Better Life With Steem || The Diary game || 30/08/2024
প্রিয় বন্ধুরা , আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের ডাইরি গেম নিয়ে, চলুন শুরু করি আজকের কাটানো সব মুহূর্তগুলো আপনাদের কাছে শেয়ার করি।
সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনে, তাও কান্না করেছে পানি খাওয়ার জন্য, প্রচন্ড জ্বর মুখ শুকিয়ে যায় তাই রাতেও কয়েকবার উঠে পানি খেয়েছে। নিজে থেকে সজাগ হচ্ছে আর নিজে থেকে আমাকে ঘুম থেকে তুলছে আর পানি খাচ্ছে ।
ছেলে সাড়ে ছয়টায় উঠে আবার ঘুমিয়ে পড়ে আমি ঘুমাইনি আমি উঠে যাই,ওঠে হাতমুখ ধুয়ে রান্না ঘরে চলে যায়। রান্না ঘরে গিয়ে ভাবছি আজকে সকালে কি নাস্তা করব ভাবতে ভাবতে দেখি অনেকগুলো ভাত রয়ে গেছে যেগুলো কালকে কেউ খাইনি। আমি দুপুর বেলা খেয়েছিলাম রাতেও অল্প কয়টা খেয়েছি সাহেব দুপুরে খাইনি শুধু রাতে খেয়েছে । তাই এতগুলো ভাত ভাতের ভিতর দিলেও ভাল হয় না তাই বুদ্ধি খাটিয়ে পান্তা ভাত দিয়ে খিচুড়ি রান্না করি।
আগে কখনো পান্তা ভাত দিয়ে খিচুড়ি রান্না খাইনি আর রান্নাও করিনি। তাই ইউটিউব থেকে দেখলাম পান্তা ভাত দিয়ে খিচুড়ি কিভাবে রান্না করা যায়। দেখে আমি আমার মতন করে রান্না করি ভাবছি ভালো হবে কিনা খারাপ হবে। এরপর রান্না করা হয়ে গেলে ঠান্ডা করে এক চামচ খেলাম, মাশাল্লাহ খেতে খুব ভালোই হয়েছে। আমি তো ভয়ে ছিলাম এতগুলো ভাত দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছি খেতে না কি রকম লাগে।
যাইহোক ছেলে উঠে যায় এরপর ওকে নিয়ে বাসার ভিতর কোলে করে নিয়ে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি। সকালেও এতটা জ্বর ছিল যে ওকে কোলে করে নিয়ে হাঁটার সময় ওর শরীরের তাপে আমার শরীর ঘেমে গেছে। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আবার ওকে নিয়ে শুয়ে থাকি কারণ ওর শরীরে তাপ আমার শরীরের সহ্য করতে পারছি না। মেয়েটাও দুই দিন ধরে অসুস্থ ছিল আজকে একটু সুস্থ হয়েছে ।
এরপর ছেলের মুখটা ধুলে এক পিস কেক খাওয়াতে নিলাম। কিছুই খাওয়াতে পারছি সবকিছুতেই না বলে। এরপর কেকের কথা বলেছিলাম হ্যাঁ বলছে তাই নিজের মতন এক কামড় খেয়ে বলছে আর খাবো না। ও না বলার পর আর খাওয়াতেও পারিনি আর জোর করে খাওয়ার চেষ্টা করছিলাম কারণ ওষুধ তো খাওয়াতে হবে। কিছুতেই আর খাওয়াতে পারেনি তাই বাধ্য হয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলাম। ওষুধ খেয়ে আবার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে বলে আম্মু আমি ঘুমাবো শুয়ে দাও।
সারা সকালটা ছেলেকে নিয়ে গেল তারপর যখন দেখি সাড়ে এগারোটা বেজেছে, আর ছেলেও ঘুমিয়েছে তাই চটপট করে রান্না করে গিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করি। নিজের শরীরটা তেমন ভালো না শরীরটা খুব অস্থির আর দুর্বল লাগছে। তাই আগে ভাতটা চুলায় বসিয়ে দিয়ে ছেলের পাশে অনেকক্ষণ শুয়ে থাকি। এরপর আস্তে আস্তে করে দুপুরে রান্না শেষ করি।
