সংসার
সংসার
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সকলে ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি। আজকে আমি একটি বাস্তব কাহিনী বলবো সবাই দোয়া করবেন যাতে ভালোভাবে বলতে পারি।
একটি ছেলে সে দোকানদার ছিল। তার একটি দোকান ছিল বড়। ওই দোকান দিয়েই তার পরিবার চলত ।তার বাবা অনেক চেষ্টা করেছে তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু সে বিয়ে করে নাই ।অনেক চেষ্টা করেছে অনেক মেয়ে দেখেছে শুধু বলে যে আমি পরে বিয়ে করব এই কথা বলে বিয়ে বন্ধ করে দেয়।
একদিন ছেলের বাবা হঠাৎ করে ফোন দিয়ে বলে যে, তাড়াতাড়ি আসো তোমার খালা অসুস্থ ।তাড়াতাড়ি তোমার খালাকে দেখতে যেতে হবে ।তখন ছেলেটি তাড়াতাড়ি বাড়িতে ছুটে আসে। এবং এসেই বাড়িতে ছেলেটিকে শেরওয়ানি ,তারপরে বিয়ের যে সমস্ত জিনিস পড়ে ছেলেরা ঐ সমস্ত জিনিস পরিয়ে তাকে নিয়ে যায়।
রাস্তায় ছেলেটি তার বাবাকে বলে খালাকে দেখতে যাচ্ছি এসব পরে কেন যাচ্ছি ?তখন তার বাবা বলে যে এখন কোন কথা বলিও না আল্লাহ আল্লাহ বলে আমাদের সাথে চলো তারপর ছেলেটি তার বাবার সাথে যায় ।বাসার মধ্যে গিয়ে দেখে বিয়ের সবকিছু প্রোগ্রাম করা। কাজী সাব মেয়ে থেকে কবুল বলে এনেছে। তারপর ছেলের কাছে এসে তার বাবার নাম, তার মায়ের নাম এবং সবকিছু জিজ্ঞেস করে। কাজী সাব সবকিছুই তার খাতায় সবকিছু লিখে নেয়।
হঠাৎ করে ছেলেটি তার বাবার হাত ধরে বাহিরে নিয়ে আসে ।এবং বলে যে তুমি এটা কি করতে চাও? তখন বলে যে এটাই ভালো হয়েছে .।কারণ তোমাকে অনেকবার বলেছি বিয়ে করতে তুমি তো বিয়ে করতে চাও না। তখন ছেলেটি বলে অন্তত মেয়েটিকে আমাকে একবার দেখাও। তখন ছেলের বাবা ছেলেটিকে বলে মেয়ে অনেক ভালো মাশাল্লাহ। তোমার সাথে অনেক ভালো মানাবে । তাকে বিয়ে করলে অনেক খুশি হবে। তারপর তাদের বিয়ে হয়ে যায়।
বাসর ঘরে এসে ছেলেটির তার স্ত্রীকে বলে আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই নাই ।আমাকে জোর করে বিয়ে করে করানো হয়েছে। তখন মেয়েটি বলে আমি আপনাকে আগে থেকেই অনেক পছন্দ করি। আমি যখন স্কুলে যাইতাম তখন আপনাকে দেখতাম আমি আপনাকে আগে থেকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি ।এই কথা বলার পর যখন ছেলেটি তার স্ত্রীর দিকে তাকায় তখন ছেলেটি প্রেমে পড়ে যায়। ছেলের অনেক ভালো লাগে যে তার বউ অনেক সুন্দরী ছেলেটি অনেক খুশি হয়।
কিছুদিন পর ছেলের খালা আসে।এসেই ছেলের মাকে অনেক কুবুদ্ধি দেয় ।বলে যে ,বউকে এই জামানায় একটু টাইট দিয়ে রাখতে হবে ।তা না হলে বউ উল্টাপাল্টা করবে ।তারপর ছেলের মা সব সময় বউয়ের ভূল ধরতো এবং কটু কথা বলতো। এবং কোন কাজ তার মেয়েকে দিয়ে করাইত না। সব সময় তার ছেলের বউকে দিয়ে সব কাজ করাতো ।আর বলতো আমার মেয়ে রাজকন্যা সে রাজকন্যার মতই থাকবে সে কেন কাজ করবে?
তারপর একদিন ছেলের বোনের বিয়ের সম্বন্ধে আসে। ছেলের বোনের বিয়ে হয়ে যায় ।হঠাৎ করে একদিন ছেলের মা বলেই যে, আমি আর তোর বউয়ের সাথে থাকবো না। কারণ তোর বউ ভালোভাবে সবকিছু করতে পারে না ,কোন কাজকর্ম কিছু করতে পারে না। আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব ।তখনই ছেলের বোনের জামাই আসে তার বোনকে নিয়ে। এসে বলে আমিও আপনার বোনকে রাখবো না আপনার মেয়ে কোন কাজকর্ম পারেনা।
আজকে আমার মায়ের হাতে আপনার মেয়ে গরম পানি ফেলে দিয়ে হাত পুরে ফেলছে। তখন ছেলের মা বলে রাগ করবে না বাবা। আমার মেয়েকে আমি রাজকন্যার মত রেখেছি ।তখন ছেলে বলে আপনার মেয়েকে আপনি রেখে দেন যেদিন ভালোভাবে কাজ শেখাতে পারবেন সেদিন আমার বাড়িতে পাঠাবেন। এই বলে ছেলে চলে যায়। তখন ছেলের মা বুঝতে পারে যে সে কত বড় ভুল করেছে। তার মেয়েকে কাজ না শিখায়ে।বর্তমান জামানায় যদি শাশুড়ি আর পুত্রবধু যদি মিলেমিশে না থাকে তাহলে সব সময় অশান্তি লেগেই থাকবে ।তাই আমাদের উচিত সবসময় শাশুড়ি যেন তার পুত্রবধূকে নিজের মেয়ে মনে করে এবং পুত্রবধূ যেন তার শাশুড়িকে মা মনে করে এমনটাই হওয়া দরকার ।অবশেষে শাশুড়ি সব ভুল বুঝতে পারে এবং বউয়ের কাছে ক্ষমা চায় এবং তারা আবার সুন্দরভাবে জীবন যাপন শুরু করে।
আমরা জীবন পরিচালনা করার জন্য অনেক কিছু করে থাকি, জীবনকে সুন্দরভাবে গুছানোর জন্য বিবাহ করা অনেক জরুরী, মানুষ যখন সংসার করা শুরু করে তখন তার জীবনটা গোছানো হয়ে যায়, দোকানদারের গল্প শুনে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমরা আমাদের জীবন পরিচালনা করার জন্য প্রচুর কষ্ট করে থাকি এবং আমরা আমাদের জীবনটাকে একটু সুন্দরভাবে চালানোর জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করি। তবে আমরা সুন্দর জীবন পরিচালনা করার জন্য একজন জীবনসঙ্গিনী বাছাই করি। সারা জীবন কাটানোর জন্য চেষ্টা করি। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাশাআল্লাহ! আপনার পোস্টটি খুবই শিক্ষণীয় এবং সুন্দরভাবে বাস্তব কাহিনী তুলে ধরেছেন। পরিবারে মিলে-মিশে থাকার গুরুত্ব, শাশুড়ি ও পুত্রবধূর সম্পর্কের সৌহার্দ্যপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা সত্যিই প্রশংসনীয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্মানবোধ শেখান, যাতে পরিবারে শান্তি ও সুখ বজায় থাকে।