আজকে নাচি গরিং খাওয়ার মুহূর্ত ছিলো হঠাৎ করে।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো এবং ও সুস্থ আছেন। আজকে আমাদের এখানে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়। এবং আমরা আজ দুই দিন ধরে রুম পরিবর্তন করছি। কারণ আমাদের এই প্রজেক্ট এখন শেষের পথে। যার জন্য আমাদের যে রুম ছিলো। সেখান থেকে আমাদের পরিবর্তন হতে হয়। গতকাল আমরা রান্না করেনি কারণ গতকাল অনেক কাজ ছিলো আমার। নামাজ পড়ে এসে কাজ শুরু করেছিলাম এবং অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই গতকাল রান্না বাদ দিয়েছিলাম। যেহেতু কাল রান্না বাদ দিয়েছিলাম। তাই আজকে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে একটু সমস্যা হয়।
সমস্যা বলতে আমরা অন্য যে রুমে গিয়েছি সেখানে গিয়ে রান্না করার মতো জায়গা পাচ্ছিলাম না। তাই আজকে ভাবলাম নাচি গরিং অর্ডার দেয়া যাক। মামুন ভাইকে বলে আমাদের চার জনের জন্য নাচি গরিং অর্ডার দিয়েছিলাম। এবং অর্ডার দেয়ার কথা বলে আমি গোসল করার জন্য চলে যায়। যেহেতু শরীর অনেক নোংরা অবস্থায় ছিলো তাই গোসল করার অনেক প্রয়োজন ছিলো।
গোসল করে আসতে না আসতেই মামুন ভাই বলল গেটের সামনে চলে যাওয়ার কথা। কারন সে যে কোনো মুহূর্তে চলে আসতে পারে বাইক নিয়ে। আসলে এই অর্ডার গুলো দেয়া হয় পাশের কোন রেস্টুরেন্টে। তারা গরম গরম নিয়ে আমাদের এখানে চলে আসে হবে। যাই হোক আমি ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। আরেকটি ভাইকে ডেকে নিয়ে রাস্তার দিকে চলে আসি। কিন্তু আমরা রাস্তার ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম গাড়ি আসছে না।
তাই আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ করেই বৃষ্টি চলে আসে। আমার সাথে যে ভাইটি ছিলো সে আমাকে বলল গাড়ি চলে এসেছে। গাড়ির কাছে গিয়ে বলতে হলো মামুন ভাইয়ের নাম। কারণ মামুন ভাইয়ের আইডি থেকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে এই খাবার গুলো। যাই হোক সে আমাকে মালাই ভাষায় বলল ৫১.৪০ রিঙ্গিত হয়েছে। আমাদের কাছে ৬০ রিঙ্গিত ছিলো কোন খুচরা পয়সা ছিলো না।
ওদিকে বৃষ্টি আসছে কি করব ভেবে পারছিলাম না তার কাছেও নাই। পাশে খেয়াল করে দেখতে পেলাম দুলাভাই দাঁড়িয়ে আছে। তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম দুই রিঙ্গিত আছে কি না। সে বলল আছে আমি তাকে বললাম তাড়াতাড়ি দেন। তাকে দুই রিঙ্গিত দিয়ে আমি সেখান থেকে চলে আসি। আসলে যে ৪০ পয়সা হয়েছে তাকে দেওয়াই লাগবে। আমরা বেশি দিতে পারব কিন্তু তারা কম নিতে পারবে না। কারণ এগুলো রেস্টুরেন্ট থেকে ওয়েটার নিয়ে এসেছে। না হলে তার নিজের পকেট থেকে দেওয়া লাগবে।
যাই হোক তাকে টাকা দিয়ে আমরা বৃষ্টি অবস্থায় ভিজতে ভিজতে নিজেদের রুমে আসতে শুরু করি। তখন উপর থেকে আমাকে কেউ ডাক দিচ্ছিল। তারমানে আমরা তো নিচে ছিলাম অনেক উপরে কতো তালা এটা জানি না এবং কে ডাকছে তাও জানি না। যখন ভিজে যায় তাই ভাবছিলাম এই ভিজে অবস্থা একটি ছবি ধারণ করি । এবং আমার সাথে যে ছিলো সেও কিন্তু ভিজে গিয়েছিল।
