এইভাবে রাখা হয়েছে।
রাজা সব কিছু বুঝতে পারল এবং কাঠুরের সাথে আবার সে ফিরে আসলো। কাঠুরের রাজাকে বলল যে আপনি অনেক অনেক দান করেন এবং আপনার মায়ের জন্য অনেক দোয়া করেন তাহলে আপনার দোয়া কবুল হবে। এজন্য রাজা অনেক গরীব দুঃখীদের মাঝে কাপড় বিতরণ করেন এবং তাদেরকে দাওয়াত করে খেতে দেন। এর ফলে তার মায়ের কষ্ট অনেক নিবারণ হবে।
আসলে এই গল্পের মূল টপিক এটাই যে যেমন কর্ম করবে সে ঠিক তেমন ফল পাবে। ভালো কাজ করলে তার ফল অবশ্যই ভালো হবে আর যদি খারাপ কাজ করেন তাহলে তার ফল কখনোই ভালো হতে পারে না। এজন্য সৎ পথে থেকে সব সময় ভালো কাজ করতে হবে তাহলে সব সময় নিজেরও ভালো হবে। আর যে সৎ পথে থেকে সব সময় ভালো কাজ করেন সৃষ্টিকর্তা ও তার সহায় হন।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আমার গল্পটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। জানিনা আমার গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আশা করছি আমার গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে ।আর ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আর কোন ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ঠিক বলেছেন যে যার কর্ম তার তেমন ফল পাবে ৷ কারন ভালো কাজের ভালো ফল পাবে এটাই স্বাভাবিক আর ভালো কাজের চিন্তা ভাবনা সবসময় ভালো হয় ৷ তার জন্য ভালো কাজের জন্য মানুষ সবসময় ভালোই হয়ে থাকে ৷
আর খারাপ কাজ সবসময় মানুষদের খারাপ চিন্তা ভাবনা নিয়ে থাকে ৷ তাদের মনে কখনও ভালো কাজের চিন্তা ভাবনা আসবে না ৷ যার জন্য মানুষ খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে ৷ আর খারাপ কাজের ফল কখনই ভালো হয়ে থাকে না ৷
ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এত সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন ৷ সুস্থ থাকবেন ৷
আসলে যে যেমন কর্ম করবে সে ঠিক তেমনি ফল পাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলেই সত্য কথা যে যেমন কর্ম করবে সে ঠিক তেমন কর্ম ফল পাবে কারণ যে সব সময় ভালো কর্ম করে যায় সে ভালো ফল পায় এবং যে খারাপ কর্ম করে তার ফলটা দিন শেষে দেখা যায় খারাপ হয়।