Better Life With Steem || The Diary game || 25/12/2023

in Incredible India9 months ago

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

GridArt_20231225_192520055.jpg

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখের সারাদিনের মুহূর্তময় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। স্টিম প্ল্যাটফর্মে জয়েন্ট করে আমি অনেক গর্বিত কারণ মনের সব ভাষা গুলো প্রকাশ করা যায়। সারাদিনে কাজকর্ম গুলো মনের ভিতরে ডায়েরী হয়ে থাকে তারপরে এই প্লাটফর্মে শেয়ার করি। চলুন এবার শুরু করা যাক আমার ডায়েরি গেম।


সকালবেলা

IMG_20231225_093729.jpg

আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেকটাই লেট হয়েছে। এতটা লেট হয়েছে যে আমি নামাজ পড়তে পারিনি। এবং অলসতা পড়ে গেছে কাজা নামাজটা পড়িনি। সকালে ঘুম থেকে আটটার দিকে উঠলাম এবং ফ্রেশ হয়ে গরম গরম এক কাপ চা খায় আর দুটি মুড়ির মুুহা খায়। শীতের বেলায় চা টা কিন্তু সহজে মিস করি না মুড়ি মুহা খেয়ে কিছুটা রোদে বসলাম। রোদে বসে স্টিমেন্ট বন্ধুদের পোস্টে কয়েকটি কমেন্ট করি। এই ফাঁকে আবার ছেলের বাবা ইমুতে ভিডিও কল দিলো ছেলে তার বাবার সাথে অনেকক্ষণ কথা বলল। কথা বলা শেষে ফোনটা চার্জে লাগিয়ে আমি ছেলেকে সকালে খাবার খাওয়ে দিলাম।

দুপুর+বিকেল

IMG_20231225_135252.jpg

দুপুরে মা রান্না বান্না প্রস্তুতি নিয়ে নিল এবং রান্নাবান্নার কাজ শুরু করে দিল। আমি কিছুটা সময় পেয়ে ফোন নিয়ে বসলাম। তারপর মা রান্না হয়ে গেল এবং আজকে সবার আগে গোসল করলাম। মার গোসল করা হয়ে গেলে ছেলেকে আমি গোসল করে মার কাছে রেখে যাই। আমার একটা খারাপ আবার অভ্যাস আছে যে কোন কিছু রান্না করুক না কেন পাতিল থেকে আগে আমার খেতেই হবে। তারপর একটা প্রিজে করে কতটুকু লাউ শাক নিয়ে খেয়ে তারপর গোসল করতে যাই।

IMG_20231225_143652.jpg
তারপর আমি গোসল করতে যাই এবং গোসল করে এসে দেখি মা ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছে। তারপর জোহরের নামাজ পড়ে আসি এবং নামাজ শেষ করে সবার জন্য ভাত বেড়ে সবাই একসাথে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করি।
IMG_20231225_133702.jpg

বিকেলবেলা: ছেলেকে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে আমি ওর পাশে শুয়ে থাকি এবং কিছু কমেন্ট করি। কিছুক্ষণ বাদে আসরের আযান দিয়ে দেয় তারপর নামাজটা পড়ে আসি। তারপর একটু উঠোনের দিকে যায় এবং বড়ই গাছের দিকে তাকিয়ে দেখি মোটামুটি কিছু বড়ই বড় হয়েছে। তারপর গাছ থেকে কয়েকটা বড়ই পারি খেয়ে দেখি মোটামুটি ভালই লাগছে। এদিকে আবার ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল ওকে নিয়ে একটু বাইরে হাটাহাটি করি। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এল তারপর ঘরের দিকে এসে পরি।

