Better Life With Steem || The Diary game || 23/1/2024

in Incredible India8 months ago
GridArt_20240123_204502263.jpg

আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার সারাদিনের সমস্ত কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চাই।

সকালবেলা

IMG_20240123_183338.jpg

আজ সকাল ৭ টার সময় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে গরম গরম চা ও মুড়ি খেয়ে নিয়েছি। আজকে আমি শ্বশুরবাড়িতে যাবো তার জন্য জামা কাপড় সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। আমার ছেলে তো কাপড়চোপড় ব্যাগে বরছি দেখে সে আমার পিছু ছাড়ছেই না কারণ আমি যদি ওকে ছেরে চলে যাই। তারপর আমাদের জামা কাপড়গুলো গুছিয়ে ব্যাগ ভরে নিলাম। সকালবেলা অল্প কিছু ভাত গরম করে মা মেয়ে খেয়ে নিলাম। তারপর ছেলেকে জামা কাপড় পরে রেডি করলাম এবং আমিও বোরকা পরে রেডি হলাম। তার পার দশটার সময় ঘর থেকে বের হলাম।

IMG_20240123_105508.jpg
IMG_20240123_111125.jpg

আমাদের মেইন রাস্তায় উঠেই গাড়ি পেলাম আর যেতে কোন অসুবিধা হয়নি ঠিক সময় সব গাড়ি পেয়েছি। আমার ছেলে তো গাড়িতে উঠে সে ঘুম একদম বাড়িতে এসে চোখ খুলেছে। আর মেয়েও গাড়িতে উঠলে ঘুমিয়ে পড়ে তো বারণ করলাম ঘুমাবে না ঘুমালে কোনো অসুবিধা হতে পারে । এরপর খেয়াঘাট ঠিকমতন পৌছালাম তারপর ছেলে মেয়েকে চিপস কিনে দিলাম ওরা খেতে লাগলো এর ভিতরে দেখি ট্রলার চলে এসেছে তারপর আস্তে আস্তে করে ট্রলারে উঠে গেলাম। নদী যখন মাঝ বরাবর গেলাম তখন দেখি নদীর স্রোতে টলাটা এদিক ওদিক ঢোলতেছে। তবে কোন ভয় পাইনি কারণ এরকম সময় আরো যাতায়াত করেছি তার জন্য।

IMG_20240123_124807.jpg

বারোটার সময় আমাদের মেইন রাস্তায় এসে পৌছালাম তারপর দেখি আমার চাচী শাশুড়ি আমাদের এগিয়ে নিতে এসেছে। তারপর একসাথে সবাই মিলে বাসায় চলে গেলাম। তবে আমি বাসায় এসে বোরকা খুলিনি ওদেরকে বাসায় রেখে আমি একটু হসপিটালে গেলাম। কারণ আজ মঙ্গলবার হসপিটালে আমার কিছু কাজ আছে সেজন্য গেলাম। যে কাজটা আমার ছিল ওটা শুধু মঙ্গলবারই ছিল আর যদি আজ না যাই তাহলে সামনের মঙ্গলবার আমি যেতে পারবোনা কারন আমি এতদিন শশুর বাড়িতে থাকব না তাই তাড়াতাড়ি কাজটা সেরে নিলাম। তারপর আমি একটা সিটে বসি এবং সিটে বসে ক্যামেরা অন করে আমার হিজাব ঠিক করতেছিলাম। সেই সময় আমার পাশে বৃদ্ধ মহিলা মানে আমার দাদীর মতোন সে আমার ক্যামেরার দিকে মুখ দিলেও সে ভাবছিল হয়তো ছবি তুলব। তারপর আমি মুচকি হাসি দিয়ে বললাম কি আপনি ছবি তুলবেন সে একটা মুচকি হাসি দিল তার মানে বুঝতে পারলাম সে ছবি তুলতে চাই। তাই তাকে নিয়ে একটা ফটোগ্রাফি করলাম।

দুপুর +বিকেল

এরপর আমি হসপিটালে আমার কাজটুকু সেরে বাসায় এসেছি এসে দেখি আমার ননদের রান্নাবান্না সব কিছু হয়ে গেছে। তারপর গা গোসল করে নিয়েছি এবং জোহরের নামাজ পড়েলাম। তারপর ছেলেকে দুপুরে ভাত খাইয়ে দিয়েছি। এবং আমরা সবাই খেয়েছি আজ দুপুরে রান্না করেছে মাছ, ডাল, আর আলু ভর্তা আজকে দুপুরে খাবারের ফটোগ্রাফি করতে পারিনি কারণ সবাই একসাথে খেতে বসি লজ্জায় তুলতে পারিনি। তারপর আস্তে আস্তে করে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া টা শেষ করেছি।

