Better Life With Steem || The Diary game || 23/4/2024
![]() |
|---|
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই নামাজ পড়ে বাসার যাবতীয় কাজ করা শেষ করি । তবে আজকে কাজ করার তেমন একটা তাড়াহুড়া ছিল না আর তেমন একটা বাড়তি কাজও ছিল না থালা-বাসন গুলো আমি রাতে ধুয়ে রেখেছিলাম। এই কারণে সকালবেলার কাজটা চটপট ভাবে হয়ে গেছে।
এরপর সবাই সকাল ৮:৩০ টার সময় ঘুম থেকে উঠে গেল আর এদিকে আমার সকালের কাজগুলো শেষ করা
হলো। এরপর ছেলেকে মুখ হাত ধুয়ে দিলাম আর তারা মুখ ধুয়ে আসলো তারপর আমি রান্না ঘরে গেলাম সকালে নাস্তা বানানোর জন্য, আমি নুডুলস রান্না করতে গেলাম ছেলেও আমার সাথে রান্না করবে তাই ফোন দিয়ে কার্টুন বের করে ওকে বসিয়ে রেখে তারপর আমি রান্না করি।
নুডুলস রান্না করার শেষ হওয়ার পর আমি সবার জন্য বেড়ে নিয়ে আসি, এরপর ফটোগ্রাফি করতে গেলাম তারপর মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি ১০ সেকেন্ডের ভিতর ফোনটা বন্ধ হয়ে গেল। এরপর ফোনটা চার্জে লাগিয়ে ছেলেকে নুডলস খাইয়ে দি।।
সকালের খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ করে তারপর দুপুরের রান্নার কাজে লেগে পড়ি। রান্নাঘরে গেলাম সবকিছু কেটে কুটে গুছিয়ে নিলাম এর ভিতর ময়লা নেওয়ার লোক এসেছে আজ দু'দিন পর ময়লা নিতে আসলো। এই দুদিনে অনেক ময়লা জমে ছিল তাই সেগুলো দরজার সামনে রেখে আসি। ময়লা গুলো রেখে এরপর আবার রান্নার কাজে লেগে পড়ি আজকে রান্না করব চিংড়ি মাছ দিয়ে পুঁইশাক আর বরবটি আলু ভাজি।
![]() |
|---|
দুপুরে রান্নাবান্না শেষ করলাম রান্নাঘরটা পরিষ্কার করলাম ও ঘরটাও ঝাড়ু দিলাম তারপর গেলাম গোসল করতে, গোসল করতে গিয়ে দেখলাম পানির যে অবস্থায় এতটা পানি গরম যে হাত লাগানোর মতো না। এরপর দুই বালতি পরিমাণ পানি ফালাই তারপর যখন দেখি ঠান্ডা পানি বের হয়েছে এরপর গোসল করি। গোসল করে এসে দেখি আমার ছেলে ওর নানি আপুর সাথে ভিডিও কলে একা একা কথা বলছে আমি তো সেগুলো দেখে হাসি।
![]() |
|---|
এমনকি ওর কথা শুনে ওর বাবাও হা করে তাকিয়ে ছিল,ছেলের কথা বলা শুনে তারপর আমি গেলাম জোহরের নামাজ পড়তে। এরপর জোহরের নামাজ শেষ করে ভাত বেড়ে সবাই একসাথে খেলাম। খাওয়া দাওয়া করে কতক্ষণ বিশ্রাম নিলাম সাহেব আধা ঘন্টার মতন বিশ্রাম নিয়ে বাহিরে চলে গেল। এরপর আমি কতক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করে আসরের নামাজ পড়ি।
![]() |
|---|
নামাজ পড়ে উঠে কতক্ষণ ফ্যানের নিচে বসলাম এরপরই কারেন্ট চলে গেল।কারেন্টে যাওয়া পর বাসার ভিতর এতটা গরম লাগছে যে সহ্য না করার মত । তারপর ভাবি আজ পাঁচ তলার সিড়ি বেয়ে ছাদে যাব যতই কষ্ট হোক না ঠান্ডা বাতাস খেয়ে আসব। এরপর সেটাই করি ছাদে গিয়ে গিয়ে ১৫ মিনিটের মতন থাকি। তারপর কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি করি,,ঠান্ডা শরীর নিয়ে পাঁচতলার সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে শরীর আবার আগের মতো গরম হয়ে গেল।।
এরপর কি করবো বাসায় ঢুকার পর মাগরিবের আযান দিলো তারপর নামাজ পড়লাম। নামাজ পড়ে উঠলাম তখন মেয়ে বলে আম্মু ক্ষুধা লাগছে কি খাব,,তারপর আমি বলি আজকে চুলার কাছে যেতে পারবো না প্রচন্ড গরম লাগছে। এরপর মুড়ি বিস্কুট এনে দি দুই ভাই বোন মিলে খেলো,, ওরা ওদিকে খাওয়া-দাওয়া করছে আর আমি পোস্ট লিখে শুরু করলাম।
পোস্ট লিখতে ছিলাম তার ভিতরে আমার জা কল দিল তারপর তার সঙ্গে ১০ মিনিটের মত কথা বললাম।কথা শেষ করে তাকে আল্লাহাফেজ জানিয়ে তারপর আবার বাকি পোস্ট লেখা শুরু করি। এরপর আমার পোস্ট লেখা কমপ্লিট হলে ছেলেকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে আমি এশার নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে আমরাও খাওয়া-দাওয়া করে আল্লাহকে স্মরণ করে শুয়ে পড়ি । আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আর নয়, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
| আশা করছি আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে সবাই পড়বেন আর পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
|---|






Your post describes a beautiful day. It is also admirable that the mother was ready to work despite the heat. Stay healthy, thank you.
thank you so much.
Your most welcome sister
থালা বাসন পরের দিন এর জন্য জমিয়ে না রেখে রাতে ধুয়ে ফেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।এতে তেলাপোকার অত্যাচারও কম হয় আর প্লেট এর মাঝে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, জীবানু জন্মাতে পারে না।
সেই সাথে পরের দিন ধুতে গেলে গন্ধও লাগে। এসব কারনে আমি সব কিছু রাতেই পরিস্কার করে ফেলি।
এরপরও তেলাপোকার সাথে পারি না।
আপনার ছাদ থেকে তোলা ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপু আপনাকে ধন্যবাদ আপনার দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। দিনটি আপনি কর্মব্যস্ততা ও খাওয়া-দাওয়ার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। সকালে উঠে নুডুলস রান্না করা দুপুরে দুপুরের খাবার রান্না করা সবকিছুই অনেক ভালো ছিল।
এরপর বিকেলে ছাদে সবাই কাটিয়েছেন। আপনার সন্তানের কিছু আনন্দঘন মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন। সব মিলিয়ে দিনটি দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন। ভালো থাকবেন আপু শুভকামনা রইল।
একটা মেয়ে মানুষের সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগে অবধি কাজ করে যেতে হয়। সংসারে তাদের কাজের জন্য শেষ নেই।
ব্যস্তময় একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।