Steem engagement challenge-S12/W6|"The grand festival in my country."
আসসালামু আলাইকুম আমার প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহ পাকের রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহ পাকের রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি "Incredible India"কমিউনিটিতে একটি আয়োজিত প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।আজকের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু হচ্ছে। আপনার দেশের মহা উৎসব কি। এটি অত্যন্ত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। আমি প্রথমেই @meraindia ধন্যবাদ জানাতে চাই তার কারণ এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।
এবং এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে।এখন আমি সেই প্রশ্নের উত্তরগুলো দিতে চাচ্ছি। এবং আমার দেশে মহা উৎসব সম্পর্কে জানাতে যাচ্ছি। আমি আশা করি আপনাদের কাছে সেটি ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের প্রতিযোগিতা।
What is the grand festival in your country, and how do you celebrate that festival?(Mention some rituals if you follow). |
---|
আমি যেহেতু একজন বাংলাদেশী।আর আমার মাতৃভূমি হচ্ছে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় 90 শতাংশ মুসলিম বসবাস করে। আর বাকি 10 শতাংশ অন্যান্য ধর্মীয় মানুষ এদেশে বসবাস করে। আর সে ক্ষেত্রে যদি মহা উৎসবের কথা বলা হয়। তাহলে মুসলিমদের প্রতিবছরের দুবার করে উৎসব হয়। এক ঈদুল আযহা দুই ঈদুল ফিতর। এই দুইটি উৎসব মুসলিমরা প্রতিবছর প্রত্যেকটা মুসলিম উদযাপন করে থাকেন। আজকে আমি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। এরমধ্যে যেকোনো একটি উৎসবের। কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। এবং মুসলিমরা কিভাবে এই উৎসবটি উদযাপন করে সেগুলো জানানোর চেষ্টা করবো।
ঈদুল আযহা উৎসবের মাধ্যমে।একজন মুসলমান। সকালে ফজরের নামাজ আদায় করে। এরপর আশেপাশে গরিব মানুষের মাঝে কিছু পরিমাণ অর্থ বিতরণ করে।কারণ যাতে প্রত্যেকে ঈদের আনন্দটা উপভোগ করতে পারে। এবং সেই অর্থ দিয়ে যাতে তারা প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনতে পারে। এর মাধ্যমে ঈদের খুশিটা সবার মাঝের ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেই ব্যক্তি গোসল করে টুপি পাঞ্জাবি পড়ে। আতর বা সুগন্ধি গায়ে মেখে ঈদগা ময়দানের চলে যায় ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য। ঈদের নামাজ আদায় করার পর সেই ব্যক্তি বাড়ি ফিরে আসে।
এবং মুসলিমদের মধ্যে যারা একটু ধনী বা যাদের অর্থ সম্পদ রয়েছে। তারা ঈদের নামাজ আদায়ের পর। গবাদি পশু যেমন, গরু, মহিষ, ভেড়া, ইত্যাদি, তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। সেই পশুকে জবাই করা হয়। এবং সেটি শুধুমাত্র আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করা হয়। কুরবানী করার মাধ্যমে ঈদুল আযহা সম্পূর্ণ হয়। এবং কুরবানী করা পশুর যে মাংস হয়। সেগুলো তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যে পশুটা কোরবানি দিয়েছে সে মূলত একভাগ।
বা এক অংশ পেয়ে থাকে। আর বাকি দুই অংশ বা দুইভাগ গরিব-মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এবং যারা কুরবানী দিতে স্বাবলম্বী নয়। এবং আত্মিক দুর্বলতা রয়েছে। তাদের মাঝেও বিতরণ করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে গরীব ধনী সবাই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। যা শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মেই করা হয়ে থাকে।
Would you love to go on a vacation during this festive period, or would you love to stay in your country and celebrate the festival with your family? Give the reason behind your choice. |
---|
