আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকে সমস্ত কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চাই।
সকাল বেলা ভোর পাঁচটা ৫০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে হাড় কাঁপানো শীতে ঠান্ডা পানি দিয়ে ওযু করে আসি ফজরের নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে কম্বলের ভিতর ঢুকে কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করি। শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকে তেমন একটা মোবাইলের সময় দেওয়া হয় না। আর এই দুইদিন ধরে কোন কমেন্ট করতে পারছি না। যাই হোক আজকে সকালে চা এবং চাল বাজা খেয়েছি তবে আমি মুড়ির চেয়ে চাল বাজাটা বেশ বরাবরই পছন্দ করে আসছি। আজকে দেখলাম একটা ভাটায় কতগুলো চাল বেঁজে রেখেছে তাই আজকে চা এবং চাল বাজা দিয়ে সকালের নাস্তাটা সেরে নিলাম।ছেলে মেয়ে উভয়ে দুইজনে ঘুম থেকে উঠে গেল হাত মুখ ধুয়ে আসলো তারপর ওদেরকে চা দিয়ে বিস্কুট খেতে দিলাম। আজকে শুক্রবার ছিল তার জন্য মেয়ের স্কুলে যেতে হলো না দুই ভাই বোন মিলে সারাদিন খুব আনন্দে আছিলো।
মধ্য দুপুর: আজকে আমার চাচী শাশুড়ি সকাল বেলায় বলেছিলে চিতই পিঠা বানাবে। তার জন্য আমি কতগুলো চাল ভিজিয়ে রেখেছি তারপর ওই চালগুলো বেটে দিয়েছি এরপর বেটে দেওয়া চালের গুড়ো দিয়ে পিঠা বানানো। এবং সেই চিতই পিঠা খেয়েছি দুপুরে রান্না করা লাউ দিয়ে।
দুপুর বেলা সবকিছু রান্নাবান্না শেষ হয়ে গেল তারপর ঘরের কিছু খুঁটিনাটি কাজ করি। এরপর ছেলেকে গোসল করিয়ে এনে মেয়ের কাছে রেখে যাই তারপর আমি গোসল করতে গোসল করে আসি। এরপর গোসল করে এসে আগে যোহরের নামাজটা আদায় করি। নামাজ শেষ করে মেয়েকে খাবার টেবিলে ভাত খেতে দেই এবং ছেলেকে খাইয়ে দি। ওদের খাওয়া দাওয়া শেষ হওয়ার পর তারপর আমরা দুপুরে খাবার খেয়েছি।
আজকে বিকেল বেলা ছেলেকে ঘুম পাড়াতে পারিনি খেলাধুলা এতটা মন দিয়ে যে ঘুমোতে চাইলোনা ঘুম পাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছিলাম আর ভাবছিলাম ও ঘুমালে কিছুটা কমেন্ট করব। ছেলেও ঘুমালোনা আর ফোনেও সময় দিতে পারিনি, সেই ফুটবল হাতে নিয়ে বালুর মাঠে যাবে ফুটবল খেলতে। ওর সাথে বালুর মাঠে যেতে হলো এবং ওর পিছে পিছে থাকতে হয়েছে। এরই মাঝে কিছুক্ষণ পর আসরের আজান দিয়ে দিল ছেলেকে ঘরে এনে আমার পাশে বসিয়ে রাখে তারপরে আসরের নামাজ পড়েছি। আমার নামাজ পড়তে যতক্ষণ সময় লাগেছে ততক্ষণ সময় পর্যন্ত আমার পাশে বসে ছিল তারপর আমার আবার বল নিয়ে বালুর মাঠে যেতে হয়েছে ছেলেকে নিয়ে । বল খেলতে খেলতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিল তারপর ওখান থেকে জোর করে কান্না করিয়ে নিয়ে এসেছি।
আমি যখন মাগরিবের নামাজ পড়তে বসেছি তখনো বল নিয়ে আমার পাশে বসে খেলা করে। আজকে সারা সন্ধ্যাটা বল নিয়েই কেটেছে তারপর জোর করে এনে বল সামনে রেখে এক পিছ কেক খাইয়ে দিলাম। এরপর আবারো ও বল নিয়ে খেলতে গেল আসলে আজকে ছেলের বল নিয়েই সারাদিনটা কেটেছে।
ছেলের দুষ্টুমির ভিতরে আমি ফোন হাতে নিয়ে পোস্ট লিখতে বসি। পোস্ট লেখা সম্পূর্ণ করে আমি এশার নামাজ পড়ে আসি নামাজ শেষ করে আগে ছেলেকে খাইয়ে দেই তারপর আমরা খাই। আজকে রাত তেমন একটা সজাগ থাকিনি ছেলে ঘুম পড়েছে এবং ওর সঙ্গে আমিও ঘুমিয়ে গেলাম। এই দুই তিন দিন ধরে কেমন যেনো শুয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে চোখে ঘুম এসে যায়। আগের মতোন তেমন একটা বেশি রাত জাগতে পারিনা। বিছানে শরীল লাগলেই চোখে লাসার মতো ঘুম এসে আটকে যায়।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। (আল্লাহাফেজ) |
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
সকাল বেলা নামাজ পরে চা আর চাল ভাজা দিয়ে নাস্তা করেছেন। বাচচাদেরও চা বিস্কুট দেন নাস্তায়।
শশুর বাড়িতে তেমন একটা ফোন চালাতে পারছেন না।এটার কারন হয়তো শশুর বাড়িতে কাজের চাপ বেশি। আসলে মায়ের কাছে থাকলে যে সুবিধা পাওয়া যায় সেটা অন্য কোথাও সম্ভব না।
বাচচারা খেলা পেলে আর কিছুই চায় না।খেলতেই থাকে।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
চাল বেটে যেতে পিঠা তৈরি করতে একটু কষ্ট হলেও খেতে অনেক মজা লাগে। আজকে আপনারা সেই ভাবেই চিতই পিঠা তৈরি করেছেন। আসলে আপনার দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে যাচ্ছে। কেননা বর্তমান সময়ের শ্বশুরবাড়িতে আছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আজকে খুব ভোরে উঠে নামাজ আদায় করে নিলেন তারপর নাস্তা তৈরির কাজে লেগে পড়েন ৷ দুপুর বেলা বেশ কিছু খাবারের আয়োজন করেছেন ৷ তারপর আপনার ছেলেকে বল নিয়ে মাঠে গিয়েছেন ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
নিজ হাতে বেটে পিঠা বানিয়েছেন কিভাবে? এ তো অনেক কষ্টের। তবে পিঠা গুলো কিন্তু দেখতে দারুণ হয়েছে।
আর বাচ্চারা এমন ই হয়, খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।