Contest of January by @sduttaskitchen| My locality in five pictures.
হ্যালো স্টিমেট বন্ধুরা
প্রথমে আমি আমাদের এডমিন ম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। খুব সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করার মাধ্যমে আমাদের নিজ এলাকার পাঁচটি ছবি তুলে ধরতে চাই। তবে আমি বেশ সন্তুষ্ট এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে। এবং আপনাদের সাথে আমার নিজ এলাকার পাঁচটি ছবির মতামত শেয়ার করতে চাই। তো চলুন বেশি বকবক না করে প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি এবং বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি ও চিত্র মাধ্যমে।
কেন আপনার এলাকা আপনার কাছে মূল্যবান? |
---|
আমার এলাকা আমার কাছে অনেক মূল্যবান কারণ এটা আমার জন্মভূমি এই জন্মভূমিকে আমি খুব ভালোবাসি। যেহেতু আমি এখন আমার বাবার বাড়িতে আছি এখানে আমার অনেক ছোটবেলার স্মৃতি লুকিয়ে আছে। তবে আমাদের এলাকাতে বেশিরভাগ মুসলিম ধর্ম আছে হিন্দু ধর্ম কথা না বললেই চলে। হিন্দু ধর্ম থাকলে তাও অনেক দূরে। তবে ছোটবেলা থেকে এ এলাকার মানুষ সব সময় মিলেমিশে থাকতে দেখেছি । তবে আমাদের এলাকার মানুষগুলো থেকে এতোটুকু আশা করা যায় তারা সব সময় মিলেমিশেই থাকবে আল্লাহ যদি সহায় থাকে। এই জন্যই আমি আমার এই এলাকার কে অনেক বেশি ভালোবাসি।
আপনার এলাকার বিভিন্ন স্থানের অন্তত পাঁচটি আসল ছবি শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। |
---|
আমি অনেক আনন্দিত এই প্রশ্নের গুলোর উত্তর দিতে পেরে। এখানে আমার এলাকার পাঁচটি ছবি তুলে ধরতে পেরেছি। এবং সেই ছবির সাথে আমার ছোটবেলার কিছু স্মৃতি লুকিয়ে আছে। চলুন আপনাদের সাথে শেয়ার করি পাঁচটি ছবি বিস্তারিত আলোচনা।
প্রথম ছবিটা আমার কাছে ভালো লাগার একটা জায়গা কারণ এখানে আমার ছোটবেলার কিছু স্মৃতি লুকিয়ে আছে। আমাদের জমির পাশে দুটো আম গাছ আছে দেখে বুঝতে পারছেন। এই দুটো আম গাছে প্রত্যেক বছরই অনেক আম হয়ে থাকে এবং খেতে খুব মিষ্টি লাগে। তবে আম গাছ দুটি আমাদের না অন্য মানুষের। আমরা কয়েকজন বাড়ির চাচাতো বোন মিলিয়ে আম গাছে আম পাড়তে যেতাম তাও লুকিয়ে লুকিয়ে। তবে কাউকে দেখলে আবার ঝোপের ভিতরে লুকিয়ে থাকতাম। আম গাছের পাশের লোক পাহারা দেয়া মানুষ থাকতো এখানে কেউ আম পারতে এলে তাদের ধরতো। কিন্তু আমরাও আবার তাদের পাহারা দিতাম তারা কোন সময় যাবে তারপর আমরা আম পেড়ে খাব। এরকম করে দুষ্টুমি করতাম সবাই মিলে। তবে এই জায়গাটি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো তাই আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম।
দ্বিতীয় ছবিটা হলো আমাদের এলাকার খালের পাশে একটা ধর্মজাল। এই ধর্মজালটা দিয়ে খালে অনেক মাছ পাওয়া যায়। এবং এখান থেকে আমরা অনেক সময় মাছ কিনেও খাই যদি ভাল কোন মাছ পাওয়া যায়। আর গ্রাম অঞ্চলের এলাকার ধর্মজাল থাকাটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এটা গ্রামের সুন্দর একটি দৃশ্য। এবং এই ধর্মজাল দিয়ে যে মাছ ধরে সে আমাদের আত্মীয়র এক দাদু হয়। সে অনেক বৃদ্ধ এবং অনেক ভালো মনের একটা মানুষ।
তৃতীয় ছবিটা দেখে বুঝতে পারছেন এখানে আমার ছোটবেলার কিছু স্মৃতি আছে। এটা হল আমাদের প্রাইমারি স্কুল। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত এখানে পড়ানো হয় । স্কুলে যেতে আমাদের বাসা থেকে মাত্র ২ মিনিট সময় লাগে। এই প্রাইমারি স্কুল টা থেকে আমার বড় বোন এবং কত আমাদের এলাকার ভাই বোনেরা লেখাপড়া করেছে। আমরা যখন এই স্কুলে লেখাপড়া করছি তখন মাত্র পাঁচ জন শিক্ষক ছিল। আর তখন এতো উন্নতি ছিল না এবং সরকারী হয়নি স্কুলটি। এখন স্কুলটি সরকারি হয়েছে মাত্র পাঁচ বছর হয়েছে এবং শিক্ষক শিক্ষিকা এখন কয়েকজনই আছে। আর লেখাপড়াও অনেক ভালো হয়।