আমি অবশ্যই আমার দেশে থেকে।আমার পরিবারের সাথে ঈদুল আযহা, ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করব। কেননা একজন মুসলিমের বছরে দুইবার ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহা, উদযাপন করা হয়। এবং এই উপলক্ষে একজন মুসলিম পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন। সে অবশ্যই তার পরিবারের কাছে ছুটে আসে। বছরের একটি দিন বা ঈদুল আযহা উদযাপন করার জন্য।
এতে তার পরিবারের সাথে সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে পারে।আর ঈদুল আযহা আমার ভালো লাগার দিক হচ্ছে। এই ঈদুল আযহা উপলক্ষে সবার মনে খুশিতে ভরে ওঠে। কারণ ধনী গরিব উভয়ের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। সবাই একই সাথে ঈদগা ময়দানে নামাজ আদায় করে। এবং নামাজ শেষ করে বাড়ি এসে পশু কোরবানি দেওয়ার মাধ্যমে। ঈদুল আযহা সম্পূর্ণ করে। এবং যাদের কুরবানী দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তাদেরও কোনো প্রকার আনন্দ ত্রুটি থাকে না। কারণ একজন মুসলিমের উপর ওয়াজিব তার আশেপাশের গরিব বা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আরে এটার মাধ্যমে ঈদুল আযহা পালন করতে কোনো প্রকার অসুবিধা হয় না কারোরই। এই দিকটি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যেখানে ধনী-গরিবের কোনো ভেদাভেদ নেই সবাই সমান।
Share with us if you have any memorable moments related to the festival. |
---|
এই ঈদুল আযহা উৎসবের মাধ্যমে। আমার স্মরণীয় একটি স্মৃতি হচ্ছে। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা মা-বাবা ভাই-বোন এবং পরিবারের সমস্ত সদস্যরা। একসাথে জড়িত হয়। ও আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে ঈদুল আযহা উদযাপন করি। আর এই দিকগুলো আমার কাছে অসম্ভব পরিমাণ ভালো লাগে। মুসলিমদের মধ্যে আর কোনো অনুষ্ঠান বা উৎসবে সবাই একসাথে জড়িত হয় না। একসাথে মিলে কোনো উৎসব উদযাপন করে না। শুধুমাত্র ঈদুল আযহা সবাই একসাথে উদযাপন করে থাকে। আর এই দিকটা আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ যে যে প্রান্তেই থাকুক না কেনো।যে বিষয়ে সে কাজ করুক না কেনো সবাই ঈদুল আযহা উদযাপন করার জন্য বাড়ি ফিরে আসে। এবং পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আযহা উদযাপন করে। এই দিনগুলোই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
আমার পক্ষ থেকে আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।rubina203, @josepha,@famillycooking1,
#incredibleindia-s12w6 #club5050 #steemexclusive #creativewriting #lifestyle #burnsteem25 #bangladesh
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম আপনি প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিয়েছেন। আসলে আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের ঈদুল ফিতুল এবং ঈদুল আযহা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুইটা দিন, আমরা বছরের মধ্যে পেয়ে থাকি।
একজন মুসলমান হিসেবে এই দুইটা দিন আমরা খুব বড় করে উদযাপন করে থাকি। ঈদুল ফিতর একমাস রোজা রাখার পর আমাদের মাঝে এসে আনন্দের দিন উপস্থিত হয়। এবং ঈদুল আযহা আমরা সাধারণত কোরবানি করার জন্য উদযাপন করে থাকি। কোরবানি করার পরে আমরা গবাদি পশুর মাংস নিজেরা এক ভাগ গ্রহণ করি। এবং বাকি দুইভাগ গরিব এবং অসহায় মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে থাকি।
আপনার এই ঈদ সম্পর্কে একটা ঘটনা রয়েছে, যেটা আপনি আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। যেখানে আপনার পরিবারের সবাই উপস্থিত হন এবং আপনারা সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দ করেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।
আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। এবং আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি অনেক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আজকের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই ।।। আজকের এই প্রতিযোগিতায় যে বিষয়টি ছিল আপনি তার আলোকে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।।।।
আপনার এই প্রতিযোগিতার পোস্টটি পড়ে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম খুবই ভালো লাগলো জেনে।।