Better Life With Steem || The Diary game || 22/09/2024
আলহামদুলিল্লাহ আবারো খুব সুন্দর একটি দিনের আলো দেখতে পেলাম। আমার প্রিয় বন্ধুরা, আবারও আপনাদের মাঝে আমার আজকের ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন এবার শুরু করি আজকের আমার দিনটা কি রকম ভাবে কেটেছে সম্পূর্ণরূপে আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
খুব সুন্দর একটা মিষ্টি সকাল পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠি,চোখের ঘুম ভাঙ্গার পর হাত মুখ ধুয়ে ওজু করে ফজরের নামাজ পড়ি। তারপর সকালে নাস্তা বানানোর কাজে লেগে পড়ি। আজকে ভাইয়াকে সকালে নাস্তার জন্য খিচুড়ি রান্না করেছি। আমার রান্না করা হয়ে গেলে ভাইয়াকে সবকিছু গুছিয়ে দিয়ে তারপর আবার শুয়ে পড়ি।
এরপর সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘুমিয়ে আবার সকাল ৯ টার সময় উঠি, উঠে মেয়ের জন্য সকালে নাস্তা মাদ্রাসায় দিয়ে আসি। মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসে দেখি সাহেবও ঘুম থেকে উঠে গেছে বাজারে যাবে তাই। সাহেব তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে বাজারে গেল। বাজার থেকে গরু মাংস এবং কিছু সবজি আর কিছু সিঙ্গারা ও ছমুচা আনলো।
সাহেব বাজার থেকে আসার পর প্রায় অনেকক্ষণ বিশ্রাম নিল তারপর গোসল করল। এরপর নাস্তা খেতে দিলাম খেয়ে আবার মার্কেটে বেরিয়ে পড়ল। সাহেব বাসা থেকে বেরোনোর পর আমি রান্নার কাজে হাত লাগাই।
আগে রান্না করার জন্য গরুর মাংসের মসলা মাখিয়ে রান্না করা শুরু করে দিলাম এরপর আস্তে আস্তে করে বাকি রান্নার তরকারি গুলো কেটেকুটে ধুয়ে গুছিয়ে নিলাম। আজকে রান্না করলাম গরুর মাংস, ভেন্ডি ভাজি, মাছ ভুনা আর পোলাও ভাত। আজকের দিনটা একটু স্পেশাল ছিল কারণ, ভাইয়ার ছেলের আজকে জন্মদিন ছিল মানে এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই ঘরোয়া ভাবে নিজেরা কিছু ভালোমন্দ খেয়ে নিলাম। কেকের কথা বলছিলাম কিন্তু ভাইয়ার সাহেব বলেছে আজকেই যে কেক কাটতে হবে এমন তো না, জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হারাম। অন্য একদিন সময় কেক কেটে নিব এরকম কথাই বলেছে তারা।
আর কিছু উপলক্ষে যে পালন করা এটা আমি তেমন একটা পছন্দ করি না। যেমন ধরুন কালকে 23 তারিখ আমার অ্যানুভার্সারি এটা নিয়ে আমি কোন মাথা ঘামাই না আর কিছু মনেও করি না। তবু সাহেবকে আমি দিনটা মনে করে দিলাম এবং সে আমাকে জিজ্ঞেস করলো তুমি কি চাও আমার কাছ থেকে আমি সেটাই দিব আমি কিছুই বলিনি।
যাক এসব কথা না বলে নিজের কাজের কথাই বলি। রান্না শেষের দিকে ভাবিকে গোসল করে আসতে বলি যেহেতু তার ছেলে ঘুম থেকে উঠলেই মাকে না পেয়ে কান্না করবে তাই সব সময় ভাবিকে আগেভাগে গোসল করতে এবং খাওয়া-দাওয়া করতে বলি। এরপর আমার রান্না শেষ হলো ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই আর ভাবিকে বলে যাই আপনার ক্ষুধা লাগলে আপনি খেয়ে নিয়েন কোন সমস্যা নাই।
ভাবিকে এই কথা বলে আমি ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি এরপর যোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে বসি। ছেলেকে সব ভাত খাওয়াতে পারিনি তার ভিতরে সাহেব এবং ভাইয়া তারা এসে যায়। সাহেব আসার কিছুক্ষণ পর জিজ্ঞেস করি এখন খেতে দিবো কিনা সে বলছে তুমি ছেলেকে খায়ানো শেষ করো তারপর খাব। এরপর সম্পূর্ণ খাবার ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে তারপর আমি আর সাহেব খেতে বসলাম।
দুজনে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণের জন্য আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সাহেব আর ঘুমাইনি সে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করে আবার মার্কেটে চলে গেল।
এরপর সন্ধ্যা হল মাগরিবের আজান দিলো ওজু করে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলেকে কিছু খাইয়ে দিয়ে আমি একটু ঝাল ঝাল চালতার আচার খেলাম। আচার খেয়ে আজকের হ্যাংআউটে জয়েন্ট করি। আজকের হ্যাংআউট খুব স্পেশাল ছিল মানুষ কম ছিল তার পরে ভালো হয়েছে। তবে এতটা মজাও পায়নি আমাদের এডমিন দিদি থাকলে ভালো হতো। আজকে হাংআউটে সবাই সিক্রেট ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
যাইহোক নয়টা পনেরো মিনিট পর্যন্ত হ্যাংআউট অনুষ্ঠান হয়েছে। আমি হ্যাংআউট শেষ করে আজকে পোস্ট লিখতে বসলাম। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
আপনার লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। তবে ছোট বাচ্চাদের এটাই স্বভাব তারা ঘুম থেকে উঠে কান্না করবে। সকালবেলা বাচ্চাদের জন্য খাবার তৈরি করে সেই খাবার দিয়ে আসা একটু কষ্টের বিষয়।আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গরুর মাংস একসাথে মাসেল্লাহ মাখিয়ে রান্না করলে খুব ভালো লাগে আমার কাছে আমিও মাঝে মাঝে এভাবে রান্না করি।
আপনার একটি দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন এর জন্য জানাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।