এই যে ঘরের মতো দেখতে পাচ্ছেন এটা হল মহিলা সমিতি ঘর। আমাদের বাড়ির সামনে মেইন রাস্তার পাশে এই সমিতি ঘরটা। মহিলারা বাড়িতে বসে সঞ্চায় জমা রাখে যা যতকুটু সমার্থ আছে প্রত্যেক মাসেই জমা রাখে মহিলা সমিতিতে। আর টাকাগুলো সঞ্চয় রাখার জন্য তাদের হাতে এক একজনকে একটা করে বই দেয়া হয় প্রমাণ রাখার জন্য যাতে বুজতে পারে তাদের টাকা গুলো ঠিকঠাক মতন আছে এবং দুই জন লোক রাখা হয়েছে। এই কাজগুলো করার পাশাপাশি এখানে আবার প্রত্যেক মাসের বুধবার বাচ্চাদের টিটি টিকা দেওয়া হয়। এমন কি কোন বিচার-আচার করলে এই ঘরটাই বসেই করে। ঘরের ভেতর বড় একটা টেবিল এবং ১০-১৫ টার মতন চেয়ার আছে। তবে ঘরটা পাসের পরিবেশ দেখতে খুব খারাপ দেখাতে পারে। যে সময় বিচার - আচার এবং সমিতি করা হয় তখন খুব সুন্দর করে পরিষ্কার করে রাখা হয় তার এক দিন আগে। আমার কাছে আমাদের এলাকার কিছু কিছু জিনিস আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
এই যে পঞ্চম ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা হল আমাদের রাস্তার পাশে বড় একটা পোল। এই পোলটা তৈরি করেছে মাত্র দুই বছর হয়েছে। এই পোলটা তৈরি করার পরে আমাদের এলাকার সব মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে। বেশি করেন সুবিধা হয়েছে বাড়ির পাশের মহিলাদের কারণ তারাই পোলের উপরে সেদ্ধ করা ধান শুকা দেয়। এবং রান্না করার জন্য অনেক লাকরি শুকা দেয়। আর হাঁটাচলা কথা এবং গাড়ি চলার কথা তা তো বাতদি তাতে যে সুবিধা হয়েছে তা তো বলে বোঝানো যাবে না। আমাদের এলাকায় এমন কিছু কিছু জিনিস আছে যা মানুষের অনেক সুবিধা জানোক। যেহেতু এখানে পাঁচটি ছবির কথা নির্ধারণ করা হয়েছে । তা না হলে আপনাদের সাথে আরও কিছু শেয়ার করতাম।
আপনি কি বিশ্বাস করেন যে একটি জায়গা আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি হয়ে যায় যখন আমরা সেখানে বছরের পর বছর থাকি? আপনার উত্তর বর্ণনা করুন। |
---|
আমি এই প্রশ্ন হ্যাঁ বলবো কারণ
আমরা যখন কোন মানুষের সাথে চলাফেরা করি তাকে হঠাৎ করে না পাওয়া গেলে এবং তার থেকে দূরে আসলে খুবই মায়া হয়। ঠিক তেমনি মানুষ যে জায়গা থেকে বড় হোক না কেন সেটাই তার মাতৃভাষা হয়। এবং তার মাতৃভাষা এবং এলাকার কখনো ভুলা যায় না। যখন কোন শিশু যেই জায়গায় বসে জন্মগ্রহণ করে না কেন সেই জায়গাটাই তার জন্মভূমি হয়ে যায়। এবং সে বছরের পর বছর যুগের পর যুগ সেই জায়গায় চলাফেরা করে। সবার সাথে মিশে পরিচিত একটা জায়গা হয়ে যায়।
এবং সময়ের সাথে তার জীবনের স্মৃতিগুলো যুক্ত হয়ে যায় পাতায়। সেই স্মৃতিগুলো কখনো ভোলার মত নয়। আমাদের এলাকার হৃদয়ের স্মৃতি হয়ে থাকবে যা কখনো বলা যাবে না।
আমি জানিনা এই তিনটি প্রশ্ন আপনাদের কাছে সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারছি কিনা। তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এই প্রশ্নগুলা উত্তর দেওয়ার জন্য। বাকিটা আপনাদের হাতে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাই এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য। এবং তাদের নিজ নিজ এলাকা পাঁচটি ছবির মাধ্যমে তুলে ধরুক। @farhanahossin @sabus @mdsahin111 @mukitsalafi @sairazerin.
