অমানবিকতার উদাহরণস্বরূপ একটি বাস্তব ঘটনা রইলো আপনাদের মাঝে।
মা খুবই মধুর একটি ডাক, যদি বাচ্চা হওয়ার আগে সেই মায়ের কাছ থেকে, তার সন্তানের মুখে মা ডাক টা কেড়ে নিতে চাই তাহলে সেই মায়ের মতো অভাগী আর কেউ নাই। |
---|
বন্ধুরা আজ আপনাদের সাথে এমন একটি বিষয় তুলে ধরব, যে সন্তান জন্মানোর আগে সেই সন্তানকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিলো, ঘটনাটি ঘটেছিলো আমাদের সাতক্ষীরা জেলা কলারোয়া থানা গোয়ালচাতর গ্রামে। |
---|
এই ঘটনাটি ঘটে সেই মানুষটির দুইটি স্ত্রী আছে প্রথম স্ত্রীর তিনটি সন্তান আছে, এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর দুইটি সন্তান আছে দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম একটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে। |
---|
এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে একটি সন্তান আছে, কিন্তু সেই সন্তানকে দুনিয়ার মুখ দেখার আগে। প্রথম স্ত্রীর ছেলে-মেয়ে এবং তার মেয়ের স্বামী থেকে সেই সন্তানকে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দিয়েছিলো, অসহায় মা সেই জন্য তাদেরকে অনেক মানা করছিলো আমি আমার সন্তানকে বিক্রি করব না। |
---|
সে তার স্বামীর ভালোবাসা খুবই কম পেতো সব সময়, প্রথম স্ত্রী তার স্বামীকে অনেক চাপের ভেতরে রাখতো, প্রথম স্ত্রী যখন শুনতে পেলো দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে সন্তান আছে সেই সময় সে বুদ্ধি করে তার স্বামীকে বাগেরহাট পাঠিয়ে দিয়েছিলো কাজের জন্য। |
---|
এবং স্বামী বাগেরহাট কাজে যাওয়ার পরে সে তার নিজের মেয়েকে আর মেয়ের স্বামীকে বাসায় ডেকে আনলো, এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর বড় ছেলেকে বাসায় ডেকে এনে অনেক কিছু বোঝালো তারা। |
---|
প্রথম স্ত্রী এবং তার মেয়েরা সেই দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলেকে বলল, আমাদের বাবার বেশি জমি জায়গা নাই তোমার যদি এখন আরেকটা ভাই বা বোন হয়। তার তোমার জমির ভাগ দেওয়া লাগবে, আমাদের বাপের অল্প জমি জায়গা আছে তোমার মাকে বলো এই সন্তান তোমার মায়ের কাছে না রাখে। |
---|
প্রথম স্ত্রীর মেয়ের স্বামী বলল আমার খুবই ভালো একটি পরিচিত মানুষ আছে, তারা দুইজন স্কুলের শিক্ষক তাদের কোন ছেলে মেয়ে নাই। তারা একটি সন্তান দত্তক নিবে বলে খুঁজে বেড়াচ্ছে তুমি যদি চাও তাহলে আমি তাদের সাথে কথা বলতে পারি। |
---|
তখন দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে তাদের কথা শুনে রাজি হয়ে গেলো, কারণ তাকে ৩০০০০ টাকা দেওয়ার কথা বলছিলো প্রথম স্ত্রীর মেয়ের স্বামী। এভাবে চলছিলো বেশ কিছুদিন, হঠাৎ করে প্রথম স্ত্রীর ছোট মেয়ে, দ্বিতীয় স্ত্রীকে গায়ে হাত তুললো সে সন্তান দিতে চায় না বলে। |
---|
পরে আমাদের গ্রামের মেম্বারের সাথে কথা বলল আমার সন্তান এখনো দুনিয়ার মুখ দেখলো না, কিন্তু আমার সাথে এইসব ঘটে যাচ্ছে আপনারা একটি সুস্থ বিচার আমার করে দিবেন। আমার ছেলে এবং আমার সৎ মেয়েরা আমার প্রতি অনেক অত্যাচার করছে আমি সন্তানটি বিক্রি করব না বলে। |
---|
স্বামীর সাথে সব কথা আমি বলেছি কিন্তু সে আমার কথা কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না, তার ছেলে মেয়েরা তাকে নাকি বলেছে তুমি যদি বাড়ি আসো তাহলে তোমার পা কেটে নেবো, সেই ভয়ে আমার কথা শুনতে চাইছে না সেও বাচ্চাটি বিক্রি করে দিতে বলছে। |
---|
আসলে একটি মা কখনো সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে তার সন্তানকে বিক্রি করতে চায় না, এটাই স্বাভাবিক কারণ সে মানুষের বাসায় কাজ করে খাবে বা পথে ভিক্ষা করে খাবে। কিন্তু তার সন্তানকে কখনো দূরে পাঠাতে চায় না। |
---|
যারা বাচ্চাটি কিনতে চায় ছিলো তারা অনেক বড়লোক কারণ তাদের সবাই শিক্ষিত পরিবার, এবং সবাই ভালো চাকরি করে তাদের টাকা পয়সার কোন অভাব নাই। শুধু তাদের একটি সন্তান নাই তারা যে কোন বিনিময়ে বাচ্চাটি কিনতে চাই। |
---|
এবং খাতা কলমে লিখে দিতে হবে এই সন্তানের প্রতি তাদের কোন দাবি থাকবে না, আজীবনের জন্য এই সন্তান তাদের এবং ভবিষ্যতে এই সন্তানের আসে পাশে যাওয়া যাবে না। |
---|
পুলিশ এবং সাংবাদিক সবকিছু তদন্ত ভালো ভাবে করে যে জিনিসটা বুঝতে পারলো, আসলে এই সব কিছু হয়েছে টাকার লোভে। কারণ দ্বিতীয় স্ত্রীর পাশে তেমন কোন মানুষ নাই তাকে একটু সাহায্য করবে। |
---|
কিন্তু আমরা যতো পাপ করি না কেনো একটি জিনিস ভুলে যায়, পাপ পুণ্য হয়ে গেলে আমাদের সবাইকে পস্তাতে হয়। ঠিক তার পাশে হয়তো বা কোন শক্ত মানুষ না থাকলেও, গ্রামে অনেক মানুষ আছে মানুষের দুঃখ কষ্ট ভাগীদার হওয়ার জন্য। |
---|
এবং আমি আমার সন্তানের মুখে মা ডাকটি শুনতে চাই, আমি মানুষের বাসায় কাজ করে আমার সন্তানকে মানুষ করবো কিন্তু আমি আমার সন্তানকে বিক্রি করব না। |
---|
সবাইকে ভালো ভাবে পুলিশ বুঝিয়ে দিয়ে গেলো এই সন্তান এবং তার মাকে যদি কোন ধরনের অসুবিধা হয়, আমরা কিন্তু সবাইকে জেলে নিয়ে যাবো তাই সবার জন্য ভালো হয়। এই সন্তান এবং মা দুজনে যেনো ভালো থাকে এবং তার স্বামীর কাছে থেকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার কথা বলে সব কিছু সমাধান করে নিলো। |
---|
বর্তমানে মা এবং সন্তান অনেক ভালো আছে, এবং তাদের ভালো থাকার জন্য সরকারি ভাবে কিছু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন গ্রামের চেয়ারম্যান এবং মেম্বার থেকে। |
---|
https://twitter.com/MDbayez29442036/status/1668230368141643784?t=hEpCX2VgAslm5uDRLCv9hQ&s=19