Better Life With Steem || The Diary game || 21/5/2024
হ্যালো স্টিমের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই খুব ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার আজকে সারা দিনের কার্যকলাপ দিনলিপি গুলো।
![]() |
---|
আল্লাহর নাম স্মরণ করো সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম, উঠে হাত মুখ ধুয়ে অজু করে ফজরের নামাজ আদায় করি।ফজরের নামাজ আদায় করে বাসায় অগোছানো কাজগুলো করি। এরপর ছেলে মেয়ে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে আসলো তারপর সকালে ছেলে মেয়েকে বিস্কুট খেতে দি,মেয়ে খেয়ে নিল কিন্তু ছেলের খেতে চাইলো না সে পাউরুটি খাবে।
![]() |
---|
ছেলে পাউরুটি জন্য কান্না করে তারপর ওর কান্নার ভিতর আমি জোর করে একটি বিস্কুট খাইয়ে দিলাম। তাছাড়া আমি এতে সকালে কই পাউরুটি পাব তখন কোন দোকানপাটও খুলেনি। যাই হোক ছেলে কান্নার ভিতরের সাহেব সকাল আটটার ভিতরে বাসায় চলে আসলো। আসার পথে ছেলে মেয়ে জন্য অনেকগুলো চকলেট নিয়ে আসলো।এরপর ওগুলো বের করে দেওয়াতে ওর কান্না থেমে গেলে তারপর চকলেট খেতে লাগলো।
সাহেব বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে শুয়ে পড়লো ঘুমানোর জন্য, কারণ সারা রাত জার্নিং উপরে আছিল ঘুমাতে পারেনি তাই বাসায় এসে অনেকক্ষণ ঘুমালো এবং সেই ঘুম থেকে দুপুর একটার সময় উঠল।
![]() |
---|
ছেলে মেয়ের সাহেব যার যার মত তারা রইল তারপর আমি গেলাম পেট বাঁচানোর জন্য দুপুরে রান্নাবান্না করতে যাই, দুপুরে যা যা রান্না করবো তাই সবকিছু কেটে কুটে ধুয়ে গুছিয়ে নিলাম। দুপুরে রান্না করতে তেমন একটা সময় লাগেনি তাড়াতাড়ি রান্নাটা চাপিয়ে দিয়েছিলাম। সাড়ে এগারোটার মধ্যে আমার রান্নাবান্না শেষ হয়ে গেল।
রান্না শেষ হওয়ার পরই সব কিছু গুছিয়ে রেখে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিলাম। প্রায় ৪০ মিনিটের মতো শুয়ে থাকলাম, তারপর শোয়া থেকে উঠে ছেলেকে নিয়ে গোসল করিয়ে আসলাম। গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ি তারপর ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিই।
![]() |
---|
ছেলেকে খাওয়ানো শেষ করে তারপর আমরা ভাত খাওয়ার জন্য বেড়ে নিলাম এবং ভাত বেড়ে সাহেবকে ডাক দিলাম। সাহেবকে ডাক দেওয়া মাত্রই সে বলে তোমরা খাও আমার শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছে আমি পরে খেয়ে নিব। এরপর আর কি করবো আমরা মা মেয়ে ভাত খেয়ে নিলাম।
দুপুরে ভাত খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘুম আসেনি, ছেলেকেও ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করলাম ছেলেও ঘুমায়নি সে গাড়ি নিয়ে খেলা করলো। তারপর কিছুক্ষণ পর সাহেব ঘুম থেকে উঠে গেলো এবং বলল ভাত খাবে তারপর আমি তার জন্য ভাত বেড়ে নিয়ে আসলাম। সে ভাত খেতে লাগলো আর আমি এদিকে আসরের নামাজ পড়লাম।
![]() |
---|
নামাজ পড়ে আর শুয়ে থাকিনি কিছুক্ষণ বাসায় এবং বাহিরের দিকে হাঁটাহাঁটি করলাম। এরপর মাগরিবের আযান দিলে নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষ হওয়ার মাত্রই ছেলে মেয়ে বলে চকলেট খাবে আজকে সারাদিন চকলেটই খেলো এবং সন্ধ্যায় বলে আর কিছু খাবে না শুধু চকলেট খাবে। এরপর ওরা যা চাইলো তাই দিলাম ওদেরকে। তবে আমি আবার তেমন একটা চকলেট পছন্দ করি না অনেকটাই কম বলেই চলে। তবে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি ঝাল এবং টক।
এরপর ছেলেমেয়েকে চকলেট দিয়ে বসে রেখে তারপর আমি পোস্ট লিখি, পোস্ট লিখতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি লেখা শেষ হওয়া মাত্রই এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিই। ছেলেকে খাইয়ে আমিও রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি আবার তো সাহেবের জন্য রাতে উঠতে হবে।।এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
বাচ্চাদের একেকজনের বায়না একেকরকম হয়ে থাকে। এত চকলেট একসাথে দেখলে শুধু বাচ্চারা কেন সকলেই খুশি হতে বাধ্য। জার্নি করলে শরীর খুব ভেঙে যায় তাই হয়ত এসেই ঘুমিয়ে নিলো। ঘুমালে শরীরে অনেকটাই সতেজ অনুভব ফিরে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
স্ত্রী এবং মায়েরা সারাদিনে কত যে দায়িত্ব পালন করেন এটা দেখলেই আমি অবাক হয়ে যাই। আপনি সারাদিন এত কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও যে নিয়মিত আমাদের কমিউনিটিতে পোস্ট করে যাচ্ছেন, এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোট বাচ্চারা এমনি যেটা চাইবে তাদের সেটাই দিতে হবে তা না হয় অনেক বেশি কান্না করে।। আর দেখছি ভাইয়া তো অনেক চকলেট নিয়ে এসেছে, এগুলো কি শুধু ছেলেমেয়েদের জন্য আনছে না আপনার জন্য আনছে 🤣🤣।।
আমার মনে হয় প্রতিটি বাচ্চা চকলেট খেতে অনেক পছন্দ করে আর তাদেরকে চকলেট নিয়ে এনে দিলে সবকিছু ভুলে যায়।।
TEAM 2
Congratulations! This post has been voted through steemcurator05. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.thank you
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে বাসার কাজকর্ম সেরে নিয়েছেন। এদিকে ছেলে মেয়েরা ঘুম থেকে ওঠার পর সকালের নাস্তা খাইয়েছেন। ছোট বাচ্চারা মনে হয় এরকমই যেটা খেতে জেদ করবে, ওইটা না হলে আর কোন কিছুই খেতে চায় না।
আপনার সাহেব দেখি ছেলেমেয়েদের জন্য অনেকগুলো চকলেট নিয়ে এসেছে।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