নিজের হাতে রান্না করা মাছের তেলের রেসিপি
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং অবশ্যই আপনাদের সকলের আজকের দিনে খুব ভালো কেটেছে।
বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলো, আমি আপনাদের সাথে কোনো রেসিপি শেয়ার করতে পারছি না। শীতকালে এই একটা সমস্যা জানেন তো। সকালে উঠে তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে কোনো রকমে একটু কিছু রান্না করে বেড়িয়ে পড়তে হয়।
কিন্তু আজকে বাড়িতে ফিরে আমি একটু মাছের তেল রান্না করেছি। আজকে রাতে গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে ইচ্ছা করছিলো। তাই সকালেই মাকে বলে গিয়েছিলাম - বাবাকে বলো বাজার থেকে মাছের তেল আনতে।
মা সেগুলো পরিস্কার করে ফ্রীজে রেখেছিলো, আমি এসে সেটাই রান্না করলাম। আমাদের বাড়িতে আমার মা ও আমি খুব ভালো খাই, আমার বাবা একদমই খায় না। আর ছেলের মন মর্জি, ইচ্ছা হলে খায়, না হলে খায় না।
আমি পেঁয়াজ দিয়ে মাছের তেল খাওয়ার থেকেও আলু ও বেগুন দিয়ে খেতেই বেশি পছন্দ করি। আমাদের কমিউনিটিতে অনেকেই এর রেসিপি আগে শেয়ার করেছেন।আজকে আমি আমার মতো করে কিভাবে রান্না করি সেটা শেয়ার করবো।
অনেকক্ষন কথা বলে সময় কাটালাম। এখন আসুন আপনাদের জানাই আমি কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি রান্না টি করতে-
মাছের তেল রান্নার উপকরন:-
১. মাছের তেল- 200 গ্রাম
২. আলু- ১টি(মাঝারি আকারের)
৩. বেগুন- ১ পিস(½ ইঞ্চি মোটা করে কেটে নেওয়া)
৪. কাঁচা লঙ্কা বাটা- ½ চা চামচ
৫. কাঁচা জিরা- ১ চিমটি (ফোরনের জন্য)
৬. জিরা গুড়ো- ১ চা চামচ
৭. হলুদ- ১ চা চামচ
৮. লবন- স্বাদমতো
৯. সর্ষের তেল- ২ চা চামচ
রান্না করার পদ্ধতি:-
আসুন রান্না টি আমি কিভাবে করলাম সেটা এবার আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই-
|
---|
সবার প্রথমে মাছের তেলটি ফ্রীজ থেকে বের করে ভিজিয়ে রাখলাম, যাতে বরফটা গলে যায়।
এরপর আমি আলু ও বেগুনের বড়ো টুকরোকে একদম ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিলাম। আলু সিদ্ধ হতে বেশি সময় লাগবে বলে আমি বেগুনের তুলনায় একটু ছোটো করে কাটলাম।
এরপর আমি কাঁচা লঙ্কা বাটা, জিরা গুড়ো, হলুদ ও সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে রাখলাম।
|
---|
এরপর কড়াই গ্যাসে বসিয়ে গরম করে তাতে সর্ষের তেল দিয়ে দিলাম।তেল গরম হয়ে এলে আমি গোটা কাঁচা জিরা ফোরন দিলাম।
জিরা গুলো লাল হয়ে এলে আমি টুকরো করে কেটে, ধুয়ে রাখা আলু ও বেগুনের টুকরো গুলো দিয়ে, সামান্য লবন ছড়িয়ে ভালো করে ভেজে নিলাম।
আলু ও বেগুন ভাজা হয়ে গেলে, মশলার যে মিশ্রনটি তৈরি করে রেখেছিলাম সেটি ঢেলে দিয়ে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখলাম, যাতে আলুগুলো ভালো ভাবে গলে যায়।
এরপর ঢাকনা খুলে আমি মাছের তেল গুলো আস্তে আস্তে দিয়ে দিলাম। পরিমাণ মতো লবন দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিলাম।
কিছুক্ষণ বাদে ঢাকনা খুলে আমি জল শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। তারপর নামিয়ে নিলাম।
এরপর গরম গরম ভাতের সাথে তৃপ্তি করে খাবো আলু-বেগুন দিয়ে মাছের তেল।
আমার রান্না টি কেমন লাগলো, নিশ্চয়ই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভ রাত্রি।
এই যুগের ফিগার কন্সাস মানুষের সংখ্যা বেশি, সেখানে আপনাদের মাছের তেল খাওয়া দেখে বেশ অবাক হচ্ছি।
😊 এটা ভালো বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার রেসেপিটাও খুব ভালো হয়েছে দিদি।প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন,আর ছবি দিয়ে ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা এতো মন দিয়ে পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
এতো দেখছি মাছের তেলের বাজার, একদিন সঞ্চিতা, আর একদিন আপনি, কোনটা প্রথমে খাবো সেটাই ভাবছি!
হ্যাঁ দিদি আমিও লেখাতে এই কথা বলেছি। আপনার যেটা প্রথম খেতে ইচ্ছা করবে, আপনি সেটাই খাবেন। 😊। ধন্যবাদ আপনার মজার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
@baishakhi88আমি এখন মাছের তেল খেতে পারছিনা বলে সবাই আমাকে লোভ দেখাচ্ছেন। যেদিন আমার এলার্জি কমে যাবে সেদিন আপনাদের দেখিয়ে দেখিয়ে খাব। আপনার রান্না আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
খুব তাড়াতাড়ি সুস্ত হয়ে উঠুন। তারপর জমিয়ে মাছের তেল খাবেন।
@baishakhi88 অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শীতকালে সকালবেলায় বেগুনের সাথে মাছের তেল ভাজা দিয়ে ভাত খেতে দারুণ লাগে।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন, শীতকালে এমন মাছের তেল পেলে তো সকালে খাওয়া সত্যিই জমে যায়।
@baishakhi88 আমার মাছের তেল ভাজা খেতে দারুণ লাগে , কিন্তু আমি আবার বেগুন খাই না।
তবে আপনার রান্না করা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।