Better Life With Steem || The Diary game || 27/12/2023
হ্যালো স্টিমেট বন্ধুরা
আশা করি সকলে স্টিমেট বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও মোটামুটি আল্লাহর রহমতে ভালোবাসি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার সারাদিনের ডাইরি গেম গুলো উপস্থাপনা করতে চাই।
🌺সকালবেলা 🌺 |
---|
ফজরের আযান দিলো তারপর মা আমাকে সকাল বেলা দুটো ডাক দিল সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আমি ঘুম থেকে উঠে গেছি। শীতের দিনে লেপ কম্বল গেলো বন্ধু হয়ে ওদের ছাড়া উঠতে একদম মন চাইলো না। তারপর আর কিছু করার নেই উঠতেই হবে তারপর সালাত আদায় করে নিলাম। নামাজ শেষ করে কিছুক্ষণ তফছি গুনে উঠে গেলাম। তারপর গ্যাসে চা বসিয়ে দিলাম চা হয়ে যাওয়ার পর চা বিস্কুট দিয়ে সকালে নাস্তা করলাম। তারপর ছেলেও ঘুম থেকে উঠে গেল ওকে হাতমুখ ধুয়ে এনে মুখে ক্রিম লাগিয়ে দিলাম। তারপর চা দিয়ে বিস্কুট ভিজিয়ে খাইয়ে দিলাম।
💗দুপুর +বিকেল💗 |
---|
আজ দুপুরে হঠাৎ করে পারিবারিক কিছু কারণে মনটা ভীষণ ভেঙ্গে পড়ল। কিছু করতে ইচ্ছা করছিল না শুধু মাথার ভিতরে টেনশন টা ঘুরপার খাচ্ছে। মা রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত আছে আর আমি এদিকে কিছু কমেন্ট করি যেহেতু আমাদের একটা টুর্নামেন্ট চলছে তো এই কাজটা তো করতেই হবে তার জন্য এই কাজটা করতে বসি। তারপর সাড়ে বারোটা বেজে গেল ফোনটা হাত থেকে রেখে ছেলেকে গোসল করি দেই।ওকে জামা কাপড় জুতা পরে উঠানে খেলা করতে ছেড়ে দিয়ে তারপর আমিও গোসল করে আসি। গোসল করে এসেছ জোহরের নামাজটা আদায় করে তারপর ছেলেকে ফোনে কাটুন দেখিয়ে ভাত খাইয়ে দি।
🪷সন্ধ্যা+ রাত🪷 |
---|
মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো ওযু করে নামাজ পড়তে গেলাম।নামাজ পড়ে এসে দেখি ছেলে নাচে ফোনে গান চালিয়ে হাতে একটা মোহা নিয়ে নাচানাচি শুরু করে দিল । সে গানের শব্দ পেলে তার নাচ আর থামানো যায় না তার ইচ্ছা মত নাচানাচি শুরু করে দিবে । এবং অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকে কে কিরকম নাচে তা আবার সেই রকম অঙ্গি-ভঙ্গি দিয়ে নাচানাচি করবে। তারপর আমি ফোনে গানটা অফ করে দিলাম আর যে তার কান্না। তার কান্না কি আর থামানো যায় তবুও আমি জোর করে ফোনটা নিয়ে নি তারপর আমি আমার কাজে বসে পড়ি আর ছেলে তো ওর নানুর কোলে বসে শুধু কান্না চালিয়ে যাচ্ছে ।
আমি একটা কলা ছিলিয়ে খেতে লাগলাম আর পোস্ট লিখতে বসলাম। আমার প্রায় পোস্ট লেখা শেষ হয়ে গেল তারপর ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম ছেলে ঘুম পড়ে গেল। আব্বু তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসাতে আমরা ও রাতের খাবার খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যাই।
আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন (আল্লাহ হাফেজ) |
---|
এই হাড় কাঁপানো শীতে গোসল করা নিয়ে অনেক ধিদা ধন্দে পড়তে হয় কারনে বাসার করলে তো গরম পানি দিয়ে করা যায় কিন্তু পুকুরে করলে সেই সুবিধা পাওয়াযায় না। এমনিতে কম্বল এর নিছ থেকে বের হতে মন চায় না। আপনি যে বিষয় নিয়ে টেনশনে আছেন তা তাড়াতাড়ি সুখে রূপান্তরিত হোক এই কামনা করি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।
থ্যাংক ইউ ভাইয়া আপনারা যদি এরকম পাশে থাকেন এবং সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করেন তাহলে কাজ করতে আরো উৎসাহিত পাই । থ্যাঙ্ক ইউ
শীতের দিনে লেপ, কম্বল ছেড়ে কার আর উঠতে ইচ্ছে করে। তবুও সকলকেই বাধ্য হয়ে উঠতে হয়। যখন আপনার মন খারাপ করবে তখন বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসবেন। বেশ তো আপনার ছেলে ফোনে গান চালিয়ে দিয়ে মোয়া হাতে নিয়ে নাচছিল। কেন যে আপনি গানটা অফ করে ফোন ওর কাছ থেকে কেড়ে নিলেন।
শীতকাল লেপ কম্বল বন্ধ হয় তবে গরমকালে আবার ফ্যান বন্ধু হয়। যে সিজনে যেটা প্রয়োজন সেটাই বন্ধু হয়। আসলে মন খারাপ হলে বাহির থেকে ঘুরে আসলে সবার সাথে দুই একটা কথা বললে মন খারাপ বেশি টা দূর হয়ে যায়। ওর কাছ থেকে যদি আমি ফোন না নিতাম তাহলে সারারাত নেচে যেতে পারতো ।
থ্যাংক ইউ দাদা, আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিলেন ।
আসলে ছোট বাচ্চাদেরকে খাবার খাওয়াতে গেলে অনেক বেশি ঝামেলার মধ্যে করতে হয়। কেননা তারা সহজে খাবার খেতে চায় না। আমার ছেলেকে খাবার খাওয়াতে গেলে আমার প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে। আপনার মতই আপনার দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটে দিয়েছে। আপনার মা রান্না করেছে সন্ধ্যায় আবার কলা খেয়েছেন। শীতকালে কলা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আবার অনেকেই বলে থাকে অতিরিক্ত কলা খেলে নাকি ঠান্ডা লাগে। কিন্তু আমার কাছে শীতকালে কলা খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বাচ্চাদের খাবার খাওয়াতে বসলে যেন মনে হয় যুদ্ধ করতে বসেছি। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ হওয়ার পর একটা নিঃশ্বাস নিয়ে ভাবছে যুদ্ধটা এবার শেষ করেছি। ওদেরকে খাওয়াতে গেলে চলে ছলে বলে কৌশলে অনেক ধরনের কথা বলতে হয় তারপর খাওয়াতে হয়। শীতকালে কলা প্রচুর পাওয়া যায় কিন্তু যে জিনিসটা উপকার আছে সেই জিনিসটার ক্ষতিই আছে তবে এটা ঠিক বেশি খেলে ঠান্ডা লেগে যায়।
থ্যাংক ইউ দিদি আমার পোষ্টি সম্পূর্ণ ধৈর্য সহকারে পরে আপনার মূল্যবান একটি মতামত জানিয়ে দিলেন।
আসলেই শীতের সময় আমাদের একমাত্র বন্ধু হয়ে ওঠে কম্বল, লেপ। যত যাই হোক আর তাই হোক এটাকে ছেড়ে থাকতে মন চায় না। কিন্তু তারপরও সে থেকে তার জীবন কাটানো যায় না তাই উঠে যেতেই হয়। আপনি পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে খুব টেনশনে ছিলেন। তবে আমি দেখিছি টেনশন করি আর যাই করি যা হওয়ার তাই হয়। এজন্য খুব বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না মনোবল শক্ত রাখুন। আপনার ছেলে মোবাইল ছেড়ে নাচানাচি করে এটা তার এক ধরনের মানসিক বিকাশ। শিশুর মানসিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে সবকিছু ই প্রয়োজন আছে। আপনি তার সবকিছুর মধ্যেই সুষম বন্টন বজায় রাখবেন। আপনি অনেক ব্যস্ত একটি দিন পার করলেন। আপনার দিনলিপি পড়লাম।ভালো
লাগলো পড়ে।
শীতের সময় লেপ-কম্বল আমাদের বন্ধ হয়ে যায়। আসল টেনশন করার শুধু নিজের ভিতরে রোগ সৃষ্টি করা তো টেনশন না করাই ভালো সামনে যা আছে সেটা হয়েই যাবে। তবে এটা ঠিক বলেছেন বাচ্চারা যত বড় হয় তত মেধা বিকাশ ঘটে।
ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি সম্পুর্ন ধৈর্য সহকারে পড়ে খুব সুন্দর একটি মতামত জানিয়ে দিলেন।
সকালে নাৃমাজ পরে চা বিস্কুট খেয়ে নাস্তা করেছেন। সবার লেখাতেই শীতের কথা পড়ি কিন্তু ঢাকায় শীতের দেখা নেই বললেই চলে।
আপনার ছেলেটা মাশাল্লাহ কিউট। আগে যখন আমার বাচচারা ছোট ছিলো তখন ছোট বাচচা দেখলেই বিরক্ত লাগতো কিন্তু এখন খুব ভালো লাগে।
ঠিকই বলেছেন কোন কিছু নিয়ে টেনশন করে লাভ নেই। যা হওয়ার সেটা হবেই।
চমৎকার করে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ঢাকাতে চার দেয়ালের মাঝে তেমন একটা শীত অনুভব করা যায় না। সেদিন তো আমি আমার খালাতো নননের সাথে কথা বলছিলাম ওমা ওকে দেখে ফ্যান চালিয়ে শুয়ে আছে আমি কি ব্যাপার। বলে আমার প্রচুর গরম লাগছে তার জন্য ফ্যান চালিয়েছে আর আমি বলি আমরা তো শীতে একদম বুড়ি হয়ে যাচ্ছি। আমি যেটা মনে করি টেনশন ফিল করলে নিজের আরো ক্ষতি হয় তাই বলি যা হবার তো সামনে হয়েই যাবে।
থ্যাংক ইউ দিদি আমার পোস্টি আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পরে সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন।
সকাল বেলা শীতের দিনের বেস্ট নাস্তা চা আর বিস্কুট খেয়েছেন। দুপুরের খাবার তালিকায় ছিল মাছ আপনার দুপুরে খাবার টা দেখতে লোভনীয় ছিল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে।
শীতের দিনে বেস্ট নাস্তা তো চা। এই চা গরম পানিটা খেতে শরীরের ভিতরে গরম অনুভবটা বের হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন।
আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন তা শীতের দিনে বেস্ট নাস্তা কিন্তু হালকা কিছু খাবার খাওয়ার পরে চা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন চা খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে শীতের দিনে।আর আপনি চা খাওয়ার আগে অবশ্যই হালকা কিছু খাবার খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সকালে আপনার মা আপনাকে ডাক দিল কিন্তুু লেপ কম্বল ছেড়ে উঠতে মন চাইলো না।।
এমনটা মাঝেমধ্যে আমার হয়, আমার শাশুড়ি আম্মা আমাকে ডাক দেয় কিন্তু শীতের কারণে উঠতে মন চায় না কিন্তু কি আর করার ।কিছুক্ষণ বাদে উঠেই পড়তে হয়।
এরপরে উঠে সকালের নাস্তা করলেন চা বিস্কুট দিয়ে এবং ছেলেকে অনেক সময় নিয়ে খাওয়ালেন ।।ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয় খাওয়াতে বসলে হাত শুকিয়ে যায় তবুও খাওয়ানো শেষ হয় না।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
থ্যাংক ইউ আপু আমার পোষ্টি সম্পূর্ণ ধৈর্য সহকারে পরে আপনার মতামতটি শেয়ার করলেন।
এখন ফোন চালানো হোক বা টিভি, সব জায়গাতেই একই গান বাজে। যদিও গানটির মানে আমি কিছুই বুঝিনা। আপনার ছেলেও বোঝেনা,শুধু তালে তালে নাচতে থাকে। পারিবারিক অশান্তি প্রত্যেকটা বাড়িতেই আছে, আর যদি বলেন এমন মানুষের কথা যে টেনশন করে না, তাহলে বলবো তেমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বোধহয় একদমই অসম্ভব। এইরকমই কিছু মুহূর্ত আজ আপনিও কাটিয়েছেন। তবে সবশেষে একটাই কথা বলবো, পরিস্থিতি যেমনই হোক লড়াই ছাড়লে চলবে না। এত খারাপ লাগার মাঝেও আপনি সারাদিন কিভাবে কাটিয়েছেন সেই গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
পারিবারিক সমস্যা কমবেশি সকলে রয়েছে।। আর এই সমস্যা অনেক বড় একটি সমস্যা বলে আমি মনে করি আর সব সময় ভীষণ মনটা খারাপ থাকে।। আর আপনার ছেলে কিন্তু অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে আর অনেক কিউট দেখতে হয়েছে।।
ভালো লাগলো আপনার একটি দিনের কার্যক্রম পড়ে । ভালো থাকবেন।