Better Life With Steem || The Diary game || 28/5/2024

in Incredible India2 months ago
1000085787.jpg

আলহামদুলিল্লাহ আবারো, নতুন একটা ভোরের আলো দেখতে পেলাম তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। তবে এই দুইদিনের চেয়ে আজকের সকালটা অনেক ভালো ছিল। এরপর প্রতি দিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠি কিন্তু লেট করে তাও ইচ্ছা করে না,,ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ঘুমটা ভালো হয়েছিল তাই।

1000085681.jpg

যাইহোক এরপর আমি ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে কিচেনে চলে যাই থালা-বাসন গুলো ধুতে। কিচেনটা সাফ করে তারপর সম্পূর্ণ ঘরটা ঝাড়ু দি,এরপর ছেলে মেয়ে ঘুম থেকে ওঠে মুখ হাত ধুয়ে আসার পর ওদেরকে চা বিস্কুট খেতে দি, আমরা আর ওগুলো খাইনি বাসি তরকারি দিয়ে পান্তা ভাত খেলাম।

1000085302.jpg

ছেলে মেয়ে ও সাহেব তারা সকালের খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়ে বসে রইল। আমি আর বসে থাকি নি তাদের মত, আর বসে থাকা সময় ও আমার নেই, সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলাম রান্না ঘরে পেট বাঁচাতে হলে রান্না তো করতেই হবে। পেট ঠান্ডা মানে পুরো দুনিয়াটাই ঠান্ডা, এরপর দুপুরে কি রান্না করবো তা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্নাটা বসিয়ে দিলাম। আজকে দুপুর আমি রান্না করবো ঢেঁড়স ভাজি আর মুলা।

দুপুরের রান্নাটা বারোটা বাজে শেষ করলাম এরপর রান্নাঘরটা সুন্দর করে গুছিয়ে রেখে, ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই। মা ছেলে গোসল করে এসে মেয়েকে গোসল করতে পাঠিয়ে দি,,এদিকে দেখি সাহেব কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করে আবার ঘুমিয়ে পড়েছে। তারপর আমি তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দি আর বলি এখন দুপুর আড়াইটা বেজেছে এখনো না ঘুমিয়ে থেকে গোসল করে এসে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করো।

1000085336.jpg

তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে এই কথা বলে আমি গেলাম জোহরের নামাজ পড়তে। এরপর নামাজ পড়া শেষ করে সবাই একসঙ্গে বসে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করি। আমরা দুপুরে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি কিন্তু সাহেব আর বিশ্রাম নেয়নি, সে দোকানে চলে গেল আজকে সারাদিন যায়নি তাই বিকেল বেলায় দিকে চলে গেল।

সে চলে যাওয়ার পর আমি ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরি। ওরা ঘুমিয়ে ছিলো আমি একটু পরে ঘুমালাম কারণ ইউটিউবে ঢুকে কিছু খবর দেখলাম, আর জানতে পারলাম রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে অনেক জেলা এবং অনেক মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যা দেখে আশ্চর্য হওয়ার মতন। কিছুক্ষণ ইউটিউবে থেকে ঘুমিয়ে পড়ি। এবং সেই ঘুম থেকে বিকেল পাঁচটার সময় উঠে আসরের নামাজ পড়ি।

1000085633.jpg

নামাজ শেষ করে বাসার কিছু কাপড়-চোপড় গুছিয়ে রাখলাম এবং কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম তারপর মাগরিবের আযান দিল,ওযু করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে ছেলে মেয়েদের কিছু খেতে দিলাম। ওদের খাওয়া শেষ হওয়ার পর মেয়ে পড়তে বসল আর আমি ছেলেকে মুখে মুখে পড়ালাম। ছেলে কিছুক্ষণ পড়ে এরপর কালার কলম নিয়ে বই দাগাতে লাগল।

1000085784.jpg
1000085702.jpg

ছেলের বই দাগাদাগি দেখে আমি পোস্ট লিখতে বসি। এদিকে পোস্ট লেখা আমার প্রায় শেষের দিকে আর মেয়েকে দেখি সে পড়াশোনা শেষ করে ল্যাপটপ বের করে ছবি আঁকছে তাও আমাদের ফ্যামেলি নিয়ে। এরপর আমি ছবিটা এক কপি ফটোগ্রাফি করলাম। পোস্ট লেখাটা শেষ করে ছেলেকে খাইয়ে এশার নামাজ পড়ে, আমরা মা মেয়ে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি।। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

ঠিক বলেছেন দিদি পেট কে শান্তি করার জন্য রান্না তো করতেই হবে পেট শান্তি থাকলে আপনার দুনিয়াও শান্তি। আর সব কাজে আপনার ভালো লাগবে। আপনার মেয়ের ছবি অংকন খুবই ভালো ছিল একদম বাস্তব। এরকম ভালো ছবি মনে হয় আমি অংকন করতে পারবো না। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ

 2 months ago 

মুখে দুটো খাবার তোলার জন্য মানুষ দুনিয়াই বসে কতই না কিছুই করে। ঠিক বলেছেন মেয়ের হাতের ছবি অংকন খুব ভালোই হয়। একবার যেটা দেখে সেটাই ও অংকন করতে পারে।

ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মতামতটি খুব সুন্দর করে জানিয়ে দিলেন।

 2 months ago 

আসলে ফ্যামিলির অন্যান্য সদস্যরা নাস্তা খেয়ে একটু বিশ্রাম নিতে পারে। কিন্তু ঘরের বউ তাকে সবকিছু সামলে নিতে হয়। তাই আপনি আর বসে থাকতে পারেননি। রান্নাবান্না করে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিয়েছেন। আসলে দুপুরের খাবারের ঢেঁড়স তো ভাজি, দেখতেই তো অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে।

