Better Life With Steem || The Diary game || 18/12/2023
হ্যালো স্টিমেট বন্ধুরা
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালআছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ডেইলি গেম শেয়ার করতে চাই। আমার কাটানো সব মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।
💗সকালবেলা💗 |
---|
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর এক কাপ গরম চা খেয়ে আজকে সকালটা শুরু করলাম। তারপর বাহিরে গেলাম কিছুটা রোদ অনুভব করার জন্য। এবং ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল ওকে হাতমুখ ধরে আনলাম। এবং সকালে নুডুলস রান্না করে ছেলেকে খাইয়ে দিলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসলাম। আর আমি এদিকে স্টিম প্লাটফর্মে ঢুকে বন্ধুদের পোস্টে কিছু কমেন্ট করলাম।
💗দুপুর+বিকেল💗 |
---|
মা দুপুরে কি কি রান্না করবে সেগুলো সব গুছিয়ে নিলো। মা ও দিকে রান্না বসিয়ে দিল আর আমি এই ফাঁকে কিছু কমেন্ট করলাম। এদিকেও ছেলে স্কুল থেকে চলে আসলো। ওর খুদা লাগছিল তার জন্য এক পিস কেক খাইয়ে দিলাম।
মধ্য দুপুর আজ দুপুরে একটা ঘটনা হলো যা আমরা একদম প্রস্তুত ছিলাম না। আজ বাবা গাড়ি চালিয়ে দুপুর বারোটার দিকে বাড়িতে এসে পড়ল। তারপর আব্বুকে দুপুরে কিছু খেতে দিলাম সে খেতে লাগলো। তারপর মা আমার ছোট বোনকে কি যেন আনার জন্য ডাক দিল। মা কয়েকবার ডাকলো ও শুনিনি। কারণ ওর হাতে ফোন ছিল ফোনের ধ্যানে আছিল। আব্বু কিন্তু এই সবগুলো খেয়াল করলে যে মা কয়েকার ডাকেছে আসেনি। তারপর সে আর করলো যা ভাবনাই ছিল না। অমনি ধপাস করে হাত থেকে ফোনটা নিয়ে তিনবার আচার দিয়ে ফোনটা ভেঙে ফেলল। আমার ছোট বোন মাদ্রাসায় আলিম ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। বাবাই ফোন কিনে দিয়েছিল এসএসসি পরীক্ষার পর। আজ সেই ফোন তার হাতেই ভেঙে গুরমার হয়ে গেল। আমার বোন সেই অসহায় এখন পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া করেনি শুধু কান্না করে যাচ্ছে। আমি আর মা আব্বুকে কিছুই বলতে পারছিলাম না কারণ তার মাথায় প্রচুর রাগ ছিল। আমার আব্বুর কথার উপরে কেউ কিছু বলতে পারে না অনেক জিদি আবার তেমনি অনেক মায়াবী ও আছে।
মা আজ দুপুরে রান্না করলে লাউ, মাছ, শাক,। মার রান্নাবান্না শেষ হয়ে গেল গোসল করে আসলাম এবং ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। এরপর সবাই মিলে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম। আজ দুপুরে খাবারের ছবি তুলতে পারিনি কারণ আজকে যা হয়ে গেল না দুপুরে। মাথাটা ওই চিন্তা থাকার কারণে ছবি তুলতে ভুলেই গিয়েছি।
বিকেলবেলা ছেলে আজকে বিকেলে আর ঘুমালোনা তাই ভাবলাম যখন ঘুমালোনা ওকে নিয়ে একটু ঘড়ের পিছের রাস্তায় হাটাহাটি করি। আজকে বিকেলে আকাশটা দেখতে বেশ সুন্দর ছিলো। তাই ক্যামেরা বন্দি করে রেখে দিলাম ভাবলাম আপনাদের কাছেও শেয়ার করি । এবং ছেলেরও এক কপি ছবি তুলে নিলাম।
💗সন্ধ্যা+ রাত💗 |
---|
সন্ধ্যার হয়ে গেলো মাগরিবের নামাজ পরি। নামাজ শেষ করে ছেলেকে সন্ধ্যায় কেক খেতে দিলাম। তারপর ও গাড়ি নিয়ে খেলা করছিলো।আর আমি পোস্টে কমেন্ট করি। ছেলে দুপুরের বেলা খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমাও নি তো ভাবলাম ঘুমিয়ে পড়বে তাড়াতাড়ি করে রাতের খাবার খাইয়ে দি তারপর ঘুম পড়ে। আর এদিকে আব্বু আজকে রাতে ৯টা দিকে এসে পড়ে। তো আমরা আর বেশি রাত জাগলাম না। রাতের খাওয়া দাওয়া করে সবাই ঘুমিয়ে পরি।
আমার পোস্টে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন (আল্লাহ হাফেজ) |
---|
সকাল থেকে আপনার দিনটা বেশ ভালোই কেটেছে। কিন্তু দুপুরবেলা হঠাৎ করেই এমন একটা ঘটনা ঘটেছে। যার জন্য আপনারা কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। আসলে পুরুষ মানুষ এর মনটা অনেক ভালো কিন্তু যদি একটু রাগ মাথায় ওঠে। তাহলে তারা অনেক কিছু ধ্বংস করে দেয়। আপনার বাবার ক্ষেত্রেও ঠিক সেরকম হয়েছে পুরুষরা যখন বাহির থেকে কাজ করে আসে। তখন আমাদের অবশ্যই শান্ত ভাবে চলাফেরা উচিত। উনি যখন বাসায় এসে দেখলেন আপনার মা আপনার বোনকে ডাকছে। আপনার বোন যখন কথা শোনেনি, তখন উনার মাথায় রাগ চেপে বসলো আর তাই উনি মোবাইলটা ভেঙে ফেললেন রাগ কমে গেলে, হয়তোবা আবার আরেকটা কিনেও দিতে পারে। আপনার বোনকে সান্ত্বনা দিন। অবশ্যই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
