Better Life With Steem || The Diary game || 8/2/2024
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
![]() |
---|
আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকে সমস্ত কাটানো সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চাই।
সকালবেলা |
---|
![]() |
---|
সুবহানাল্লাহ বলে আবারও নতুন একটা দিনে ভোরের আলো দেখতে পেলাম। আজ সকালবেলার ফজরের নামাজ আদর করতে পারিনি খুব খারাপ লাগলো। কালকে রাত বারোটা চল্লিশ মিনিটে সময় ঘুমিয়েছি। একটু ঘুমের মতো পড়লাম এরই মাঝে ছেলে হঠাৎ করে কান্না করে উঠলো কারণ নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারছে না। তাই ছেলেকে নিয়ে রাতে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হলো শেষ রাতের দিকে একটু ঘুমাতে পেরেছি ।
এর জন্য ফজরের সময় উঠতে পারিনি। সকাল সাড়ে সাতটা বাজে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম তারপর মা বলে সকলে নুডুলস রান্না করছিলাম প্রিজে রাখা আছে ওগুলো খেয়ে নে। গিয়ে দেখি নুডুলস গুলো একদম ঠান্ডা হয়ে গেছে খেতে তেমন একটা ভালো লাগছিল না তারপর আমি প্রিজের নুডুলস গুলো একটা কড়াইতে গরম করে খেয়েছি।
কিছুক্ষণ পর ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেলো মুখটা ধুয়ে দিলাম। হাতমুখ ধুয়ানোর পর নুডুলস খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলাম সে হাতে নুডুলস দেখে কান্না করলো খাবেনা আর খাওয়াতে পারেনি। যখন দেখি সকাল 11 টা বাজে তখন আমি ওর জন্য এক পিস কেক নিলাম ভাবলাম এখন অনেক ক্ষুধা লাগছে খেতে পারে । তাই কেক পিস পানি দিয়ে ভিজিয়ে জোর করে অল্প অল্প করে খেয়ে দিয়েছি।
দুপুর +বিকেল |
---|
আজকে দুপুরে মাকে রান্নার কাজে কিছু হেল্প করতে হয়নি মা আজকে তাড়াতাড়ি করে সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছে রান্না ঘরে। মা আজকে দুপুরে রান্না করেছে পাঙ্গাস মাছ আর চিংড়ি মাছ দিয়ে সিম আলু। মার রান্নার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আমি সবকিছু ঝাড়ু দিয়ে আসি। তারপর ছেলেকে গরম পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে দি আর আমিও গোসল করে আসি।
![]() |
---|
গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ি তারপর হাজবেন্ডের সাথে কথা বলি সে বলেছে বিকেল বেলা ছেলেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে আমি বিকেলে টাকা পাঠিয়ে দিবো। তারপর আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে এই বলে ফোন কেটে দিয়ে দুপুরের ভাত খেলাম। আমি খেয়ে ছেলের জন্য মাছ দিয়ে ভাত মেখে আনলাম আমার হাতে প্লেট দেখে কান্না করে দিল সে খাবে না। তারপর আর খাওয়াতে পারলাম না কান্নাকাটি করে ঘুমিয়ে পড়লো।
ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে ওর পাশে শুয়ে থেকে আমি কিছু কমেন্ট করি। কয়েকটি কমেন্ট করার মাত্রই আসরের আজান দিয়ে দিলো তারপর শুয়া থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে হাজবেন্ডের ফোন করি বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে কিনা। তারপর সে বলে তুমি একবার চেক করে দেখো বিকাশ একাউন্টে টাকা গেছে কিনা তারপর আমি অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখি টাকা আসেনি।*
আসলে সে যাকে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল সে পাঠাতে ভুলে গিয়েছিল তারপর যখন টাকা পাঠালো তখন আর যাওয়ার সময় ছিল না আর ছেলে তখন ঘুমিয়ে ছিল তারপর ভাবলাম সকালে যাবো।
![]() |
---|
![]() |
---|
আজকে বিকেল বেলা আমাদের খেতে গেলাম কলাই শাক তোলার জন্য আসলে আমি শাক তোলেনি শেষের দিকে গেয়েছি তখন শাক তোলা হয়ে গেছে। আগের মতোন শাক তোলা যাচ্ছে না ফুলে একদম ভরে গেছে প্রত্যেকটা শাকে ফুল এবং ফল হয়ে গেছে।
সন্ধ্যা +রাত |
---|
![]() |
---|
ক্ষেত থেকে আসলাম তার আধা ঘন্টা পর মাগরিবের আজান দিল তারপর অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসলাম তারপর পোস্ট লিখতে বসি মটর ভাজা খাচ্ছি আর পোস্ট লিখছি।
![]() |
---|