বিকেল বেলা:ছেলেকে আজ বিকেলে ঘুম পড়াতে পারেনি অনেকদিন পর এই বাড়িতে এসেছি এবং ওর বয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে খেলাধুলা করছে। এরপর আসরের আযান দেওয়ার পর আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে উঠলাম তারপর মেয়ে বলে আম্মু আমার চুলে তেল দিয়ে দাও তারপর আমি ভালো করে তেল দিয়ে দিলাম তারপর চুলা বেঁধে দিলাম। এরপর ভাবির সাথে বসে কিছুক্ষণ কথা বললাম।

সন্ধ্যা +রাত

IMG_20240123_182320.jpg

দুজনের গল্পের মাঝে যে কখন আযান দিয়ে দিল বুঝতে পারিনি। মাগরিবের আজান দেওয়ার পর ভাবি তার বাসায় গেল তারপর আমি অজু করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে উঠে বসে কিছুক্ষণ হাতের কর গুনে তফসি পড়লাম। তারপর ছেলে মেয়েকে সন্ধ্যা বেলায় চকলেট গুলো কেটে দিলাম। তারপর আমি পোস্ট লিখতে বসি পোস্ট লেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এশার নামাজ আদায় করি। এরপর ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি এবং আমরা সবাই রাতের খাওয়া দাওয়া করি। আজকে রাতে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েছি কারণ ছেলে বিকেল বেলা ঘুমাইনি তাই রাতের খাওয়া-দাওয়া করানোর পর ঘুমানোর জন্য কান্না করছিল তারপর ওকে নিয়ে শুয়ে পড়েছি এবং আমি ঘুমিয়ে পড়েছি।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। (আল্লাহাফেজ)
Sort:  
Loading...
 8 months ago 

আজ অনেকদিন পর শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছেন।। আর এই জন্যই সকালে খাওয়া করে বেরিয়ে পড়েন।। শশুর বাড়িতে আসতে খেয়া পার হতে হয়। আমার নদী পারাপার হতে খুবই ভালো লাগে।। আর আপনারা যাবেন জন্য আপনার চাচী শাশুড়ি এগিয়ে এসেছিল শুনে ভালো লাগলো।।

আপনি শ্বশুর বাড়িতে যেয়ে সেখান থেকে হসপিটালে চলে যান, আপনার একটা কাজ ছিল সেজন্য। আর সেই কাজটা শুধু মঙ্গলবারেই হয়।। পরে সেখান থেকে বাসায় যেয়ে দেখেন আপনার ননদ রান্নাবান্না করেছে আর তার সাথে অনেক গল্প করেছেন অনেকদিন পরে দেখা।।

ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।

 8 months ago 

ঠিক বলেছেন অনেকদিন পর শ্বশুর বাড়িতে আসছি। খেয়া পাড়াতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে কিন্তু ছেলেকে নিয়ে খেলা করাতে একটু অসুবিধা হয় হাতে ব্যাগ থাকে কোলে ছেলে থাকে এজন্য আর বেশি কিছু না। আর অনেকদিন পর শ্বশুর বাড়িতে এসেছি তাই যেন খুঁটিনাটি সবার সাথে কথা বললাম।
থ্যাঙ্ক ইউ আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পরে আপনার মতামতের জানিয়ে দিলেন।

 8 months ago 

যেহেতু অনেকদিন পর গেছেন তাহলে বেশ কয়েকদিন থেকে আসেন ভাবি।।।

 8 months ago 

শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া মানেই হচ্ছে একটা টেনশন। আর এই টেনশন মাথায় নিয়ে ঘর থেকে বের হলে কখন গিয়ে পৌঁছাব। এই টেনশনে সারাটা পথ কেটে যায়। আপনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। আসলে এমন কিছু কাজ থাকে, যেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হয়।

অবশ্যই আপনাকে অনুরোধ করব আপনার পোস্ট লেখার সময়। ৩ থেকে ৪ লাইন করে প্যারা করে পোস্ট লিখবেন। এতে করে আপনার পোস্ট দেখতে সুন্দর দেখাবে। অনুগ্রহপূর্বক পরবর্তীতে বিষয়টা লক্ষ্য রাখবেন।

আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। সকাল বেলা চা আর মুড়ি খেয়েছেন। সন্ধ্যা বেলা আপনি আপনার ছেলে ও মেয়েকে চকলেট কেটে দিয়েছেন আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62300.84
ETH 2421.47
USDT 1.00
SBD 2.56