শুধু আপনার বোন না যার হাতে মোবাইল থাকে আর ভিডিও দেখে সে মোবাইলের হারিয়ে যায় কেউ ডাকলে বা কোন কথা বললেও কানে শুনে না। এটা খুব বাজে অভ্যাস। আপনাদের মোবাইলের জন্য মন খারাপ লাগলো। যাই হোক সারাদিনের কাজকর্ম আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন মোবাইলের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও আমাদের সাথে আপনার দিনলিপি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন।
আমার লাইফের আমি ৯ তম ফোন চালাচ্ছি,, এই ফোন নিয়ে যে লাইফে আম্মুর কাছে বকা যা শুনেছি,, কিন্তু হে আমার এত গুলো ফোন ব্যবহার করেছি,, কিন্তু বাড়ি থেকে এক টাকাও আমি নেয়নি,, সব নিজে কষ্ট করে টাকা গুছিয়ে কিনেছিলাম 😅আপনার একটি দিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন,, আপনার পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আসলে দুঃখজনক একটি ঘটনা, কিন্তু বাবা যখন বাহির থেকে পরিশ্রম করে আসে তখন সবকিছু বাদ দিয়ে বাবার প্রতি খেয়াল রাখা।
প্রত্যেক বাবা-মা তার ছেলে-মেয়ের ভালোর জন্যই সবকিছু করে, নিঃসন্দেহে যার মধ্যে রাগ আছে তার মধ্যে ভালোবাসা আছে।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো পড়লাম ভালই লাগলো, সারাদিন তেমন কোন ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন না। আপনার দিনগুলো আরো ভালো কাটুক।
আপনার বোনের নিশ্চয়ই খুব মন খারাপ হয়েছে। মন খারাপ হওয়ারই কথা। মোবাইল ফোন আসলে বর্তমানে একটি ফোন নয় মানুষের সঙ্গী। তাই মোবাইল ফোন নষ্ট হলে বা ভেঙ্গে গেলে খুব আঘাত লাগে। আপনার বাবা হয়তো রাগের মাথায় এমনটি করেছেন। দেখবেন আবার রাগ পড়ে গেলে তিনি আপনার বোনকে মোবাইল কিনে দেবেন। যাইহোক এগুলো জীবনের ছোটখাটো ঘটনা। সপরিবারেই ঘটে থাকে এমন। কৃষি দুশ্চিন্তা করবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে।
এই বয়সে এসে মা বাবা আমাকে যত বদ বচন করেন সব ফোন টিপার জন্য। এই ফোনের বহুবার গালি খেয়েছি তাদের থেকে। যাইহোক, মুরুব্বি মানুষদের কথা শুনতে হয়। তাই কোনো রিকেক্ট করি না। ওনারা বলে যান ওনাদের মতো আমিও শুনি আমার মতো।
আসলে সত্যি কথা কি। ফোন যদি হাতে থাকে তাহলে ফোনে দেখে মনটা থাকে বাইরে কোন শব্দ আসে না ফোনে ধ্যানেই মনটা থাকে। আজ এটুকুর কারণে আমার বোনের ফোনটা হারালো।
আমার পোষ্টি পরে একটি কমেন্ট করলেন থ্যাঙ্ক ইউ।
যে মানুষটা একটা সংসার পরিচালনা করে তার মাথায় সব সময় কোন না কোন একটা চিন্তা ঘুরপাক খায়।। যেহেতু আপনার মা ডাকছিল কিন্তু আপনার বোন শুনতে না পারলেও আপনার বাবা ঠিকই খেয়াল করেছিল আর এজন্যই ফোনটা ভেঙে ফেলছে।। কিন্তু আপনার বাবা পরবর্তীতে বুঝতে পেরেছে যে ফোনটা ভাঙ্গা ঠিক হয়নি।। পরিবারে এরকম সমস্যা এটা স্বাভাবিক অস্বাভাবিক কিছুই না।।।
ধন্যবাদ আপনার একটু দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
সকাল বেলা চা খেয়েছেন আর আপনার সন্ধ্যার আপনি কেক খেয়েছেন আমার কাছে আপনার সন্ধ্যার খাবার টা অনেক ভালো ছিলো । সন্ধ্যা বেলা হালকা খাবার খাওয়া ভালো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আসলে সন্ধ্যায় হালকা খাবার খাওয়াটাই বেটার অনেক। পেট ভর্তি করে ভাত খাওয়া যায় কিন্তু অন্য খাবার তেমন একটা খাওয়া যায় না।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য।
আসলে রাগ জিনিসটা সেটা যারই হোক না কেন ক্ষতিকর। সেটা আশেপাশের মানুষ ও নিজের জন্যও। সেটা যে শুধু অর্থনেৈতিক বা সামাজিক এমনও না তার নিজের শরীরের জন্যও ক্ষতিকর।
তারপর আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে রাগ লাগে।আর এটা চাইলেও অনেক সময় কন্ট্রোল করতে পারি না আমরা। আপনার আব্বুরও হয়তো এমনি হয়েছিল। আপনি আপনার বোনকে সান্ত্বনা দিন।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার বাবার হল হঠাৎ মেজাজ। তার রাগ হলে কাউকে কেয়ার করে না ওই সময় যে সিদ্ধান্তটা তার মাথায় আসে ওইটাই সে করে বসে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটিতে আপনার সুন্দর একটি মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিলেন।