Better Life With Steem || The Diary game || 6/12/2024
হ্যালো গায়েজ
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আমার আজকের সারাদিনে কার্যক্রম নিয়ে।
আজকে ডাইরি গেমটা লিখতে বসলাম তখন রাত নয়টা, ভাবছিলাম আজকের পোস্টটা মনে, হয় লেখা হবে না। কারণ, কোন একটা বিষয় নিয়ে ভীষণ চিন্তিত এবং মন খারাপ কিছু ভালো লাগছেনা। কালকে রাত থেকে সেই বিষয়টা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত।প্রথম আমি বুঝতে পারিনি, সাহেব কিসের জন্য এত মন খারাপ এবং এতো চিন্তিত এমনকি রাতের খাবারও খাইনি। পড়ে আমি বিষয়টা জানতে পারি তারপর থেকে আমার এই সেই একই অবস্থা।
আসলে বিষয়টা আপনাদের কাছে শেয়ার করতে পারছি না সিক্রেট। আসলে ডায়েরি গেম এর ভিতরে তো নিজের মন খারাপ এবং ভালো মন্দ কথাগুলো তো শেয়ার করতে হয়। তাই শেয়ার করলাম আর কিছু না।
রাত্রে ঠিক মতন ঘুমও হয়নি, শুধু বালিশের এপাশ - ওপাশ করতে থাকি।এরপর ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে তিনটা। এরপর ভাবতে থাকি যখন সজাগ আছি তাহাজ্জুদ নামাজটা পড়ি। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আধা ঘন্টার মতন ঘুমায় তারপর শুনি ফজরের আজান দিচ্ছে এরপর আবার ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করি।
ফজরের নামাজ পড়ে আবার আমার ঘুমালাম তারপর একদম নয়টার সময় উঠি,উঠে রান্না ঘরের দিকে গেলাম ভাবছি রুটি আজ বানাবো না। রুটি বানাতে গেলে খুব প্যারা লাগে তাই খিচুড়ি রান্না করি। আমার খিচুড়ি রান্না হয়ে গেলে ভাবির ডিম ভেজে নিয়ে আসলো। এরপর সবাই মিলে সকালের নাস্তা করি।
সকালে নাস্তা করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। যখন দেখি সাড়ে দশটা বেজেছে এরপর শোয়া থেকে উঠে ভাত রান্না বসিয়ে দিয়ে ফ্রিজ থেকে মাছ ভিজিয়ে রেখে আবার রুমে এসে শুয়ে থাকি। আজকে রান্না করতে একটুও ভালো লাগছিল না বারবার চিন্তিত ভিতরে পড়ে আছি।
তারপরে দেখি ভাবী মাছ আর ফুলকপি রান্না করছে তার রান্না হয়ে গেলে আমি ডাল রান্না করি। আমার ডাল রান্নাটা হয়ে গেলে এরপর ছেলেকে গোসল করে দিয়ে আমিও গোসল করে নিলাম। গোসলটা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে জোহরের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দেই, ছেলেকে খাওয়াতে এক ঘণ্টারও বেশি লেগে যায়। এদিকে আমার খুদার কোন পাত্তা নেই খুদা চলে গেল। এরপর সাহেবকে ভাত খেতে ডাকলাম সে বলছে আমি খাবো না এখন একটু ঘুমাবো ইচ্ছা হলে খেয়ে নিব।
এরপর আসরের আযান দিলো নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি এবং ফোন ব্যবহার করি। কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহারের পর মাগরিবের আজান দিল আর বসে থাকেনি, সঙ্গে সঙ্গে ওযু করে নামাজ পড়ে নিলাম। আর এদিকেও সাহেব মসজিদে চলে গেল নামাজ পড়তে।
মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসি এরপর দেখি ভাইয়া পোলাও রোস্ট এনেছে সেখান থেকে কিছুটা খেলাম আর ছেলেকে খাইয়ে দিলাম। আমি খাওয়ার সময় ছবি তুলতে মনে ছিল না ছেলেকে খাইয়ে দিলাম সেই সময় ছবিটা তুললাম। এরপর মার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। মার সঙ্গে কথা বলেই শুয়ে রইলাম আর এদিকে ছেলে ফোন দিয়ে কার্টুন দেখছে।
এরপর যখন দেখি নয়টার মতন বেজেছে তারপর ভাবি পোস্টটা লিখে ফেলি সারা সন্ধ্যাটা তো সুয়ে বসে কাটিয়ে ফেলেছি তারচেয়ে বরং আজকের পোস্টটা লিখি। যাইহোক যেরকম ভাবে আজকের দিনের মুহূর্তগুলো পার করেছি ঠিক সেই রকমি আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম।
যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)