সবাই সুস্থ থাকেন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ |
---|
আরে বাহ চমৎকারভাবে আপনি একটা প্রশ্নের উত্তর আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে আমরা আমাদের জন্মভূমি গ্রাম অঞ্চলকে অনেক বেশি ভালোবাসি। যে যেখানে জন্মগ্রহণ করেছে সেটা শহর হোক কিংবা গ্রাম, সবাই সেটাকে অনেক বেশি ভালোবেসে থাকে।
আজকে আপনি আপনার এলাকার বিভিন্ন ফটোগ্রাফি এবং সেই বিষয় সম্পর্কে আমাদের সাথে অবগত করেছেন। যেটা জানতে পেরে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। ধন্যবাদ আপনাকে প্রতিযোগিতায় প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর চমৎকারভাবে দেয়ার জন্য। ভালো থাকবে
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য দ্বিতীয়তো আমাকে এই প্রতিযোগিতা আমন্ত্রণের জানানোর জন্য অবশ্যই আমার প্রিয় বন্ধু আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব।
এই প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুসারে আপনার এলাকার অভিন্ন পাঁচটি ছবি আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন অসাধারণ হয়েছে এবং এর সাথে যে কথাগুলো আপনি উল্লেখ করেছেন তা যথাযথ তথ্যবহুল। প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর খুব ভালোভাবে দিয়েছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধর্মজালের নাম আমি আমার মায়ের মুখে অনেকবার শুনেছি কিন্তু এই জালের নামই যে ধরমজাল সেটা জানা ছিলো না আমার যদিও রাস্তাঘাটে অসংখ্যবার চোখে পরেছে।
আপনাদের স্কুলেও ছবিটা দেখে আমার নানাবাড়ির গ্রামের স্কুলের কথা মনে পরে গেল। সেটাও দেখতে অনেকটা এমনই।
ব্রিজটা হবার পরেতো দেখা যাচ্ছে আপনাদের গ্রামের মানুষদের অনেক সুবিধা হয়েছে।
ভালো লাগলো আপনার গ্রামের ছবি আর বর্ননা পড়তে।
প্রতিযোগিতায় আপনার সাফল্য কামনা করছি।
অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আর আমাকে ম্যানশন দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে হ্যাঁ আমি ইতিমধ্যে অংশগ্রহণ করে ফেলেছি এই প্রতিযোগিতায়।
আমরা যে যেখানে ছোট থেকে অবস্থান করছি সেটাই আমাদের সবচাইতে পছন্দের ও ভালোলাগার জায়গা।। ছোটবেলায় লুকিয়ে লুকিয়ে আমপাড়ার অনেক স্মৃতি আমার রয়েছে।। আর আপনারা যেটাকে ধর্মজাল বললেন আমাদের এখানে সেটাকে চটকা বলে ।। আর আপনার বাসার পাশেই রয়েছে সুমতি আর ঘরটা দেখতে ভীষণ সুন্দর।। আপনার নিজ এলাকার আরো বেশ কিছু কথা উল্লেখ করেছেন।। বেশ ভালো লাগলো আপনার গ্রাম সম্পর্কে জেনে।।
আসলে নিজ গ্রামে এলাকায় যেগুলো অতীত হয়ে যায় সেগুলো স্মৃতির পাতায় হয়ে থাকে। আম লুকিয়ে লুকিয়ে পাড়া ঝোপের ঝাড়ে এটা ছোটবেলার সবার এরকম স্মৃতি আছে।
আমাদের এলাকায় সমিতি ঘরটা দিয়ে অনেক উপকার হয়। এবং সেই কিছু উপকারের কথা আমার পোস্টটি শেয়ার করছি।
থ্যাঙ্ক ইউ আমার পোষ্টটি ধৈর্য সহকারে পরে আপনার নিজ মতামতি জানিয়ে দিলেন।
জি আপু নিজ গ্রাম নিয়ে প্রতিটি মানুষের অনেক বেশি স্মৃতি লুকিয়ে আছে।।। আর এরকম সমিতি থাকলে সত্যি অনেক বেশি উপকার হয় অনেক মানুষের।।
ধন্যবাদ আপু প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য এবং পাশাপাশি আমাকে ইনভাইট করার জন্য। আমিও অলরেডি অংশ নিয়েছি।
গাছ, জাল এবং স্কুল ঘিরে আপনার কত শত স্মৃতি। তাইতো এগুলোকে সবার আগে বেচে নিয়েছেন। সুন্দর করে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা