Better Life With Steem || The Diary game || 22/1/2024

in Incredible India10 months ago

আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার সারাদিনের সমস্ত কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চাই।*

GridArt_20240122_221924595.jpg

(সকালবেলা)

সকাল বেলা ফজরের আজান শুনে চোখের ঘুম ভাঙলো আজকের সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অনেক অলস পড়েছিল। ছেলের জন্য রাত্রেবেলা দুইবার ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে এবং বারবার ঘুম ভাঙ্গাতে চোখ থেকে ঘুম চলে গেল। তারপর ফজরের দিকে একটু ঘুম আসলো তাও ঘুমাতে পারিনি ফজরের আযান দেওয়ার পর দশ মিনিট পর ঘুম থেকে উঠেছি। ওঠে প্রথমে হাতমুখ ধুয়ে ওযু করে ফজরের নামাজ আদায় করেছি। আর আজকে কেমন একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছিল এবং অনেক কুয়াশাও ছিলো। মা ফজরের নামাজ পড়ে চা করলো তারপর আমি চা আর মুড়ি একসাথে খেয়ে নিলাম।বাহিরে রোদ ওঠা না পর্যন্ত আমি কম্বলের ভিতরে ছেলের সাথে শুয়ে থাকলাম।

IMG_20240122_221445.jpg

এরপর রোদ ওঠাতে বাহিরে নামলাম এবং ছেলেকে হাত মুখ ধুয়ে কিছু খাইয়ে দিলাম। তারপর ভাবছিলাম আজকে একটু আমাদের খেতে যাব কারণ কুমড়া গাছের ফুল আনতে হবে এবং তার রান্না করব কারণ আব্বুর পরশুদিন বলেছিল কুমড়া গাছের ফুলের কথা। আব্বু আবার কুমড়া গাছের ফুল ডিম দিয়ে রান্না করাটা বেশ পছন্দ করে। আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন এই ফুলে তো কুমাড় হবে কিসের জন্য এগুলো তুলে আনা হয়। আসলে এই ফুলগুলো দেখে আনা হয় যেগুলো ফল হবে সেগুলো ছোট থেকে ফল ধরে আর যেগুলো ফল হবে না সেগুলো শুধু ফুল হয়ে থাকে।

IMG_20240122_190002.jpg
IMG_20240122_185942.jpg

মাশাল্লাহ দিলে আমাদের কুমড়া গাছে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি কুমড়া ধরেছে এবং দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। আর আমাদের সবজি ক্ষেতটা ফলে ফুলে সব দিক থেকে খুব সুন্দর বরে উঠেছে।

(দুপুর +বিকেল)

IMG_20240122_183749.jpg
IMG_20240122_223040.jpg

মাকে ফুলগুলো এনে দিলাম তারপর সেগুলো মা কেটেকুটে গুছিয়ে নিল আর ফ্রিজ থেকে মাছ বের করল আজকে দুপুরে কুমড়া গাছের ফুল এবং মাছ রান্না করা হবে। তবে ফুলগুলো আমি তেমন একটা বেশি পছন্দ করি না আব্বু পছন্দ করে বলে এই ফুলগুলো ক্ষেত থেকে আনা হয়। যাই হোক মার দুপুর রান্নাবান্না সবকিছু হয়ে গেল মা গোসল করতে গেলে এবং আমি ছেলেকে গোসল করে এনে আমি নিজেও গোসল করতে গেলাম। গোসল করে এসে আগে যোহরের নামাজ আদায় করি তারপর ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে বসি। ওকে খাওয়া শেষ করে তারপর আমি দুপুরে খাবার খেয়েছি। এবং ছেলেকে দুপুরে খাওয়া মাত্রই ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি।

IMG_20240122_183652.jpg

বিকেল বেলা: আজ আর আমি ছেলে পাশে শুলাম না একটু বাইরে গেলাম কারন দুপুরের ভাত খাবার পর প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিল একটু রোদ অনুভব করার জন্য উঠানে গেলাম। তারপর আমার বাড়ির পাশের এক চাচতো ভাইয়ের ছেলে কোথায় থেকে যেনো একটা ডিম এনেছে এবং তারপর বলে ফুফু দেখো এটা কির ডিম। তারপর আমি বললাম কিসের ডিম সেটা বলতে পারব না সম্ভবত দেখে বোঝা যায় কোন বড় একটা পাখির ডিম। আমি বলতে পারলাম না এটা কিসের ডিম বা কি পাখির ডিম তারপরও চলে গেল। যাইহোক ওই ব্যাপার নিয়ে আর মাথা ঘামাইনি তারপর আমি আমার কাজে গেলাম মানে আসরের নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ পড়ে এসে দেখি ওরা কয়েকজন মিলে উঠানে বসে চালতা খাচ্ছিল এবং আমাকেও খাওয়ার জন্য ডাকছিল আমি খাইনি কারন সেদিনকে চালতা খেয়ে আমার দাঁত অনেক টক হয়ে গেছিল সেজন্য খাইনি।

(সন্ধ্যা +রাত)

IMG_20240122_183728.jpg

ওদের চালতা খাওয়া দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেল তারপর আমি ঘরে এসে হাত মুখ ধুয়ে অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠে দেখি ছেলে এখনো পর্যন্ত ঘুম থেকে উঠেনি। তো আমি উঠালাম না আমার ছোট বোন গিয়ে ওকে উঠালো এবং ওঠার পর বাহানার কান্না শুরু করে দিল। সেই কান্না থামাতে এবং সান্ত্বনা দিতে সন্ধ্যা সাতটা বেজে গেল তারপর একটি কেক খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি পোস্ট লিখতে বসি এবং পোস্ট লেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এশার নামাজ আদায় করি। তারপর ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দি এবং মেয়েকেও খেতে দি। ওদের খাওয়া দাওয়া শেষ করে তারপর আমরা সবাই রাতের খাবার খাই ঘুমাতে গেলাম ছেলে ঘুমাবে না বলে ওর নানি আপুর কাছে থাকলে তারপর সাড়ে দশটা বাজে ঘুমোতে গেলাম।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। (আল্লাহাফেজ)
Sort:  
Loading...
 10 months ago 

সকালে আাজানের শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায় আপনার। এরপর নামাজ পরে মায়ের বানানো চা মুড়ি দিয়ে খেয়ে ছেলের পাশে শুয়ে থাকেন।
রোদ ওঠার পরে কম্বল এর নিচ থেকে বের হয়ে আডেন।আজকে সবজি ক্ষেতে গিয়েছিলেন মিষ্টি কুমড়োর ফুল তোলার জন্য কারন এটা আপনার বাবা ডিম দিয়ে খেতে চেয়েছেন।
ফুল তুলে আনার পরে আেপনার মা রান্না কমপ্লিট করার পরে সবাই মিলে খেয়ে নেন।আর খাওয়া শেষ হলে ছেলেকে ঘুম পারিয়ে দেন।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনারা জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আপনার পোষ্টের মিষ্টি কুমড়ার ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার এরকম শীতকালীন সময়ে ফুল ফোটে। আপনি ফজরের নামাজ আদায় করে ফ্রেশ হয়ে চা মুড়ি খেয়েছেন। আপনাদের ওইদিকে মিষ্টি কুমড়ার ফুল রান্না করা হয়। তবে আমি কখনো এরকম মিষ্টি কুমড়ার ফুলের রান্না করা তরকারি খাইনি। ধন্যবাদ আপনাকে সারাদিনের কার্যলিপি শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষই এই মিষ্টি কুমড়া ফুল গুলো রান্না করে খায়। তবে আমাদের বাসায় আমার বাবা মিষ্টি কুমড়ার ফুল প্রচন্ড পছন্দ করে। এই ফুল চিংড়ি মাছ বা ডিম দিয়ে রান্না করে খেলে খুব স্বাদ লাগে। যখন আপনি কোন সময় খাননি একবার খেয়ে দেখবেন কেমন লাগে। থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।

 10 months ago 

আমি কখনো কুমড়া গাছের ফুলের তরকারি খাইনি।। আর বেশ কিছু কুমড়া ধরেছে শুনে ভালো লাগলো।।। আর ডিমটা আমার কাছে কোন পাখির বলে মনে হচ্ছে।।

ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।

 10 months ago 

যখন আপনি কখনো কুমড়া গাছের ফুলের তরকারি খাননি তবে একবার খেয়ে দেখবেন কি রকম লাগে ।তবে আমারও মনে হয় এই ডিমটা কোন একটার পাখির।
থ্যাঙ্ক ইউ

 10 months ago 

অবশ্যই আপু আমি একবার খেয়ে দেখব কুমড়া গাছের ফুলের সবজি।।

 10 months ago (edited)
  • প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আপনার দিনের কার্যক্রমের বেশ কিছু অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। মিষ্টি কুমড়া ফুলগুলি খুব সুন্দর লাগছে। মিষ্টি কুমড়া ফুল আমরা ও ডিম দিয়ে ভাজি
    খাই। তবে আমার মাকে দেখতাম বেসনে ডুবিও
    ডুবা তেলে ভাসতো। অনেকটা পাকোড়ার মতো।
  • ঘুম থেকে উঠে ছেলে কান্না করছে, তাই ওকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কেক দিলেন। অনেক বাচ্চারাই ঘুম থেকে উঠে কান্না করে এটা বাচ্চাদের একটি স্বহজাত স্বভাব। আপনার মিষ্টি কুমড়া গুলো
    ও দেখতে খুব ভালো লাগছে। কিছুদিনের মধ্যে
    এগুলাও বড় হয়ে যাবে, নিজের গাছের সবজি
    আলাদা একটা স্বাদ লাগে খেতে।
 10 months ago 

শীতের সময় আমি যেটা করি কুমড়ো ফুল দিয়ে ডিম দিয়ে ভাজি করার চেষ্টা করি। এটা খেতে খুব মজা। একবার খেয়ে দেখবেন।

অবশ্যই আপনাকে অনুরোধ করব। আপনার পোষ্টের লেখাগুলো 3-4 লাইন প্যারা করে করে লিখবেন। এতে করে দেখতে সুন্দর দেখাবে এবং আপনার পোস্ট আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আশা করি পরবর্তীতে বিষয়টা লক্ষ্য রাখবেন। ধন্যবাদ।

 10 months ago 

আমার সবচাইতে বেশী ভালো লাগছে কুমড়ো ফুলের সাথে মাছ রান্না ৷ আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছি অনেক ভালো লাগে কুমড়ো ফুলের সাথে মাছ রান্না ৷ তারপর রাতে আপনার ছেলেকে কেক খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন ৷ বেশ সুন্দর লাগলো আপনার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম গুলো ৷

ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷

 9 months ago 

কুমড়া ফুলের এমন তাজা ফুল গুলো ডিম দিয়ে ভেজে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আমি আগে প্রায়ই খেতাম, তবে এখন খাওয়া হয় না। এটা আসলেই কি পাখির ডিম ছিল। এভাবে ডিম কুড়িয়ে পাবার মজাটা আসলে অনেক বেশি।

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া তাজা তাজা কুমড়ো ফুল ডিম দিয়ে ভেজে খেলে খুব ভালো লাগে। আসলে আমি বলতে পারিনি, এটা পাখির ডিম সত্যি বলেছেন কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসগুলো খুব ভালো লাগে । থ্যাঙ্ক ইউ কমেন্ট করার জন্য।

আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। সকাল বেলা আপনি কুমড়া গাছের ফুল আনতে গিয়ে ছিলেন। বিকাল বেলা আপনি একটা ডিম পেয়েছিলেন কিন্তু আপনি জানেন না যে এটা কিসের ডিম। সন্ধ্যা বেলা কেক খেয়েছেন আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 75751.82
ETH 2893.02
USDT 1.00
SBD 2.61