সন্ধ্যা+ রাত

মাগরিবের নামাজ পড়ে কতক্ষন বসে থাকি। তারপর আমার ফুফাতো ননদ ফোন দিয়েছে ওর সাথে প্রায় আধা ঘন্টার মতন কথা বলি। কথা বলা শেষ করে ছেলেকে সন্ধ্যাবেলা কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করি কিন্তু খেলনা। না খাওয়ার পর আমি ফোন নিয়ে বসি পোস্ট লেখার জন্য।পোস্টে লেখা সম্পূর্ণ করে তারপর আমি এশার নামাজ পড়ে আসি। তারপর ছেলেকে ভাত খাইয়ে দি। আজ রাত ৯ টায় হ্যাংআউট অনুষ্ঠান হবে। তার জন্য আমি রাতের খাওয়া দাওয়া করে তৈরি হয়ে থাকি যাতে হ্যাংআউটের ঠিকমতো জয়েন্ট করতে পারি। আজকের দিনটা আমার মোটামুটি ভালই কেটেছে কোন ব্যস্ততার মুহূর্ত পার করিনি।

আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন (আল্লাহ হাফেজ)
Sort:  
 9 months ago 

সকালে দেরিতে উঠতে ফজর নামাজ টা কাজা হয়ে গেল এরপরে ,,উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে মুড়ির মোয়া দিয়ে নাস্তা করলেন। ফোনটা চার্জে লাগিয়ে আপনার ছেলেকে খাওয়ালেন।

আপনি তো দেখছি আমার মত যেদিন শাক রান্না হয় সেদিন দুপুরে খাওয়ার আগে গোসল করার আগে আমিও এরকম বাটিতে করে নিয়ে খাই এটা আমার ভালো লাগে। তাছাড়া শীতকালীন শাক খুব পুষ্টিক, এর উপরে তো আবার লাউ শাক এটাতো আরও বেশি সুস্বাদ। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

এই বছর আমি প্রথমে মুড়ির মোহা খেলাম। আমি তেমন মুড়ির মোহা একটা পছন্দ করি না কারণ খেলে মুখে চাল উঠে যায় আর ভাত খেতে পারি না ভাত খেলে মুখে ঝাল লাগে। যেদিন শাকপাতি কিছু রান্না করুক না এরকম বাটিতে করে আমার খাওয়ার অভ্যাসটা আছে বরাবর।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।

 9 months ago 

আপনার কমেন্ট টা পড়ে মিটিমিটি হাসতে ছিলাম ,,,এটা সত্যিই ছাল উঠে যায় তবে আস্তে ধীরে খেলে কোন সমস্যা হয় না বলে আমার মনে হয়,,

আর হ্যাঁ এই অভ্যাসটা আমারও আছে রান্না করার পরে গরম তরকারি বাটিতে করে নিয়ে খাওয়া এটা বেশ ভালো লাগে,,,,

 9 months ago 

ঘুমের কারণে আপনার ফজরের নামাজ কাজা হয়ে গেল। এরপর মোয়া দিয়ে আপনি নাস্তা সেরে নিলেন। অতঃপর ছেলেকে নিয়ে সাংসারিক ও অন্যান্য কাজে আপনার দিন পার হল। রান্না করার পরে আপনার একটু তুলে না খেলে নাকি ভালো লাগেনা। অভ্যাসেরও কিছু উপকারিতা আছে। তরকারিটা লবণ ও স্বাদ ঠিকঠাক মত হয়েছে কিনা তা আপনি আগে থেকে বলতে পারেন। আমার আবার চোখে দেখার অভ্যাস একেবারেই নেই। আল্লার রহমতে এজন্য কখনো তেমন বিপদেও পড়িনি। আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম।ভালো লাগলো
পড়ে।

 9 months ago 

আমার আবার চোখে দেখার অভ্যাস একেবারেই নেই। আল্লার রহমতে এজন্য কখনো তেমন বিপদেও পড়িনি।

আপু ঠিক আপনার কথাটা আমি বুঝতে পারিনি আরেকটু বুঝিয়ে বলে ভালো হতো?? তার মানে কি এটা হতে পারে যে পাতিল থেকে আগেভাগে খেলে বিপদ হতে পারে। বললে সতর্ক হয়ে যেতাম।আশা করি আমার প্রশ্নের উত্তর দিবেন।

