Better Life With Steem || The Diary game || 20/3/2024
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আজকে আমার সারূদিনের দিলিপির মুহূর্ত গুলো চলুন শুরু করা যাক।
রাত চারটা সময় সেহরি খাবার খেতে উঠি খেয়ে ১০ মিনিট বসে থাকি, এরপর আজান দেওয়ার পর ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়ি, তারপর সকাল ১০ টায় ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গিয়ে নাকে মুখে একটু পানি দিয়ে তারপর কিছু বাসি কাজ করি। কাজ সম্পন্ন করা হয় আর ছেলেও উঠে যায়। এরপর ওকে মুখ ধুয়ে এনে এক পিস কেক খাওনোর চেষ্টা করি, দুই মুখ খেয়ে আর খাওয়াতে পারলাম না।
এরপর শুনি ময়লা ওয়ালার ডাক পরেছে তারপর ময়লা গুলো দরজার বাহিরে রেখে দি, তারপর পিছের দরজা খুলে দেখতে পারছি আজকে খুব সুন্দর রোদ উঠেছে আর আকাশটাও একদম পরিষ্কার এরপর ভিজা কাপড় গুলো শুকাতে দি। কালকে মেঘলা আবহাওয়া কারণে কাপড় গুলো সম্পন্ন শুকাইনি।
তারপর যাই রান্না ঘরে কাটাকুটি করতে মাছ ভিজিয়ে রেখে এরপর রান্না করার সবকিছু কেটে গুছিয়ে রেখে গোসল করতে যাই। গোসল করে বের হয়ে কাপড় গুলো শুকা দিয়ে তারপর জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠে নামাজের পটি গুছিয়ে রেখে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে শুয়ে থাকি আর এদিকে শুনছি ছেলে কান্না করছে ক্ষুধার জন্য, তারপর মেয়েকে বলি ওর হাতে দুই পিস বিস্কুট দেও, এরপর ছেলে দু পিস বিস্কুট খেয়ে আবার খেলতে লাগলো।
আর খেলাধুলা দেখে আমি যাই রান্না করতে রান্না ঘরে আজকেও রান্না করতে তেমন একটা লেট হয়নি তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে । পাঙ্গাস মাছ ভুনা, ও করলা ভাজি, তারপর ইফতারি সবকিছু রান্না করি। রান্নাবান্না করে হাত মুখ ধুয়ে ওযু করে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলেকে মাছ দিয়ে ভাত খাওয়াতে বসি কারণ সেই সময় ক্ষুধার জন্য দুই পিস বিস্কুট খেয়েছিলো, তার জন্য রান্না বান্নাটা তাড়াতাড়ি করে ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসি।
ছেলেকে ভাত খেয়ে উঠেছি আর ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি ইফতারির বাকি আর মাত্র ২০ মিনিট,এই ২০ মিনিটের ভিতরের শরবত গুলিয়ে রাখি শসা কাটি এরপর সব কিছু রেডি করি। এরপর আযানের শব্দ শুনে ইফতার করি।
ইফতার করতে যতটুকু সময় লেগেছে তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ৫ মিনিটের মতো সোজা হয়ে শুয়ে থাকি। এরপর পোস্ট লেখা শুরু করি কয়েক ওয়াট লিখেছি এর মাঝে আমার মা ফোন দিয়েছে তারপর মার সাথে কথা বলি আর বাড়ির খোঁজখবর নেই।মার সাথে কথা বলে আবার পোস্ট লিখতে বসি। এরপর দেখি সাহেব বাসায় চলে এসেছে, এরপর আমি বললাম হঠাৎ আজকে এত তাড়াতাড়ি কেন আসছো সে বলছে আমার ফোনে চার্জ নেই চার্জার নিতে আসছি।তারপর পাঁচ মিনিটের মতো ফোনে চার্জ দিয়ে আবার চার্জার নিয়ে চলে যায়।
পোস্ট লেখাটা তাড়াতাড়ি শেষ করি তারপর ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসি, ছেলেকে ভাত খাওয়ানো শেষ করে এরপর আমি এশার নামাজ পড়ি। ও হ্যাঁ আজকে আমাদের সাপ্তাহিক হ্যাংআউট অনুষ্ঠান আছে একদম ভুলেই গেছিলাম।এরপর তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে হ্যাংআউটের অপেক্ষায় থাকি কখন শুরু হবে আর জয়েন্ট করবো কখন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি আর সামনের কবো না সবার জন্য সুস্থ কামনা করি।
বন্ধুরা আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই,সবার জন্য শুভকামনা রইল।(আল্লাহ হাফেজ) |
---|
ময়লা ওয়ালার ডাক শুনেই ময়লার পাত্র বাইরে রেখে দিলেন। তারপর ঘরের কিছু কাজ শেষ করার পর রান্নার কাজে হাত লাগালেন। তেমন রোদের দেখা নেই এজন্য ভিজা কাপড়গুলে শুকাতে বেশ সমস্যা হচ্ছে।। সময়মত ইফতার করতেও ভোলেননি।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে দিনলিপিটি উপস্থাপন করার জন্য। দিনটি আপনি কর্মস্থলে কাটিয়েছেন। সত্যিই রোজা রেখে এত এত কাজ করা অনেক ধৈর্যের ব্যাপার। আল্লাহর রহমতে আমাদের দেশের মা বোনেরা এই ধৈর্যে উত্তীর্ণ। যাইহোক আপনার পরিবারের সকলের জন্য এবং আপনার জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
সাংসারিক কাজ ও বাচ্চাদের পিছনে আপনার দিন কেটেছে। তবে আপনি বেশ গুছিয়ে কাজ করেন এটা আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল। এটাও কিন্তু কম দক্ষতার ব্যাপার নয়। সব কাজ গুছিয়ে হ্যাংআউটের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। আর আমি নিয়মিত হ্যাংআউট, টিউটোরিয়াল এর ডেট ভুলে যাই। যাইহোক খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
আপনি সাংসারিক জীবন ও ব্যস্তময় দিনের পাশাপাশি আপনার দিনলিপিটা খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার পোস্টে দেখতে পেলাম আপনি পাঙ্গাস মাছ রান্নার পাশাপাশি আরো কয়েকটি আইটেম ইফতারের জন্য রান্না করেছেন। যাই হোক এবং পরিশেষে হাংআউটের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য
সকাল থেকে রাত অব্দি রোজা রেখে খুব দক্ষতার সাথে সবকিছু সামলাচ্ছেন,, সেই সাথে নিয়মিত পোস্ট রয়েছে এটা কিন্তু অনেক ধৈর্যের ব্যাপার।। যেটা আমি আপনার মাঝে দেখছি।। তবে হ্যাঁ রান্না গুলো কিন্তু বেশ লবণীয় হয়েছে দেখতে।।
আসলে মেয়ে মানে সবকিছু দক্ষতার সাথে গুছিয়েও সামলিয়ে রাখা। আপু আমার পোস্টি আপনি ধৈর্য সহকারে পরে আপনি খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন যেটা পরে আমার খুব ভালো লেগেছে।আপনাদের অনেকের এমন ভালো কমেন্ট পড়ে কাজ করার আরো আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। থ্যাংক ইউ আপু খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।