Better Life With Steem || The Diary game || 9/7/2024
আবারো আমি আপনাদের মাঝে চলে এসেছি গতকালকের দিনলিপি নিয়ে,আশা করি আমার ডায়েরি গেম পরে আপনাদের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার শুরু করি।।
গতকাল সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে লেট হয়েছে, তাই তাড়াতাড়ি করে হাত মুখ ধুয়ে রান্না ঘরে গিয়ে সকালে নাস্তা বানাতে শুরু করি। সকালের নাস্তার জন্য রুটি আর ভাজি করে সকলে মিলে খেলাম। সকালে নাস্তা করে মাথার উপরের ফ্যানটা ছেড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম, আর ছেলেকে খাইয়ে দিলাম।
সকালে খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে তারপর আবার গেলাম রান্নাঘরে দুপুরের জন্য রান্না বান্না করতে। চাউল ধুয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়ে তারপর তরকারি কাটাকুটি করি।গতকাল দুপুরে রান্না করেছি আলু দিয়ে বেগুন আর কচুর গাঠি। এগুলো রান্নাবান্না শেষ করে তারপর কিছু ঘরের অগুছানো কাজ গুলো করি।
কাজগুলো সম্পন্ন করে তারপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই। ছেলেকে গোসল করিয়ে এবং জোহরের নামাজ পড়ে তারপর সবাই মিলে একসাথে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুতে গেলাম, আর মেয়ে বলে আম্মু আজকে আমরা ঘুমাবো না বাসার ভিতরে খেলাধুলা করব তারপর আমিও আর বারণ করিনি, ওদের দুই ভাই বোনকে খেলতে দেখে আমি রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ি, কিছুক্ষণ পর ছেলের অনেক জোরে কান্নার আওয়াজ শুনে আমি শোয়া থেকে উঠে পড়ি। গিয়ে দেখি ছেলে কান্না করছে আর ওর হাত আমাকে দেখেছে আর বলে আম্মু এখানে ব্যাথা পাইছি । এরপর মেয়েকে জিজ্ঞেস করি ওর কি হয়েছে, আর মেয়ে বলে গাড়ি নিয়ে খেলা করছিল পা পিচলে হাত বটে পড়েছে।
তারপর আমি তাড়াতাড়ি করে হাতে পানি দিয়ে মালিশ দিলাম। আর এদিকে ছেলের বাবা আমাকে বকাঝকা করে এইসব খেলনা জিনিস তুমি গুছিয়ে রাখো না কেন। মায়েদের কি বড় অপরাধ সন্তানেরা কোন জায়গায় ব্যথা পেলে, উল্টো দিকে আঙুল মায়েদের দিকেই তোলে। বাচ্চার যতই দুষ্টামি করুক না কেন, মায়েরা কি কখনো চায় তার সন্তানরা কষ্ট পাক ব্যাথা পাক কিন্তুু কথা শোনার বেলায় মায়েদের কেই শুনতে হয়।
এরপর কোলে করে নিয়ে হাতটা তেল দিয়ে কিছুক্ষণ মালিশ করে দেওয়ার পর আস্তে আস্তে ব্যাথাটা থেমে গেল। কান্না করতে করতে সন্ধ্যা ছয়টার সময় ঘুমিয়ে পরলো।।ছেলেকে ঘুমিয়ে রাখার পর মাগরিবের আজান দিল নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম তারপর রান্নাঘরে গিয়ে সন্ধ্যার নাস্তা বানালাম। গতকালকে সন্ধ্যায় অন্যরকম ভাবে একটা নাস্তা বানালাম, দেখতে পাটিসাপটা পিঠার মত কিন্তু ভিতরে ডিম দিয়েই নাস্তাটা বানিয়েছি সাথে জাল জাল করে কাঁচা মরিচে ছিল।। গতকালকে সন্ধ্যার নাস্তা রেসিপিটার কথা সাহেব বলেছিল আর আমি বানিয়েছি।
সন্ধ্যার নাস্তা খেয়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম আর মোবাইল ব্যবহার করলাম কিছুক্ষণ পর ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল, উঠে কান্না করতে লাগলো তারপর আমি ওকে নিয়ে বাসার ভিতরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করি। বেশ কিছুক্ষণ সময় দিয়ে ছেলেকে সান্তনা করলাম। ছেলে বসে খেলতে লাগলো আর আমি এই ফাকে এশার নামাজ পরে আসি।
নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে এরপর আমরা সবাই মিলে রাতের খাওয়া দাওয়া করি। রাতে খাওয়া দাওয়া করে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে পারিনি, কারণ ছেলে ঘুম থেকে উঠেছে রাত আটটার সময় এবং ওর কারণে গতকালকে রাতে অনেক সজাগ থাকতে হয়েছে। এরপর রাত ২:৩০টার সময় ঘুমাই। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে গত কালকের দিনটা চলে গেল,সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।।
मुझे आपकी पोस्ट अच्छी लगी , खाना बनाने के बीच बच्चे परेशान करते हैं लेकिन हम सब को ये जिम्मेदारियां निभानी होगी। धन्यवाद
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে ভাল লাগল, আপনার ছেলের হাতে ব্যথা পেয়েছে দেখে খুব খারাপ লাগল, যখন ব্যাথা পায় তখন সাথে সাথে ঠান্ডা লাগালে ব্যাথা অনেকটা কমে যায়। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঘুম থেকে উঠে রুটি আর ভাজি দিয়ে নাস্তা করেছেন আজকে। এরপর দুপুরের রান্নাও করে নিয়েছেন। আজকে আপনার ছেলে গাড়ি দিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে।
এটা সব পরিবারেই যে ,বাচ্চা ব্যাথা পেলে মায়েদের দোষ হবে। শুধু ব্যাথা পেলেই না অসুখ হলে মায়েদের দোষ তারা ঠিকমতো খেয়াল করে নাই ,এমনকি বড়ো হলে দেখবেন যে রেজাল্ট খারাপ করলেও মায়েদেরই দোষ হবে। এটাই যেন নিয়ম।
বিকেলে পাটিসাপ্টার মতো করে নাস্তা বানিয়েছিলেন।
বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে সবসময় তাদের উপর খেয়াল রাখা উচিত কারন ওরা একটি দুষ্টু হয়ে থাকে এবং সবসময় খেলাধুলা করে এজন্য কখন কি হয় বলা যায় না। যেমন আজ আওনার ছেলে খেলা করতে গিয়ে পড়ে হাতে আঘাত পেয়েছে। ভালো থাকবেন।
আসলে বাচ্চারা খুবই দুষ্টুমি করে এর কারণে তাদের বিভিন্ন সময় ব্যথা লাগে এটা আমাদের অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত তাতে বাচ্চারা খুব বেশি ব্যাথা না পায়, আমি অবশ্যই দোয়া করব আপনার বাচ্চা যাতে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মেয়েদের প্রতিদিনের সকালের কাজ একই রকম হয়ে থাকে।। আপনার ছেলের হাতের ব্যথা বেশ ভালোই পেয়েছে দেখি বোঝা যাচ্ছে।। পিঠাগুলো অনেকটা পাঠিসাপটা পিঠার মতই দেখা যাচ্ছে।।