Better Life With Steem || The Diary game || 9/2/2024
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
![]() |
---|
আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকে সমস্ত কাটানো সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করব।
সকালবেলা |
---|
ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ওযু করে ফজরের নামাজ আদায় করি। এখন শীত মোটামুটি অনেকটাই কমে গেছে তাই ফজর নামাজ পড়ে কম্বলের ভিতরে আর শুয়ে থাকতে হয় না। আর আজকে সকালে তাড়াতাড়ি রোদ উঠেছে আকাশটা একদম পরিষ্কার ছিল।
![]() |
---|
আমি গত কালকের পোস্টে আপনাদের কাছে শেয়ার করেছিলাম যে কাল সকালে ছেলেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব। ছেলে নিজের ইচ্ছে মতোন ঘুম থেকে উঠলো তারপর হাত মুখ ধুয়ে দিলাম। ছেলের জন্য একটা ডিম পোজ করি এরপর টুকরো টুকরো করে খাইয়ে দিলাম। আমি সকালে নাস্তা করলাম না মা সকালে ভাত রান্না করছিলো তাই গরম ভাত আর বাসি তরকারি দিয়ে ভাত খেলাম।
ছেলেকে ডাক্তারের দেখানোর জন্য মা ছেলে রেডি হলাম। আমি একা যায়নি আমার সঙ্গে আমার বাড়ির কাকিমা গিয়েছিল। এরপর গাড়িতে ওঠে আমার একটা ফটো তুলি ছেলে কাকিমার কোলে আসলো গাড়ির অন্য ছিটে ।
![]() |
---|
![]() |
---|
বাজারে গিয়ে প্রথমে বিকাশের দোকানে গিয়ে ফোন থেকে টাকা তুলি তারপর ডাক্তার ফার্মেসিতে যাই ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। প্রথমে ছেলেকে দেখে তারপর বলে কি কি হয়েছে আমি যা যা বলি তার অনুসারে ছেলেকে ওষুধ দিয়েছে। তবে আজকে শুক্রবার থাকার কারণে ফার্মেসিতে তেমন একটা ভিড় হয়নি।
![]() |
---|
![]() |
---|
ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে তারপর বাজারে ভিতরে যাই। প্রথমে ফলের দোকানে যাই ফল কেনার জন্য তারপর হাফ কেজি কমলা কিনি। এরপর যাই জিলাপির দোকানে আমার মা বরাবরই সব সময় গরম জিলাপি খেতে খুব ভালবাসে। অনেকবার বাজারে এসেছি কিন্তু নিতে মনে থাকে না তাই আজ জিলাপি দেখে মায়ের কথা মনে পড়েলো মা জিলাপি অনেক ভালোবাসে তার জন্য হাফ কেজি জিলাপি নিলাম।
এগুলো কেনাকাটা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।আজকে শুক্রবার ছিল তেমন একটা গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না প্রায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে একটা রিকশায় করে চলে আসি। বাড়িতে এসে পৌঁছেছি বারোটা বিশ মিনিটে ততক্ষণে মার রান্না বান্না সবকিছু হয়ে গেছে।
দুপুরবেলা+বিকেলবেলা |
---|
মা রান্না বান্না হয়ে যাওয়া তে সে গোসল করতে গেল আর আমি গরম পানি দিয়ে ছেলেকে হাত মুখ ধুয়ে দিয়েছি। ছেলেকে হাত ধুয়ে দিয়ে জামা কাপড় পরিয়ে ছেলেকে মেয়ের কাছে রেখে আমি গোসল করতে গিয়েছি। গোসল করে এসে প্রথমে জোহরের নামাজ আদায় করি। তারপর ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসি আমার হাতের মাত্র দুই লোকমা ভাত আর এক টুকরো মাছ খাওয়াতে পেরেছি।
![]() |
---|
যেদুই লোকমা খাওয়াতে পেরেছি তাও অনেক কষ্ট করে কারন নাক আটকে গেছে শ্বাস নিতে পারছে না। যে দুই লোকমা ভাত খেয়েছে ওই খাওয়াতে আমি ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি। ছেলেকে ওষুধ খাইয়ে তারপর আমি ভাত খেতে বসেছি।
