Better Life With Steem || The Diary game || 5/11/2024

in Incredible Indialast month
1000151409.jpg

হ্যালো বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার গত পরশু দিনের কাটানো দিনগুলো শেয়ার করতে চাই। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার লেখা শুরু করি।


প্রতিদিনের মতো গত পরশুদিন সকালেও তাড়াতাড়ি করে ঘুম থেকে উঠে যাই। উঠে ভাবি রুমে চলে যাই তাকে বলে আসি আমি রুটি বানায় আপনি বাবুকে ঘুম পাড়িয়ে রান্না ঘরে চলে এসেন ভাজিটা রান্না করবেন। এরপর ভাবিকে আমি এই কথা বলে রান্না ঘরে এসে রুটি বানাতে শুরু করি। রুটি বানানোর প্রায় শেষ পর্যায়ে তারপরে ভাবি এসেছে তাকে বললাম বেশি করে সবজিটা রান্না করবেন যাতে দুপুরে আর রান্না করতে না হয়।

1000151227.jpg

আমাদের ভাজি রুটি বানানো শেষ হলে আগে আমি মেয়েকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি। তারপর ছেলেকে খাইয়ে দি,ছেলেকে খাওয়াতে প্রায় অনেকটা সময় লেগে গেল তারপর আমি খেয়ে নিলাম। খেয়েদেয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে তারপর রান্না করে দিকে চলে গেলাম।

1000151239.jpg

তবে গত পরশুদিন দুপুরে রান্না করা তেমন একটা ঝামেলাও ছিল না। সবজিটা আগে সকালে রান্না করে রেখেছিলাম তারপর রান্না করছি ডাল, আলু ভর্তা, আর শুটকি ভর্তা। এইসব রান্না আমার সাড়ে বারোটার দিকে সবকিছু হয়ে গেল। একটার ভিতরে গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ি। নামায শেষ করে দেড় টার পরে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে বসি।

ছেলেকে খাওয়াতে প্রায় আড়োটার মত বেজে যায়,তারপর আমরা খেয়ে নিলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে তিনটা ভিতরে শুয়ে পরি। চোখে ঘুম আসতে আসতে প্রায় অনেকটা সময় লেগে যায় এরপর আবার পাঁচটার সময় ওঠে তাড়াতাড়ি করে অজু করে আসরের নামাজটা পরি।

1000151243.jpg

আসরের নামাজ পড়ার আধা ঘণ্টা পর মাগরিবের আজান দিলো, ওযু থাকতেই মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামায পড়ার পর কিছুক্ষণ বসে থাকি তারপর রান্না ঘরের দিকে যাই পায়ের আর ভাত রান্না করতে। ওগুলো রান্না করতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি আধা ঘন্টার ভিতরে পায়েস রান্না হয়ে গেল। রান্না করা শেষে একটা বাটিতে করে সাহেবের কাছে নিয়ে গেলাম চেকে দেখার জন্য সবকিছু ঠিকঠাক মতন হয়েছে কিনা।

1000151235.jpg

এরপর তারা বাপ ছেলে দুজনে মিলে খেয়ে দেখলো,তাদেরকে খেতে নিয়ে আমি ওযু করে এশার নামাজটা পড়ে নিলাম । তারপর ছেলেকে রাতে খাবার দাবার খাইয়ে দিয়ে তারপর এক গ্লাস গরম গরম দুধ খাইয়ে দিয়ে দশটার ভিতরে ওকে নিয়ে শুয়ে পরি। ইদানিং ধরে ছেলেকে দশটা থেকে সাড়ে দশটার ভিতরেই ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করি। আমাদের ঘুমাতে প্রায় একটা থেকে ২ টা বেজে যায় ওই সময় ছেলে ঘুমালে সকালে আবার বারোটার সময় উঠে।

যাইহোক এরকম করে আমার গত পরশু দিনটা আমি পার করি, আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত কারতে চাই ( আল্লাহ হাফেজ)

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Sort:  
Loading...
 last month 

আপনার আলু ভর্তা ভাগ করা দেখে মনে পড়ল আমার মায়ের কথা ছোটবেলায় আমরা খুবই দুষ্ট ছিলাম আলু ভর্তা কাউকে মাখাতে দিলে সে বেশি করে নিয়ে নিতো তাই আম্মা কি করত আলু ভর্তা মাখানোর পর আমার নিজের হাতেই সেগুলো এমন গোল গোল করে সবার পাতে তুলে দিত।

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।

 last month 

ডাল আর আলু ভর্তা সত্যি অসাধারণ লাগে খেতে আমার কাছে। ডাল আর আলু ভর্তা প্রকৃত বাঙ্গালির প্রিয় খাবার এটা বলতেই হবে। যখন মেছে থাকতাম তখন প্রতিদিন সকালে ডাল আর সাথে আলু ভর্তা খেতে হতো এটা প্রতিদিনই চলতো। একটানা খেতে খেতে অবশ্য ডালের প্রতি বিরক্ত লেগে গেছিলো। দুধ আমাদের জন্য অনেক উপকারি, বিশেষ করে বাচ্চাদের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে গরুর দুধ অনেক কার্যকরী।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.25
JST 0.039
BTC 95576.96
ETH 3327.61
USDT 1.00
SBD 3.30