Better Life With Steem || The Diary game || 28/6/2024
(Canva)
আলহামদুলিল্লাহ আবার একটি নতুন, ভোরে আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। প্রতিদিনের তুলনায় আজ সকালে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি, তাও আমি নিজে থেকে উঠিনি সাহেব উঠিয়েছে। ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ দিয়ে ওজু করে ফজরের নামাজ আদায় করি।
এরপর সাহেব বলে আজ বাসা থেকে একটু তাড়াতাড়ি বের হতে হবে এবং সকালের নাস্তা বাসায় করে যাবো কি দিবে নাস্তা তাড়াতাড়ি দাও, তারপর আমি তাড়াতাড়ি করে ডিম টোস্ট বানিয়ে দিলাম। সে খেতে লাগলো এর মাঝে ছেলে মেয়ে ওরাও উঠে গেল তারপর ওরা হাতমুখ ধুয়ে ওদের বাবার সাথে ডিম টোস্ট খেল। আমি আর ওগুলো খাইনি পান্তা ভাত খেলাম বাসি তরকারি আর তার সাথে একটা ডিম ভেজে নিলাম।
সাহেব সকালের নাস্তা করে সে বেরিয়ে পড়ল আর এদিকে আমি কতগুলো ঘর মোছা নেকড়া এবং রান্নাঘর মোছার নেকড়া এগুলো হুইল পাউডার দিয়ে বালতিতে বাথরুমে ভিজিয়ে রাখলাম ধোয়ার জন্য, এই বাসায় আর মাত্র দু'দিন আছি তাই মোটামুটি যা পারি এখান থেকে ধুয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি।
তবে হ্যাঁ, আর একটা কথা আপনাদের জানিয়ে রাখি, আর জানিয়ে রাখাটাও ভালো কোনো এক নতুন জায়গায় গেলে সবকিছু গুছিয়ে গাছিয়ে নিতে একটু সময় লাগে, হয়তো নতুন বাসায় গেলে সবকিছু গুছিয়ে নিতে নিজের ব্যস্ততার কারণে আমার দুই একদিন পোস্ট লেখা গ্যাপ পরতে পারে।
ওগুলো ভিজিয়ে রেখে তারপর যাই রান্নাঘরে দুপুরে রান্না করার জন্য, ভাতটা চুলায় বসিয়ে দিয়ে তারপর আবার কিছু কাজে লেগে পড়ি, সেই কাজটা হলো সম্পূর্ণ রুম ভালো করে পানি দিয়ে মুছে নিলাম। রুম মোছা শেষ হলে তারপর আবার রান্নাঘরে গিয়ে রান্নার কাজটা সম্পন্ন করি।
এরপর যাই ছেলেকে নিয়ে গোসলে আগে ওকে গোসল করিয়ে দিয়ে তারপর আমি ভিজিয়ে রাখা নেকড়া গুলো ধুয়ে তারপর আমি গোসল করি। গোসল শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে জোহরের নামাজ পড়ি। এরপর আমরা তিন জনে মা মেয়ে ছেলে বসে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি।
দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি ছেলে ঘুমিয়ে পড়ে এবং আমিও ওর সঙ্গে ঘুমিয়ে যাই। আসরের আযান দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ওঠা মাত্রই মেয়ের কোথা থেকে এসে আমার হাতে একটা গন্ধরাজ ফুল দিল আর বলে আম্মু দেখো কি সুন্দর ঘ্রান সত্যি আমি ফুলটা হাতে নিয়ে ঘ্রান নিলাম খুব সুন্দর একটা ঘ্রান বের হচ্ছে।তারপর আমি ফুলটা হাতে নিয়ে একটা ছবি তুললাম এবং আমি নিজেও ফুলটা কানে গেথে একটা ছবি তুললাম।
ফুলটার সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে এদিকে মাগরিবের আযান দেওয়ার সময় হয়ে গেল, আর ছেলেকে ঘুম থেকে উঠালাম। মাগরিবের আযান দিলো নামাজ পড়লাম।নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বসে থেকে তারপর ছেলে মেয়ের জন্য সন্ধ্যার নাস্তা বানাতে গেলাম । মেয়ে বলে ডিম টোস্ট খাবে তারপর ওদের দুই ভাই বোনকে বানিয়ে দিলাম আমি আর খাইনি।
এরপর বসে থেকে সময় নষ্ট না করে পোস্ট লিখতে শুরু করি। আমার পোস্ট লেখার ভিতর ছেলে করলো আরেক কান্ড, মেয়ে শুয়ে কানে ইয়ারফোন দিয়ে ল্যাপটপ দেখছিলো আর ছেলে কোথা থেকে এসে মেয়ের কান থেকে ইয়ারফোনটা টান দিয়ে ছিড়ে ফেলল। প্রতিনিয়ত সাহেবের ইয়ারফোনটা দরকার হয় জানি না এসে সে কি বলবে।
এরপর সব কিছু ঝামেলা বাদ দিয়ে পোস্ট লেখাটা সম্পূর্ণ করে,এশার নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে সাড়ে দশটার ভিতরে ছেলেকে রাতের খাওয়া দাওয়া করাই তারপর আমরা মা মেয়ে খেয়ে নিলাম। খেয়ে আধা ঘন্টার মতন সময় কাটিয়ে শুয়ে পড়ি। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মতন এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।।
গন্ধরাজ ফুলের ঘ্রাণ মনোমুগ্ধকর যেটা অনুভব করার সুযোগ হয় না কয়েক বছর হলো। আমাদেরই একটি অনেক বড় গন্ধরাজ ফুলের গাছ ছিল কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে গাছটি মারা গিয়েছিল।
শিশুরা তো এরকমই, তাই এই ধরনের ডিভাইস ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় একটু সচেতন থাকতে হবে কিছুই করার নেই। আপনার কর্মব্যস্ত একটি দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখা পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
সকাল সকাল ডিম টোস্ট আর তার সাথে একটু সস এবং তার সাথে এক কাপ চা নাস্তা একেবারেই পারফেক্ট। সারাটা দিন অন্যরকম ভাবেই কেটে যায়। আপনার গন্ধরাজ ফুল বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে তার সাথে আপনাকেও। ছেলে মেয়ের জন্য আবারো ডিম টোস্ট তৈরি করে ফেলেছেন। দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটে গেল। ধন্যবাদ আপনার পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।