রান্নাবান্না করে গোসল করে আসি ছেলেকে মাথায় পানি দিয়ে হাতমুখ ধুয়ে দি।এরপর সাহেব আর ভাইয়া আসে তাদেরকে খেতে দেই আর ছেলেকে নিয়ে খাওয়াতে বসি। ভাবছি এক পিস মাছ দিয়ে কয়েকটা ভাত খাইয়ে দেবো তাও খাওয়াতে পারিনি, কয়েকটা সাদা ভাত খেলো তাও নিজের হাত দিয়ে উঠিয়ে খেলো। ও নিজের মতন ভাত খেলো তারপর ওষুধ খাইয়ে দিলাম এরপর আমি দুপুরের ভাত খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলে ঘুমিয়ে পড়ে তারপর আমি ওর সঙ্গে ঘুমিয়ে যাই। এরপর ঘুম থেকে উঠি মাগরিবের সময় তাও নিজে থেকে ওঠেনি সাহেব এসে উঠে ডেকে তুললো। এরপর অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলের পাশে বসে থাকি ছেলের শরীরে আবার প্রচন্ড জ্বর উঠেছে ঘুমের ভিতরে কি আবোল তাবোল বলছে।
যাইহোক ও ঘুমিয়ে ছিল এই ফাঁকে আমি আজকে পোস্টটা লিখি কারন, ঘুম থেকে উঠে গেলে আর লিখতে পারবো না তাছাড়া আজকে হ্যাংআউট অনুষ্ঠান আছে। তাই তাড়াতাড়ি করে পোস্ট লেখাও শেষ করি আর ছেলেও ঘুম থেকে উঠে যায়। উঠার পর ওকে নিয়ে বাসায় কিছুক্ষণ হাটাহাটি করি এরপর যখন দেখি সাড়ে সাতটা বেজেছে এরপর হ্যাংআউটে জয়েন্ট করি। আর সামনে এগাবো না আজকের লেখা এই পর্যন্তই।।
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। সত্যিই সন্তান অসুস্থ হলে পিতা-মাতার চিন্তার কোন শেষ থাকে না। সন্তানের জন্য আমাদের মন সবসময়ই চিন্তিত থাকে, আর মায়েদের উপর যে কী পরিমাণ চাপ পড়ে, তা সত্যিই ব্যাখ্যা করা কঠিন।সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
সর্বপ্রথম আপনার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি সৃষ্টিকর্তা আপনার ছেলেকে খুবই দ্রুত সুস্থ করে দেবেন এটা কামনা আমার। আসলে সন্তান অসুস্থ থাকলে মায়ের অনেক কষ্ট হয় মা অনেক কষ্ট করে সন্তানকে ভালো ভাবে রাখার জন্য। আপনার ছেলে অসুস্থ তাই রাতে পানি খাওয়ার জন্য কান্না করছিল এবং আপনার ছেলে সকালে ঘুমিয়ে পড়ে আপনি না ঘুমিয়ে চলে যান নাস্তা তৈরি করার জন্য। এটা শুধু একটি মা করতে পারে মা ছাড়া এমন ত্যাগ আর কেউ করতে পারে না।
সন্তান অসুস্থ মানে মা অসুস্থ কারণ সন্তান খারাপ থাকলে মা কখনোই ভালো থাকতে পারে না।।। সকালে উঠেই দেখেন সন্তান অসুস্থ তাই তাকে খাবার খাওয়ান সাথে ওষুধ।। দোয়া করি আপনার সন্তান যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়।।
সন্তান যখন অসুস্থ হয় তখন পিতা-মাতার চিন্তার শেষ থাকে না, সন্তান অসুস্থ মনের পিতা-মাতার দুজনে অসুস্থ, বেশ করে সন্তানের মার উপরে বেশি চাপ পড়ে, সন্তান অসুস্থ হলে আমাদের কোন কিছুই ভালো লাগেনা, মাথার মধ্যে শুধু চিন্তা করে কখন আল্লাহ তা'আলা আমার সন্তানকে সুস্থ করে দিবেন, আপনার সারাদিনে কত রকম দেখে খুব ভালো লাগলো যদিও আপনার সন্তানের অসুস্থতা দেখে একটু খারাপ লেগেছে, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।