আপনার মেয়ে নিশ্চয়ই ছবি আঁকতে অনেক বেশি পছন্দ করে। তার এই ছবি আঁকা কখনোই বন্ধ করবেন না। যদি পারেন তাহলে কোন স্কুলে দিয়ে তার এই ছবি আঁকা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। বড় হলে দেখবেন সে অনেক বড় একজন আর্টিস্ট হতে পারবে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেল মায়ের কাছে মেয়েরা খুব ছোটই থাকে। একটা কাজ করতে দিলে এখনও বলবে থাক ও পারবেনা আমি করি।আর শ্বশুরবাড়ির লোক বলবে বউ হয় যখন অন্যের ঘরে এসেছে তাহলে সবকিছুই কাজ সামলিয়ে নিতে পারবে,সেই কাজগুলো অনেক বড় হোক বা ছোট হোক এই কথাগুলোই তারা বলে। যাইহোক অন্যের ঘরে বউ হয়ে আশাই তো সবকিছু গুছিয়ে রাখা এবং নিজের হাতে সবকিছু সামলানো।

ঠিক বলেছেন আপু মেয়ে ছবি আঁকতে অনেক বেশি পছন্দ করে। ও যে ছবিটা একবার মন দিয়ে দেখবে সেই ছবিটা অংকন করতে পারে। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পরে আপনি খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করলেন।

 2 months ago 

আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি মেয়েদের জীবনটা এমন হয় কেন? সবাই কি তারা তাদের সন্তানের মত চিন্তা করতে পারেনা। এরকম পরিবার পাওয়াটা খুব কষ্টকর। কিন্তু এরকম পরিবারও বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা জায়গায় রয়েছে। যারা কিনা ঘরের বউকে নিজের মেয়ের মতো করে চিন্তা করে। তারাও চিন্তা করে তাদের মেয়েটা যেমন অন্যের বাড়িতে গিয়ে কাজ করে কষ্ট পায়। ঠিক তেমনি তাদের ঘরের বউ তাদের বাড়িতে এসে কাজ করে কষ্ট পায়। তারা একটু হলেও সাহায্য করে।

তবে এই ধরনের পরিবার আমি খুব কম দেখেছি। একেবারেই কম যেটা হয়তোবা কল্পনা করার বাহিরে। আসলে আপনার মেয়ের ছবি দেখে আমি নিজেও অনেক বেশি অবাক হলাম। তার এই প্রতিভা অবশ্যই ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রিপ্লাই দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

পেট বাঁচাতে হলে রান্না তো করতেই হবে।

এটা কিন্তু বেশ ভালোই বলেছেন। খিদে মেটাতে গেলে হাত পা গুছিয়ে রেখে চললে তো হবে না কষ্ট করে রান্না তো করতেই হবে। আপনার মেয়ে ছবি আকার হাত তো অনেক ভালো যেটা প্রশংসা না করলে অন্যায় হয়ে যাবে।আপনাদের সকলের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

আসলে বসে থাকা সবাই পছন্দ করে না।বিশেষ করে বাসার নারীরা অনেক কর্মব্যস্ত থাকে।আপনি আপনার বাচ্ছাদের প্রতি খুবি যত্নশীল। আর আপনি নামাজ আদায় নিয়ে যথাযথ একটিভ।আপনার মেয়ে ল্যাপটপে ছবি আঁকছে। এটা খুব ভালো বিষয়। এভাবেই বাচ্ছাদের ক্রিয়েটিভিটি বাড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে

 2 months ago 

যারা রান্না করে তাদের প্রতিদিনের কাজ প্রায় একরকম হয়ে থাকে।। আজ সাহেব বাসায় ছিল এছাড়াও সংসারে বেশ কাজ করেছেন।। আর হ্যাঁ বেঁচে থাকার জন্য খাবার আমাদের খেতে হবে রান্নাও করতে হবে।। সব চাইতে বেশি ভালো লেগেছে আপনার মেয়ের ছবি অংকন অসাধারণ।।

 2 months ago 

প্রতিদিনের সংসারে কাজ একই রকমই হয়ে থাকে মাঝেমধ্যে ভিন্ন ভিন্নভাবে দিন চলে যায়। গতদিন সাহেব বাসায় থাকার কারণে রান্নাবান্না এবং সবকিছু তাড়াতাড়ি করে নিলাম।

মেয়ের হাতের অংকন খুব সুন্দর হয়েছে ও যেটা দেখে সেটাই দেখে আঁকতে পারে। ধন্যবাদ

 2 months ago 

তাহলে মেয়েটার অনেক অভিজ্ঞতা আছে যেটা দেখে সেটাই অঙ্কন করা এত সহজ নয় এটা আমার কাছে মনে হয়।।

সত্যি কথা বলতে আমার ছবি অঙ্কন করা খুব ইচ্ছা কিন্তু সময় সুযোগ না হওয়ার জন্য শিখতে পারছি না।। দোয়া রইল আপনার মেয়ের জন্য সে যেন আরো সুন্দরভাবে ছবি অঙ্কন করতে পারে।।

 2 months ago 

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার সকালবেলাটা ভালো ছিল জেনে খুব ভালো লাগলো। পরে সকালের কাজকর্ম সেরে ছেলে মেয়েকে তা বিস্কুট খেতে দিয়েছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন, পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা। দুপুরবেলা ঢেঁড়স ভাজি এবং মুলার তরকারি রান্না করেছেন।
সন্ধার দিকে আপনার ছেলে বইয়ে কলম দিয়ে দাগা দিয়ে করছিল। ছোট বাচ্চারা এরকমই হয়।

সারাদিনের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65733.39
ETH 3506.40
USDT 1.00
SBD 2.51