যাই হোক আমরা রুমে চলে যাই। একটি ভাইকে অন্য রুমে তার খাদ্য দিয়ে আমাদের রুমে চলে যায়। কারণ সেই ভাইটি গতকাল আমাদের রুমে যাবে। আজকে তার যাওয়ার ইচ্ছা নেই বলে সে আমাদের সাথে যায়নি। যাই হোক আমরা রুমে তিন জন গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম অনেক আনন্দের সাথে। এবং সত্য কথা বলতে মালয়েশিয়ার মধ্যে। দুইটা জিনিস আমার রেস্টুরেন্টে খেতে ভালো লাগে। একটি নাচি গরিং ও অন্যটি রুটি ছানা তা ছাড়া আর কিছু ভালো লাগে না আমার কাছে।
তাই কখনো অন্য খাবার গুলো খেয়ে দেখেনি সে গুলো কেমন লাগে। যাই হোক আমার মামুন ভাই মালয়েশিয়ায় অনেক দিন আছে। এবং সে রেস্টুরেন্টে গিয়ে যে কোনো খাদ্য খেতে পারে। অবশ্যই আমি তার মতো পুরাতন হলে সব কিছু খেতে পারবো। কারণ ধীরে ধীরে সব কিছু অভ্যাস হয়ে যাবে। যাইহোক আজকে বৃষ্টি অবস্থায় নাচি গরিং খাওয়ার কিছু সুন্দর মুহূর্ত ছিলো আপনাদের মাঝে। এবং এটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে বলে আমার মনে হয়।
@baizid123 আপনার লেখায় নাসি গোরেং খাবারের নাম দেখে উৎসাহ হলো লেখাটা পড়বার, কিন্তু দেখলাম শুধু খাবার অর্ডার করা সম্পর্কিত এবং আবহাওয়া নিয়েই লিখেছেন।
এটি কি ধরনের খাবার অনেকেই হয়তো জানে না, সেই বিষয়ে যদি কিছু লিখতেন, তাহলে হয়তো অনেকেই বুঝতেন এটি ফ্রাইড রাইস এর মতই একটি খাবার।
যেটি আগেই তৈরি সেদ্ধ ভাতের সাথে বিভিন্ন সবজির মধ্যে মাংস এবং অন্যান্য উপাদান (যেমন, চিংড়ি মাছ, সয়াসস ইত্যাদি)দিয়ে তৈরি করা হয়।
এটি আমাদের দেশের মিক্সড ফ্রাইড রাইস মতনই, এবং আপনি হয়তো জানবেন মালয়শিয়ার পাশাপশি ইন্দোনেশিয়াতে এই খাদ্য প্রসিদ্ধ।
মাঝে মধ্যে স্থানীয় খাবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবেন সকলকে, আমাদের মত দৈন্য মানুষ তো আর বিদেশে খাবার অর্ডারের ছবি দিতে পারব না, তাই যদি একটু পোস্ট পড়ে শিখে নিয়ে, বাড়িতে তৈরির প্রয়াস করা যায়।
নতুন জায়গায় গেছেন, সাবধানে থাকবেন। আর ভালো ভালো খাবার নিজের পাশাপশি বন্ধুদের সাথে বসে খাচ্ছেন! আমরা বাদ?
এটা কি ঠিক হলো?🤣
0.00 SBD,
2.09 STEEM,
2.09 SP
নাচি গরিং খাবারের নামটা আজ প্রথমবার শুনলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। আপনার প্রজেক্টের কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে এটা আগেই জানিয়েছিলেন আর সেজন্য আপনার বাসা পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় যেতে হচ্ছে।
বাসা পরিবর্তন করা বেশ কষ্টকর কাজ তাই হয়ত পরবর্তীতে আর রান্না করতে ইচ্ছে করছিলো না। তবে এখন তো সব জায়গায় খুব সহজে খাবার অর্ডার করার উপায় রয়েছে। যদিও খাবারের নামটা প্রথমবার শুনলাম, আশা করি খুব সুস্বাদু খেতে?
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।