Better Life With Steem || The Diary game || 21/3/2024
রাত চারটায় সেহরি ভাত খেয়ে, ফজরের আযান দেওয়ার পর নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। সেই ঘুম থেকে সকাল ১১ টার সময় উঠি।এত দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছি যে কোনো কাজের দিক দক্ষিণ পায়নি সবকিছু তাড়াহুড়ার ভিতরে কাজ করেছি । ছেলেকে খাওয়াতে বসলেই তো আমার এক ঘণ্টা ওর পিছে চলে যায় এর। তার ভিতরে আবার অনেক দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছি। যাইহোক কিছু করার নাই এবার মুখটা ধুয়ে ছেলেকে খাওয়াতে বসি। ছেলেকে যখন খাইয়ে উঠেছে তখন সাড়ে বারোটা বাজে।
তারপর ভাবি যখন ১২:৩০ টা বেজে গেছে তখন গোসলটা করেই ফেলি, ও হ্যাঁ গোসল করতে যাওয়ার আগে আমি থালা-বাসন গুলো ধুয়ে রাখি। আজ সাহেব দুপুর একটা পর্যন্ত বাসায় ছিল তার একটা ফোনের কাজের জন্য কাজটা করতে মনে হয় ঝামেলা হয়ছিলো মাথাও গরম ছিল, আর এদিকে ছেলে কান্না করতে লাগল তারপর ছেলেকে একটা ধমক দিলো এরপর ছেলে আরো কান্না করতে লাগলো। তারপর আমি মেয়েকে বললাম পাশের বাসায় নিয়ে ঠান্ডা করে আনো। আমি যতক্ষণ পর্যন্ত না আসতে বলব ততক্ষণে আসবে না। এই কথা বলে আমি গোসল করতে গেলাম।
আমি গোসল করতে ঢুকেছি তার কিছুক্ষণ পরেই সাহেব তার কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়। আমি গোসল করে বাহিরে কাপড় গুলো শুকাতে দিতে গেছি এরপর দেখি তরকারি ওয়ালা ভ্যানে করে তরকারি নিয়ে এসেছে। কোন তরকারি রাখিনি বাসায় তরকারী আছে তাই দুটো লেবু আর দুটো বোম্বাই মরিচ রেখেছি।
এরপর এগুলো রেখে আমি যোহরের নামাজ পড়ি, নামাজ পড়ে উঠেছি আর ছেলেরও খুদা লেগেছে। তারপর আমি ওর জন্য নুডলস রান্না করে দি। নিজের হাত দিয়ে দুই লোকমা খেয়েছে তারপর বাকিটা আমি খাইয়ে দিয়েছি।
ছেলের পেট ঠান্ডা করে তারপর আমি কিচেনে যাই রান্না করতে। সবকিছু কেটে কুটে ধুয়ে গুছিয়ে নিয়েছি তারপর রান্নাটা চাপিয়ে দিলাম। আজকে রান্না করেছি মুসুরি ডাল দিয়ে শসা, আর ভাজি, আর ইফতারির জন্য রান্না বান্না। রান্না শেষ করে মার সাথে কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলি, কথা বলা শেষ করে তারপর আসরের নামাজ পড়ি।
আসরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করি, মোবাইল দিয়ে কিছু ধোয়া দূরুদ পড়লাম তারপর ডিসকর্ডে ঢুকে কয়েকটি কমেন্ট করি। মোবাইল ব্যবহার করছিলাম আর এদিকে দেখি প্রায় ইফতারের সময় হয়ে গেছে তারপর সবকিছু রেডি করে সামনে নিয়ে বসি আর দোয়া দরুদ পড়ি। আজান দেওয়ার পর ইফতারি করে মাগরিবের নামাজ পড়ি।
নামাজ কালাম শেষ করে দু মিনিটের মতন রেস্ট নেই তারপর ফোন হাতে নিয়ে পোস্ট লেখা শুরু করি। পোস্ট লেখার ভিতরে আমার প্রিয়তম বান্ধবী ফোন দিয়েছে তার সঙ্গে আধা ঘন্টার মতন কথা বলি। অনেকদিন পর কথা হলো তার জন্য অনেকক্ষণ কথা বললাম। ওর সঙ্গে কথা বলা শেষ করে বাকি পোস্ট লেখাটা শেষ করি।
পোস্ট লেখা শেষ করি ৮ঃ২০ মিনিটে এরপর এশার নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষ করে ছেলেকে খাওয়া দাওয়া করার এরপর আমরাও খেয়েদেয়ে শুয়ে পরি। আজকে একটু তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছি কারণ বাহিরে অনেক বৃষ্টি পড়ছে আর খুব ঠান্ডা লাগছে তার জন্য শুয়ে পড়েছি। এর মধ্যে গুড়ুম করে একটা শব্দ শুনা যায় তারপর কারেন্ট ও চলে যায় আর আমার ওয়াইফাই ও চলে যায়। আর ফোন ব্যবহার করতে পারিনি ফোন রেখে ঘুমিয়ে পরি।
বন্ধুরা আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই,সবার জন্য শুভকামনা রইল।(আল্লাহ হাফেজ) |
---|
বাচ্চাদের খাওয়াতে গেলে সময় বেশি লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের হাজারো দুষ্টামির মাঝেও খাওয়ানোটা অনেক বড় কঠিক দায়িত্ব। ছেলের জন্য আজকে নুডলস রান্না করেছিলেন। নুডলস আমার খুব পছন্দের একটি খাবার।আমি যতদুর জানি বোম্বাই মরিচে ভীষণ ঝাল হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.thank you so much
খুব ব্যস্ত একটি দিন কেটেছে আপনার, তবে আপনার বড় মেয়ে থাকার কারণে আপনার ছেলেকে একটু দেখতে পারছে। যদি আপনার বরং এখনো ছোট তবে একটু হলে আপনি স্বস্তি পান।। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।