Better Life With Steem || The Diary game || 23/3/2024
রাত চারটা পাঁচ মিনিটে সেহরি খেতে উঠলাম,আমরা উঠেছি এই শব্দ পেয়ে ছেলে উঠে গেল। এরপর ওকে সঙ্গে করে নিয়ে সেহরি খেলাম। খাওয়া দাওয়া করে দশ মিনিটের মত বসলাম তারপর ফজরের আজান দিল নামাজ পড়ে ঘুমাতে গেলাম। আজকে ফজরের নামাজ পরে ঘুমাতে অনেক লেট হয়েছে ছেলের জন্য,ছেলে ঘুম থেকে উঠেছে তাকে কি আর ঘুম পড়ালাম যায় অনেক জোর করে ঘুম পড়ালাম তারপর আমি ঘুমালাম।
এরপর ঘুম থেকে সকাল ১০টার সময় উঠে, মুখটা ধুয়ে বাসার বাসি কাজ গুলো করি। আমার কাজ গুলো করা হলো আর ছেলেও উঠে গেলে, ছেলে ঘুম থেকে উঠেই বলে আব্বু চিপস কেক ওর বাবা ছেলের এই কথা শুনে, শুয়া থেকে উঠে হাত মুখটা ধুয়ে দোকানে চলে যায়। ছেলে যা যা চেয়েছে তার চেয়েও বেশি এনেছে। তারপর সে তার কাজে বেরিয়ে পরে।
ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি ১২:৩০ বেজে গেছে, তারপর আমি গোসল করে আসি। গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে ছেলের জন্য নুডুলস রান্না করি। কারণ ওকে খাওয়া দাওয়া সান্তনা করিয়ে তারপর আমি রান্না করতে যাব। ওকে খাওয়াতে বসলে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে খাওয়াতে বসি কারণ খেতে গেলে অনেক লেট করে।
ওকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে আমার যদি রান্না করতে যেতে লেট হয় তাতেও ভালো। ও সান্তনা না থাকলে আমি রান্না করতে গেলে অনেক জ্বালাতন করে এবং রান্নাঘর থেকে বারবার এসে ওকে থামাতে হয়। তাই আমি কাজ করার আগে ছেলেকে খাইয়ে ঠান্ডা করে তারপর কাজ করতে যাই।
তারপর আমি সাড়ে তিনটার সময় রান্না করতে যাই। ছেলেকে সান্তনা করে তারপর আমি ঠান্ডা মাথায় রান্নাটা করি। আজকে রান্না করেছি মিষ্টি কুমড়া আর সিম ভাজি আর ইফতারি করতে যা যা দরকার সেগুলো রান্না করেছি। সবকিছু কাজ সম্পন্ন করে তারপর অজু করে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠেছি তার কিছুক্ষণ পরে আমার ছোট জা ফোন দিয়েছে তার সাথে ২৫ মিনিটের মতন কথা বলি।
জায়ের সাথে কথা বলতে বলতে এদিকে ইফতারের সময় হয়ে গেছে এরপর তাকে বিদায় জানিয়ে ফোনটা রেখে, ইফতারির সবকিছু রেডি করি। এরপর আযান দেওয়া মাত্রই ইফতার করি ইফতার করে মাগরিবের নামাজ পড়ি।
আমি নামাজ পড়ি আর এদিকে মেয়ে আমার ফোন দিয়ে ইউটিউবে ভিডিওতে জুতা আরো কি কি সেগুলো দেখে স্ক্রিনশট মেরে রেখেছে। আর খাতায় লিস্ট করে রেখেছে ওর আব্বু বাসায় আসলে দেখাবে।
মেয়ের এইসব কাহিনী দেখে তারপর আমি পোস্ট লিখতে বসেছি। এরপর পোস্ট লেখাটা তাড়াতাড়ি শেষ করে এশার নামাজ পড়ি। তারপর ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমরাও খাওয়া দাওয়া করে বিছানা রেডি করে শুয়ে পড়ি।
বন্ধুরা আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই,সবার জন্য শুভকামনা রইল।(আল্লাহ হাফেজ) |
---|
দুপুরে সময় মত স্নান শেষ করেছিলেন এবং ছেলের জন্য নুডলস রান্না করেছিলেন। তারপর দুপুরে আবার রান্নার কাজ শেষ করেছিলেন সেই সাথে ইফতারির জন্যেও প্রস্তুত হয়েছিলেন। আপনার মেয়ের ভিডিও দেখে খাতায় লিখে রাখার বিষয়টা শুনে সত্যিই খুব মজা পেলাম।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে বেশ ভালো লাগছে তবে,,
শেষের দিকে এসে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ঠিক আপনার মেয়ের মত আমিও এরকম লিস্ট করে রাখতাম।।
আমার বাবা আসবে এবং তার হাতে ধরিয়ে দিব।। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।।।
আসলে ছেলে মেয়ের এমন আবদার গুলো দেখে আমাদেরই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ
আপনার মেয়ে তো দেখি চমৎকার একটি লিস্ট বানিয়েছে ঈদের বাজারের জন্য। আসলে ছোটদের এই ব্যাপারগুলোই উৎসবকে আরো রঙিন করে তোলে। তবে আপনার ছেলে এখনো ছোট বিধায় এ ব্যাপার গুলো বুঝতে পারছে না। তাহলে আপনার সময় আরো ভালো কাটতো। তবে শীঘ্রই সে বুঝবে এবং দেখবেন এরকম অনেক বায়নাও করবে। সব মিলিয়ে বেশ ব্যাস্ত একটি দিন আপনি পার করলেন।
আসলে আমরা ছোটবেলায় ঈদের আগে এরকম লিস্ট করতাম। এখন সেই ব্যাপারগুলো ছেলেমেয়ের কাছে দেখেছি এবং দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়।
তবে হ্যাঁ আপু একদম ঠিক কথাই বলেছেন ছেলে ছোট তেমন একটা কিছু বোঝে না তাই একটু শান্ত আছি,, না হলে তোর ভাই বোনের এই রকম প্যারা দিলে তাহলে থাকতেই পারতাম না।
থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।