Better Life With Steem || The Diary game || 29/3/2024
গতকাল রাতের বেলা সেহেরি খেতে উঠেছি রাত চারটার সময়,, চোখে এত ঘুম শরীরটা কালকের থেকে খুব খারাপ লাগছিল। তারপরও ক্লান্ত শরীর নিয়ে সেহেরী খেয়ে নিলাম। তারপর মেয়ে থালাবাসন গুলো বেসিনে রেখে আসে। খাওয়া দাওয়া করে সঙ্গে সঙ্গে আবার শুয়ে পড়ি। আর শুয়ে থাকার পর কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি নিজেও টের পায়নি এবং ফজরের নামাজ পড়তে পারেনি।
এরপর সকাল দশটার সময় ঘুম থেকে উঠে,, হাত মুখ ধুয়ে বাসি থালা-বাসন গুলো ধুই। তারপর আরো কিছু কাজ করে ঘরটা খুব সুন্দর করে ঝাড়ু দি। আসলে আমরা মেয়েরা যত অসুস্থ থাকি না কেন সংসারে যতটুকুই কাজকর্ম গুলো আছে সেগুলো করতেই হয়। হাত ঘুটে কখনোই বসে থাকা যায় না।
এদিকে সাহেব ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে তার কাজে বেরিয়ে পড়ে। যাওয়ার সময় ছেলেকে দুটি মামা একটি চিপস কিনে দিয়ে গেল এরপর ছেলে সকাল বেলা এগুলো খেয়েই রইল আর কিছু খাওয়াতে পারিনি।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি দুপুর একটা বেজে গেল তারপর গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠেছি আর ভাবছি আজকে তেমন কিছু রান্না করবো না শরীরটা ভীষণ খারাপ লাগছে।
তাই যেই ভাবনার সেই কাজটাই করলাম আজকে দুপুরে রান্না করছি শুধু ডিম আর আলু আর ইফতারের জন্য কিছু রান্না করবো না সাহেব কে বাহির থেকে কিনে আনতে বলবো। রান্না শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে ছেলেকে কয়টা ভাত খাইয়ে তারপর আসরের নামাজ পড়ি। আজকে ছেলেকে দুপুরের ভাত খাওয়াতে অনেক লেট হয়ে গেছে। যাইহোক ছেলেকে খাইয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে বিশ্রাম নি।
তারপর দেখি সাহেব সাড়ে পাঁচটার সময় বাসায় আসছে আর হাতে একটা বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে এসেছে। বিরিয়ানি প্যাকেট আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে তারপর আবার তার দোকানে চলে যায়। তারপর সেই বিরিয়ানি আর বাসায় বানানো লেবু শরবত দিয়ে ইফতার করি।
ইফতার করে মাগরিবের নামাজ পড়ি,, নামাজ শেষ করে অনেকক্ষণ শুয়ে থাকি। শুয়ে থাকতে থাকতে একসময় দেখি আমার প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে তারপর হঠাৎ করে জেগে উঠি,কারণ আমার পোস্ট লিখতে হবে। এরপর ফোনটা হাতে নিয়ে পোস্ট লিখতে প্রস্তুত হই।
পোস্ট লেখার ভিতরে পাশের বাসায় ভাবি আমার কাছে এসে তার মনে কিছু দুঃখের সুখের আলাপ করল। আমি তার কোন কথার উত্তর দিইনি শুধু শুনেই গেছি কারণ আমার কথা বলতে ভালো লাগছিল না। এরপর সে কথা বলে যাওয়ার পর বাকি পোস্ট লেখাটা সম্পূর্ণ করি।
পোস্টটা লেখে এরপর ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি,তারপর আমি এশার নামাজ পড়ি। নামাজ পরে অল্প কয়টা ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ি। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি সামনে আর এগোলাম না ।
বন্ধুরা আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই,সবার জন্য শুভকামনা রইল।(আল্লাহ হাফেজ) |
---|
অসুস্থাকে উপেক্ষা করেও সংসারের কাজ গুলো করতে হয়, এজন্য আমাদের মা বোন দের সম্মান জানাই। বিরিয়ানি আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। আপনার বিরিয়ানিটি দেখে একটু লোভই হচ্ছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্টে মামা চকলেট দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোটবেলায় মামা বিস্কুট খেতে অনেক বেশি ভালোবাসতাম। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের নিজেদেরই দেকান ছিলো তাই মন চাইলেই খেতে পারতাম।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।।
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। আমার ভাতিজার মামা ওয়েফার খুবই পছন্দের। তাকে দোকানে নিয়ে গেলে সবার আগে মামা এফআর কিনবে। ছোটবেলায় আমিও একটি অনেক খেতাম।
রমজান মাসে মাঝে মাঝে বেশ খারাপ লাগে এটা প্রতি একটি মানুষের সাথেই হয়তো ঘটে থাকে।। সকালে উঠে সংসারে টুকটাক কাজ করেছে যা প্রতিদিনই করা হয় আপনার।। এছাড়াও বিকালে আপনার সাহেব বিরানির প্যাকেটও নিয়ে এসেছে।। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি করে ভালো থাকবেন।
আমার মনে হয় আপনার ছেলে মামা ওয়েফার অনেক বেশি পছন্দ করে। কারণ এর আগেও কয়েকটা পোস্টে দেখেছি মামা খেতে।
এটা আমার মেয়ের অনেক পছন্দ সাথে আমারও মাঝেমধ্যে দোকানে গেলে মেয়ের সাথে সাথে নিজেও কিনে খাই।।
সত্যি কথা বলতে মেয়ে মানুষদের সংসারের কাজে কোন মাপ নেই। অসুস্থ হোক বা যে কোন বিষয়ে তবুও সংসারের কাজ করতেই হবে । আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
সারাদিনের সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল।