Better Life With Steem || The Diary game || 6/9/2024
![]() |
---|
আলহামদুলিল্লাহ আবারও নতুন একটা সকালের আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। সকাল ৯ঃ০০ টার সময় ঘুম থেকে উঠে, উঠে দেখি আকাশটা খুব পরিষ্কার এবং বাহিরে খুব রোদ জানালার ফাঁক দিয়ে বাসায় ভিতরে রোদ উঁকি দিচ্ছে ।
![]() |
---|
উঠে হাত মুখ ধুয়ে সরাসরি রান্না ঘরে গিয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে তারপর সকালে নাস্তা বানাতে শুরু করি। আজকে সকালে নাস্তা বানাতে অনেকটাই লেট হয়ে গেল। আমি একলা অনেকগুলো রুটি বানাতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেল। এরপর সাহেব এসে বলে কি নাস্তা বানানো হয়েছে, আমি বলি হ্যাঁ রুটি হয়েছে এখনো ভাজি হয়নি, তারপর বলে তোমার ভাজি করতে হবে না তুমি ডিম ভেজে দাও। তারপর তাড়াতাড়ি করে ডিম ভেজে তাদেরকে খেতে দিলাম।
যে মানুষ প্রতিদিন সকালে নাস্তা খাওয়াতে ঘুম থেকে উঠাতে হয়। সেই মানুষ আজকে নিজে থেকে রান্নাঘরে গিয়ে সকালে নাস্তা চাইলো বুঝেন কতটা দেরি হয়েছে আজকে।
![]() |
---|
যাইহোক সকালে নাস্তা করে সঙ্গে সঙ্গে আবার দুপুরে রান্নাও বসিয়ে দিলাম । এদিকে সাহেব এবং ভাইয়া তারা গা গোসল করে বেরিয়ে পড়ল, এরপর আমি আস্তে আস্তে করে সব রান্নাবান্না করা শেষ করি। রান্না করে কিছুটা বিশ্রাম নিলাম। আজকে পুরো সকাল এবং দুপুর একটা পর্যন্ত রান্না ঘরেই সময় কাটিয়ে দিলাম একটু বসার সময়ও পাইনি।
এরপর ১০ মিনিটের মতো বিশ্রাম নিয়ে আগে ছেলেকে গোসল করিয়ে রেখে, তারপর আমি গোসল করে আসি। গোসল করে এসে দেখি ছেলে মেয়ে তারা নিজেরাই ভাত বেড়ে খাচ্ছে মেয়ের খাওয়া হয়ে গেলে তারপর ওর ভাইকে খাইয়ে দিচ্ছে। এরপর আমি দেখে বলি বাহ! খুব সুন্দর। আজকের ছেলেকে সকালে নাস্তা আমি খাইয়ে দেইনি মেয়ে নিজে খেয়েছিলে এবং ওর ভাইকে খাইয়ে দিয়েছিল। ছেলেকে খাওয়াতে গেলে তো অনেকক্ষণ সময় লাগে তাই আজকে ওই সময়টা আমার বেঁচে গেল।
![]() |
---|
ওদের খেতে দেখে আমি জোহরে নামাজ পড়ি। এরপর নামাজ পড়ে উঠে দেখি ওদের খাওয়া দাওয়া শেষ হয়ে গেল। এরপর আমি ঠান্ডা মাথায় দুপুরে খাবার খেলাম। দুপুরে খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে গেলাম, ঘুমে চোখটা লেগে আসলো এর মাঝে সাহেব এসে যায়। তারপর তাড়াতাড়ি করে উঠে সাহেবের জন্য ভাত বেড়ে তার সামনে দিয়ে আসি। ওগুলো রেখে এসে তারপর আবার শুয়ে পড়ি, ঠিক আবারই চোখটা ঘুমে লেগে আসলো তার আধা ঘন্টা পর ভাইয়া আসলো।
এরকম করতে করতে দু-তিন বার গিয়েছে, শরীরটা রাগে একদম জলে যাচ্ছে কিছু করার নাই । সকালে আরামের ঘুম হারাম করে তাদের খাওয়া-দাওয়ার পিছনেই লেগে থাকি । এরপর দুপুরে খাওয়া দাওয়া কর একটু ঘুমাবো তাও পারছি না । একটুকু সময় নিজের জন্য ব্যয় করছি না সবটুকু সময় ছেলে মেয়ে এবং তাদেরকেই বিলিয়ে দি।
যাক এরপর আর কি করবো আর ঘুমায়নি শুয়ে ছিলাম আর রাগে ফেটে যাচ্ছি। এরপর আসরের আজান দিল নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি।
![]() |
---|
প্রায় ৪০ মিনিটের মতন ফোন ব্যবহার করি তারপর মাগরিবের আজান দিলো। নামাজ পড়ে পাঁচ মিনিট বসলাম ওই ৫ মিনিটের মধ্যে দুইটা চিড়ার মোয়া খেলাম। এরপরই পোস্ট লিখতে শুরু করে দি কারণ আজকে টিউটোরিয়াল ক্লাস আছে। ৭ঃ২০ মিনিটের মধ্যে পোস্ট লেখা শেষ করি। এরপর কিছুটা সময় বসে ক্লাসের জয়েন্ট করি। বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের ডাইরি গেম সবাইকে থ্যাংক ইউ।।
আজকে আপনি সকালে খাওয়া-দাওয়া করার পর আর বেশি দেরি করেন নাই তারপর পরপরই দুপুরের রান্না বসিয়ে দিয়েছেন।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আপনি যা যা করছেন তা খুব ভালোভাবেই আমাদের তুলে ধরছেন। আপনার হাতে যে মুড়ির মন দেখছি এটা ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি তখন এক টাকা করে পিস নিতো। আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালো হবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
This is an interesting diary post you have shared, and I can see how Hardworking you are in cooking.
When he came for fried eggs, It wasn't ready but you prepared it immediately for home and for your bro, this is a very nice attitude you have shown.
We would like to appreciate your presence and activities towards the community. Our community also likes to inspire you to participate in the engagement by visiting others' posts and making insightful comments.
Regards
@awesononso (Moderator)
Incredible India
Date:-06/09/2024
একজন মেয়ের প্রতিদিনের কাজ প্রায় একই রকম হয়ে থাকে সকালে উঠে নাস্তা তৈরি করা ছেলেমেয়েদের খাওয়ানো আবার দুপুরে রান্না করা।। আর হ্যাঁ আজকে আপনার মুড়ির মোয়া দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করছে আপু।।
আজকে ঘুম থেকে উঠতে আপনার অনেক দেরি হয়েছে, যেদিন ঘুম থেকে দেরিতে উঠতে হয় সেদিন কাছে অনেক দেরি হয়ে যায়, মেয়েদের এটাই জীবন সারাদিন সন্তানদের সাথে কাটাতে হয়, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।