 9 months ago 

শীতের দিন সকালে এক কাপ চা খাওয়ার যে একটা মজা রয়েছে তা অন্য সময় পাওয়া যায় না। আমি এমনিতেই চা পাগল, তাই শীতের দিন হলে আমার চায়ের নেশা আরও বৃদ্ধি পায়।
যাইহোক আপনার আজকের সারাদিন অনেক সুন্দর এবং সাধারণ একটিআদিন পার হয়েছে।
অনেক ভালো থাকবেন। আপনার প্রতিটি দিন অনেক সুন্দর হোক সেই প্রত্যাশা করি।

 9 months ago 

হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন শীতের সময় এক কাপ চা খাওয়া যে একটা মজাই অন্যরকম। তা আবার অন্য সময় সেই মজাটা পাওয়া যায় না। আমার চার তেমন একটা পাগল না কিন্তু শীতের বেলায় বেশি একটা খেয়ে থাকি শরীরটা গরম করার জন্য শুধু একবেলাই খাই সকালে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সঙ্গে একটা মতামত জানিয়ে দিলেন।

আপনি সকালে মুহা খেয়েছেন আমি এই বছর এখন পর্যন্ত মুহা খাওয়া হয় নি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া হবে।আর আপনার দুপুরে খাবার টা অনেক লোভনীয় খাবার ছিল ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

 9 months ago 

আমি এই বছরের মুহা কালকেই খেলাম। আমারও তেমন একটা বেশি খাওয়া হয় না ভাজাপোড়া বলতে তেমন একটাও পছন্দ করি না। তবুও খেয়ে দেখলাম বছরের একটা খাবার তো হাতছাড়া করলাম না। থ্যাঙ্ক ইউ আপনার কমেন্টে আপনার মতামতি জানিয়ে দেওয়ার জন্য ।

আসলে পছন্দ না করলেও বছরের প্রথম কোন ও জিনিস বাজারে আসলে সেটাকে একবার হলেও খেয়ে দেখা উচিত আর আমি সেটা করি।আপনি এই বছর প্রথম বার খেয়েছেন আর তা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমি চায়ের সাথে মুড়ির মোয়া কোনদিন খেয়ে দেখিনি। এমনিতেই মুড়ির মোয়া আমার বছরখানেক যাবত খাওয়া হয়ে ওঠেনি। আচ্ছা বড়ইটা কি জলপাই? অনেকেই আছেন যারা রান্নার পর প্রতিটা পদ একটু টেস্ট করে দেখেন। এতে দোষের কিছু নেই। আপনি চালিয়ে যান।

 9 months ago 

ওটা জলপাই না ওটা বড় কুল বড়ই। রান্নার পর একটু একটু খেয়ে লবণ দেখা এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এবং টেস্টটাও সবার আগে জানতে পারি। থ্যাঙ্ক ইউ আপনার কমেন্টি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো ।

শীতের সকালে আলসেমি থাকবেই। আপনার ও আজ ওঠা হয়নি,তাই নামাজ পড়তে পারেননি।এরপর সকালে চা আর মোয়া খেলেন।মোয়া আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার।
এরপর দুপুরের খাবার রেডি করলেন।বিকালে গাছ থেকে বরই পেড়ে খেলেন।ভালো কেটেছে দিনটা আপনার।ভালো থাকবেন।

 9 months ago 

মোহা আপনার প্রিয় খাবার সেটা জেনে খুব ভাল লাগল। কিন্তু মোহা আমি তেমন একটা আমি পছন্দ করি না। তবু খেয়ে দেখলাম টেস্টটা কি রকম। না খাওয়ার কারণ ভয় মুখে ছাল উঠে যায় আর ভাত খেতে পারি না মুখে শুধু ঝাল লাগে ।

থ্যাঙ্ক ইউ আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পরে আপনি খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।

আমার মুখের ছাল পুরোটাই উঠে গেলেও আমি মোয়া খেতে চাইব।যদি আমার পেট পুরোটাই ভরা থাকে খাবারে তখনো মোয়া খেতে পারব!!

ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Loading...
 9 months ago 

লাউয়ের শাক অনেক মজাদার একটা শাক রান্না বা ভাজি দুটোই খেতে দারুন লাগে। আপনাদের গাছের বরই দেখতে অনেক রসালো দেখাচ্ছে খেতে না জানি কি মজা হয়। আমাদেরও একটা বরই গাছ ছিল যা এখন নেই। সারাদিন অনেক ব্যস্ত ছিলেন এবং এই মূহুর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

 9 months ago 

লাউ শাক খুব একটি মজাদার শাক। আমরা বেশি একটা ভাজি করে খাই না ঝোল রান্না করে খাওয়া পরে। ঠিকই বড়ই গুলো অনেক বড় কিন্তু এখনো খাওয়ার উপযুক্ত তেমন হয়নি এগুলো আরো অনেক বড় হবে।
থ্যাঙ্ক ইউ আমার পোস্টে আপনার একটি মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিলেন।

আপনার কাটানো সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শীতের সকাল মানে গরম গরম চা, আমি তো কখনো মিস করি না, মুড়ি মুয়া খেলেন রোদে গিয়ে বসলেন। দুপুরে লাউ শাক রান্না করলেন। কিন্তু আমাদের দিকে লাউ শাকগুলো অন্যরকম ভাবে রান্না করে। আমরা ঝোল রাখি না। আমার কাছে মনে হল এটাও খেতে খুব মজা হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ।

 9 months ago 

শীতের দিনে গরম গরম চা তা মিস করাই যায় না তা তো খেতেই হয়। কিন্তু আমরা তো বারবার লাউ শাক ঝোল রান্না করেই খাই। আর সেই ঝোল শাক আমাদের কাছে খেতে খুব স্বাদ লাগে। তবে আপনারা কি রকম করে রান্না করে খান বললে একটু ভালো হতো।

থ্যাঙ্ক ইউ আমার পোস্টে আপনার একটা মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিলে।

 9 months ago 

মুড়ির মুুহা আমারও খেতে বেশ ভালো লাগে।। আমাদের বাসায় একদিন তৈরি করে গুড় দিয়ে।। কিন্তু অনেকদিন হয় আর তৈরি করা হচ্ছে না ব্যস্ত না থাকার কারণে।। শরীরে অলসতা থাকলে অনেক কাজই করতে ইচ্ছা করে না ।। শুধু বসে থাকতে ইচ্ছে করে।। আজ অলসতার জন্য নামাজ পড়তে পারেননি।। আরো যা যা করেছেন সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন।। ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যকলাপ এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

আসলে সত্যি কথা বলতে কি ভাই অলসতা আমাদের জীবনের একটি অভিশাপ আর এই অলসতার কারণে আমাদের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হারিয়ে ফেলি। যেমন আজ আমি আমার একটু অলসতার কারনে আমার সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করতে পারিনি।

 9 months ago 

অলসতা সম্পূর্ণ নির্ভর করে নিজের উপর।। কারণ মানুষ পারে না এমন কোন কাজ।। আমরা মনকে দুর্বল করে ফেলি আর তখনই অলসতা আমাদের ঘিরে ফেলে।।

 9 months ago 

তবে এটা আমার যুক্তিতে অনেক ভালো লাগলো অলসতা নির্ভর করে নিজের উপরে। আমরা নিজের মনকে নিজেরাই দুর্বল করে ফেলি তখন অলসতা ঘিরে ফেলে। এই অলসতার কারণে শুধু নিজের মনটাই দায়।
থ্যাঙ্ক ইউ খুব সুন্দর একটি রিপ্লাই দিলেন।

 9 months ago 

জি আপু আপনি চাইলেই অলসতাকে দূরে সরে দিতে পারেন।। সেটা নির্ভর করবে আপনার উপর।।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 61726.97
ETH 2392.47
USDT 1.00
SBD 2.60