বিকেল বেলা: আমি খাওয়া-দাওয়া করে তারপর ছেলেকে ঘুমোতে নিয়ে গেছি ছেলে পাঁচ মিনিটে ঘুমিয়ে গেল। ছেলেকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে আজকে আমিও ঘুমিয়ে পড়েছি আজকে চোখে এত পরিমাণ ঘুম এসেছে যে চোখের পাতা লাশার মতন লেগে যাচ্ছে। তাই নিজের অজান্তে ছেলেকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে আমিও ঘুমিয়েছি।
সন্ধ্যাবেলা+রাত্রিবেলা |
---|
![]() |
---|
এমন গভীর ঘুম দিয়েছি যে আসরের নামাজ পড়তে পাড়িনি একদম মাগরিবের সময় ঘুম থেকে উঠেছি। উঠে অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়লাম। নামাজ পড়ে উঠে দেখি মা ধনে পাতা দিয়ে মুড়ি চানাচুর মেখেছে সেগুলো খেয়ে ছেলেকে কেক খাইয়ে দিলাম। আজকের সন্ধ্যা থেকে এত পরিমাণ শীত পড়ছে যে ছুয়েটারও পড়তে হয়েছে।
ছেলেকে খাইয়ে ওর আপুর কাছে রেখে তারপর আমি পোস্ট লিখতে বসি । পোস্ট লেখা সম্পূর্ণ করে তারপর আমি ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসি খাওয়া দাওয়া করিয়ে ওকে ওষুধ খাইয়ে দি। এরপর আমরাও রাতের খাবার খাই খাওয়া দাওয়া করে শুতে যাই আজকে কেমন জানি চোখে ঘুম আসছিল না কারণ অনেকদিন পর বিকেলে অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছি তার জন্য। এরপর ফোন ব্যবহার করতে লাগলাম ফোন ব্যবহার করে আস্তে আস্তে নিজের অজান্তে ঘুমিয়ে পড়ি।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। (আল্লাহাফেজ) |
---|
আপনার ছেলের অসুস্থতার কারণে তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন। আসলে বর্তমান সময় ডাক্তার না দেখালে মনে হয়, অসুস্থতা সারতে চায় না। আপনি হয়তো বা তার সাথে থাকতে গিয়ে, আপনার শরীরটা অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাই কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন নিজেও জানেন না। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
সকালে ঘুম থেকে ফজরের নামাজ পরে নেন।ছেলেকে ডিম পোচ করে দেন।আপনার মা ভাত রান্না করেছিলেন সেটা বাসি তরকারি দিয়ে খেয়ে নেন।
আপনার ছেলেকে নিয়ে আজকে ডাক্তার এর কাছে গিয়েছিলেন।সাথে আপনার কাকীও ছিলো।বাড়িতে এসে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরেছিলেন।
বিকালে আপনার মা চানাচুর মাখিয়েছিলেন ধনিয়াপাতা দিয়ে সেটা খেয়েছেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ছোট বাচ্চা অসুস্থ হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখে ওষুধ নেওয়া উচিত।। আজ ছেলেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সাথে বেশ কেনাকাটা করেছেন।। আর হ্যাঁ ছোট বাচ্চাদের দুপুরে ঘুম পাড়ানো উচিত তাহলে তাদের শরীর সুস্থ থাকে।।
ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।
সব মিলিয়ে একটু ব্যস্ততার মধ্যে দিন কেটেছে আপনার সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন ছেলেকে একটা ডিম পোচ করে খাইয়েছেন।
এরপরে আবার বাজারে গিয়েছেন ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ফেরার পথে আপনার মায়ের পছন্দের জিলাপি নিয়ে আসলেন বাড়িতে।
আপনার দিনটি শুভ হোক সেই প্রার্থনা করছি।