Better Life With Steem || The Diary game || 20/1/2024
হ্যালো স্টিমেট বন্ধুরা
আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার সারা দিনের সকল কার্যক্রম দিনলিপি গুলো।
সকালবেলা
আজ সকালবেলা কেমন জানি কম্বলের উষ্ণ গরমের ভালোবাসা ছেড়ে উঠতে মন চাইছিল না। তবুও না উঠে পারলাম না ছয়টার সময় ঘুম থেকে উঠলাম এবং হাত মুখ ধুয়ে অজু করে ফজরের নামাজ আদায় করি। তারপর সকালবেলা মা আটার রুটি বানালো এবং মার কাজে আমি সাহায্য করি। আজকে আটা রুটির সাথে রং চা দিয়ে নাস্তা করেছি। ছেলের রুটি খেতে চাইলো না তার জন্য ওকে কেক খাইয়ে দিয়েছি।
দুপুর +বিকেল
মা দুপুরবেলা রান্না করতে বসে এবং রান্নার কাজে আমি কেটেকুটে সবকিছু গুছিয়ে দি। তারপর মা বলে আমাদের রাস্তার পাশে কিছু শুকনো পাতা আছে ওগুলো ঝাড়ু দিয়ে আনতে। পাতাগুলো ঝাড়ু দিয়ে আনতে আমি এবং আমার ছোট বোন গেলাম। মার কোমরের ব্যাথা যেতে পারবে না তার জন্য আমি এবং আমার ছোট বোন গেলাম। ঝাড়ু দেওয়া কাজ করে এসে সঙ্গে সঙ্গে গোসল করে কারণ কাপড়ে অনেক ময়লা লেগেছে এবং কাজগুলো করে অনেক গরম লাগছে। আমি গোসল করি তারপর ছেলেকেও গোসল করিয়ে দি আজকে মা ছেলে দুজনে বারোটার সময় গোসল করা কমপ্লিট হয়ে গেল। আর এদিকে সাড়ে বারোটা বাজে মা রান্নাবান্না সব কিছু হয়ে গেল।
মা রান্না শেষ হয় তারপর মা ও গোসল করতে গেল আর আমি এদিকে জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে দুপুরে ভাত খাইয়ে দি। মাও গোসল করে নামাজ আদায় করে তারপর আমরা সবাই একসাথে দুপুরে খাবার খাই।
ছেলেকে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে দেওয়া পর 10 মিনিট পরে ঘুমানোর জন্য কান্না করছিল আসলে ছেলে প্রতিদিন দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমানো একটা রেগুলারই কাজ হয়ে গেছে। ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে ওর পাশে শুয়ে থাকি কিছু পোস্ট পড়ে তাতে কমেন্ট করি। কয়েকটি কমেন্ট করি তারপর দেখি আসরের আযান দিয়ে দিল তাই শুয়া থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে একটু উঠোনের দিকে নামলাম তারপর দেখি আমার মেয়ে এবং আমার ছোট বোন কয়েকজন মিলে চালতা খাচ্ছে। আজ ওদের চালতা খাওয়া দেখে আমি খাইনি কারন শুধু লবণ দিয়ে খেয়েছে তার জন্য। উঠানে থেকে শুনতে পেলাম ছেলে ঘুম থেকে উঠে আমাকে ডাক দিল তারপর ওর কাছে গেলাম। এরপর ওকে নিয়ে একটু হাটাহাটি করি।
সন্ধ্যা +রাত
মাগরিবের আজান দিলো তারপর ছেলেকে নিয়ে ঘরে আসে। ছেলেকে মেয়ের কাছে রেখে আমি মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে তারপর একটা বাটিতে করে ছেলের সামনে মনেক্কা খেতে দিয়েছি তার ছোট ছোট দাঁত দিয়ে কুটকুট করে খেতে লাগলো । তারপর আমি ওর বাটিতে থেকে এক মুঠ নিয়ে এখান থেকে এসে পড়ি এবং পোস্ট লিখতে বসি।
আমি ওই পাশে বসে পোস্ট লিখি আর মেয়ে ওর ভাইকে ওর মামার একটা র্শাট পরিয়ে ওড়না দিয়ে মাথায় পাগড়ি বেঁধে আমার সামনে নিয়ে আসে তারপর বলে আম্মু দেখো ভাইকে কি করেছি। আর ছেলেটাও আছে ওকে যে যেরকম সাজুগুজু করাক না কেন চুপ করে বসে থাকে। ছেলের এই সুন্দর ভালো রূপটা আমি ক্যামেরা বন্দী করে রাখি এবং আপনাদের কাছে এক কপি ফটো শেয়ার করি।
যাইহোক ওদের সাজুগুজু বাহানা দেখে দেখে আমার পোস্ট লেখা হয়ে গেল। এশার নামাজ পড়ে তারপর ছেলেকে রাতে খাবার খেয়ে দিয়েছি। এবং আমরা সবাই রাতের খাওয়া দাওয়া করি। তারপর আমি ছেলেকে নিয়ে ঘুমাতে যাই। এই ছিল আমার আজকে সারাদিনই ডাইরি গেম।
আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|