পোস্টে লেখা সম্পূর্ণ করে তারপর এশার নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ করে ছেলের জন্য নুডুলস রান্না করি কারণ দুপুরে কিছুই খাইনি তাই দেখি নুডুলস রান্না করেলে খায় কিনা। ওর নিজের ইচ্ছা মতন অল্প কিছু খেলো আমিও আর খাওয়ানোর জন্য জোড়াজোড়ি করলাম না নিজে থেকে যতটুকুই খেয়েছে ।
ছেলে নিজের হাতে নুডুলস খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল এরপর আমরা সবাই রাতের খাওয়া দাওয়া করলাম। আমরা খেয়ে উঠলাম তারপর আব্বু ফোন দিল তার রাতে আসতে নাকি অনেক দেরি হবে ইজতেমায় যাবে আমাদের খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে যেতে বলছে । তারপর যোগাযোগ থাকলাম না ঘুমিয়ে গেলাম।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। (আল্লাহাফেজ) |
---|
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই হয়তো বা বাচ্চারা এখন অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনার বাচ্চাটা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক। এবং আপনি তার প্রতি একটু যত্ন রাখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
একদমই ঠিক বলেছেন আপনি। ফ্রিজে রাখা নুডুলস খেতে ভালো লাগে না। একেবারে ঠান্ডা বরফ হয়ে যায়, তাছাড়া এখন তো শীতের আমেজ হয়ে গিয়েছে। একেবারে ঠান্ডা জিনিস খাওয়া সম্ভব নয়। তাই আপনি একটু গরম করে
খেলেন। বাচ্চারা একটু অসুস্থ হলেই সবার আগে যে কাজটা করে, তা হল খাবার দেখলেই কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।
আপনার ছেলের বেলায় তাই হলো, কলাই শাকগুলো দেখে খুব ভালো লাগছে ।কারন আমার খুব পছন্দের একটি শাক, যদি ও এখানে পাওয়া যায় না এই শাক গুলো। ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। আর কড়াইশাকে যে ফল হয় তাকে আমার খেসারি বলি। যা খেসারি ডাল নামে পরিচিত। আপনার এলাকায় অবশ্য কি নামে ডাকে তা জানিনা। কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
ছেলের প্রতি খেয়াল রাখবেন এবং খুব দ্রুতই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে ,আপনারা দিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
প্রতিদিন আপনাকে আপনার মায়ের হেল্প করতে হয় দুপুরে রান্নার কাজে তবে আজকে আপনাকে হেল্প করতে হয় নাই মা আগে থেকেই গুছিয়ে রান্নাঘরে রান্না করতে বসেছে।
পাঙ্গাস মাছ আমার কিন্তু খুবই ফেভারিট একটি মাছ।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় দিনা লিপি লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
প্রতিদিন মাকে রান্না করার কাজের সাহায্য করও কিন্তু ছেলে অসুস্থ থাকার কারণে করতে পারিনি কারণ মা বারণ করেছিল যে কিছু করতে হবে না।
পাঙ্গাস মাছ আমার মোটামুটি ফেভারিট কিন্তু আজকে খেলে কালকে খেতে মনে চায় না আবার পরশুদিন খেতে ইচ্ছা করে এরকম ফেভারিট।
থ্যাঙ্ক ইউ আমার দিনলিপি পরে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।
আপনার লেখার মধ্যে উপস্থাপিত খাবারের ছবিগুলো দেখতে আমার বেশ ভালই লাগে। তাছাড়া আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আপনার সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম এই লেখাটিতে লিপিবদ্ধ করেছেন।
ভুলে উঠতে আমরা কেউই না কিন্তু আপনার লেখার অনেক পরিবর্তন হয়েছে আগের থেকে। এভাবেই লেগে থাকুন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বাচ্চারা অসুস্থ হলে মায়েদের অনেক বেশি কষ্ট হয় বিশেষ করে রাতে যখন বাচ্চা উঠে আর ঘুমাতে চায় না।। আজ সকালে উঠে মায়ের কথামতো নুডুলস রান্না করেছিলেন।। সেই সাথে আজকে মায়ে কাজে বেশ সাহায্য করেছে।। আজ বিকালে কালাই শাক তুলতে গিয়েছিলেন আর মোটর ভাজা খেতে খুবই মজা।।
আপনার পোস্টটা পড়ে আমার কিছুদিন আগের কথা মনে পড়ে গেল। বিকালে তুলতে গিয়েছিলেন কলই শাক এই শাকটা আমি বেশ পছন্দ করি। তবে আমাদের এখানে এই শাকের দেখা নেই বললেই চলে।
কিছুদিন আগে আমার হাসবেন্ড এসে এই শাক টা খেতে চেয়েছিল কিন্তু বাজারে গিয়েও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে আমার বাবার বাড়ি গিয়ে খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।