এমনিতেই প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা সকাল বেলা উঠতে একটু সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরেও উঠতে হয় আপনি আপনার মাকে রান্নাবান্নার কাজে সাহায্য করেছেন। আসলে ঝাড়ু দিতে গেলে শরীরের অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে যায়।
সন্ধ্যায় আপনার ছেলে সহ নাস্তা করেছেন। আপনার ছেলেকে কিন্তু মাশাআল্লাহ অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। অবশ্যই তাকে মাদ্রাসায় দেয়ার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শীতের দুপুর অনেক ছোট, ভালো করেছেন ১২ টার মধ্যে সব কম্পলিট করে।
মনোক্কা খুব ই টেস্টি হয় খেতে, তবে সল্টেজ টা বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
বেবিটাকে পাগড়িতে বেশ সুন্দর লাগিছে।
খুব সুন্দর একটি দিন কেটেছে আপনার মায়ের সাথে সাথে আপনি আপনার মাকে বেশ কাজে সাহায্য করেন। এটা খুবই ভালো কথা এবং এতে কাজটা খুব দ্রুত সহজ হয়ে যায়। এছাড়া শীতের দিনে আমি মনে করি সংসারের কাজকর্ম খুব দূরত্ব করে ফেলাই ভালো।
আপনার ছেলেকে পাগড়ি পরাতে বেশ ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আটার রুটি সাথে রং চা দিয়ে নাস্তা করে নিয়েছেন।
আর ছেলে খেতে না চাওয়ার কারনে তাকে কেক খাইয়ে দিয়েছেন। দুপুরে আপনারা স
রাস্তার পাশে থেকে পাতা ঝাড়ু দিয়ে নিয়ে এসেছেন।এরপর খোসল করে খেয়ে নিয়েছেন।
এই মনেক্কা জিনিসটা মনে হয় আপনাদের মা ছেলে দুজনেরই খুব প্রিয়।
সেই সাথে আপানার ছেলেটা মাশাল্লাহ কিউট।
বর্তমানে শীতের দিনে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। তারপরও আপনি ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। আমাদের প্রতিটি মুসলিম মুমিনের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। সকালবেলা নামাজ পড়ে আপনি ফ্রেশ হয়ে আপনার মাকে কাজে সাহায্য করেছেন। রুটি ও চা দিয়ে নাস্তা করেছেন। আসলে বাসায় মেয়ে থাকলে তাহলে মায়ের কাজের অনেকটা সাহায্য হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময়ে এত শীত পড়েছে যে বিছানা থেকে উঠতে একদম মন চায় না। তবুও নিজের কর্মজীবনের এবং সংসারী কাজের জন্য উঠতে হয়। ঠিক বলেছেন মায়ের পাশে মেয়েরা থাকলে অনেক কাজের সাহায্য হয় আর অনেক ভালো হয়। ধন্যবাদ আমার পোস্টিতে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।
প্রতিটি মেয়ের উচিত তার মাকে বা শাশুড়িকে সাহায্য করা।। আপনি রান্নার কাজে আপনার মাকে সাহায্য করেছেন। সেই সাথে সবাই দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছেন।। আর হ্যাঁ আপনার ছেলেকে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর লাগছে।
খুবই ভালো লাগলো আপনার একটি দিনের কার্যক্রম পড়ে।
তবে আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন প্রতিটা মেয়ের তার শাশুড়ির কাছে থাকলে শাশুড়িকে সাহায্য করতে হবে এবং মায়ের কাছে থাকলে মাকে সাহায্য করতে হবে। তবে আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি মাকে প্রত্যেকটা কাজের সাহায্য করার।
থ্যাঙ্ক ইউ খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্টটি
পড়ে ।
শুনে ভালো লাগলো আপনি প্রতিনিয়ত আপনার মায়ের কাজে সাহায্য করে।। আসলে কাজে সাহায্য করলে দুজনের অনেক ভালো হয়।।
আজকে সকালে আপনি চা দিয়ে নাস্তা করেছেন আর আপনার ছেলেকে পাগড়ি পড়ার পর কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে।আর এমনিতে ও ছেলেদের এই সব জিনিসের সুন্দর লাগে। আমাদের সাথে আপনার দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।