Better Life With Steem || The Diary game || 16/1/2024

in Incredible India2 years ago

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার সারা দিনের সকল কার্যক্রম দিনলিপি গুলো।

GridArt_20240116_194826775.jpg

🌹সকালবেলা 🌹

শীতের সকালে শীত তো লাগবে এ বলে শেষ করা যাবে না শীতের কথা। তাই আর শীতের ব্যাপারে বেশি কিছু বললাম না। তাই সকাল সাড়ে পাঁচটা বাজে ঘুম থেকে উঠে অজু করে ফজরের নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর মা ফ্রিজ থেকে রসের পিঠা নামিয়ে গরম করলো এই পিঠা দিয়ে সকালে নাস্তা করলাম। এই পিঠে কিন্তু আমার মায়ের হাতে বানানো না আমার আপুর হাতে বানানো সে বানিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমার আপুর শশুর প্রত্যেক বছরে খেজুর গাছ কেটে রস বের করে। এবং সেই রস দিয়ে পিঠা বানিয়েছে এবং আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে একটা দুঃখের বিষয় শীতের অসুমে আমাদের চার এলাকায় রস খুঁজে পাওয়া যায় না এবং কিনতে গেলেও তা অনেক দূরে।

IMG_20240116_185035.jpg

ছেলেমেয়ে দুজনে ঘুম থেকে উঠে গেল ছেলেকে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ করে এনেছি এবং কিছু পিঠা খেয়ে দিয়েছি। আর মেয়েকেও খেতে দিয়েছি সেই খেয়ে লেখাপড়া করতে বসছে। আজ খুব সকালবেলায় তাড়াতাড়ি রোদ উঠেছে এবং রোদ দেখে খুব ভালই লাগছে। এতদিন আকাশটা এমন ঘোমরা করেছিল কিছুই ভালো লাগেনি আজ আকাশের আবহাওয়া টা দেখে অনেক ভালো লাগলো।

🪷দুপুরবেলা 🪷

আজকের দুপুরে রান্নাটা সম্পূর্ণ আমি করেছি। কারন আমার মা আজকে সকাল 9 টায় আমার ভাইয়ের মাদ্রাসায় গেছে কারণ সব গার্জিয়ানদের নিয়ে মাদ্রাসায় একটা মিটিং হবে তার জন্য। ওই মাদ্রাসায় প্রত্যেক বছরের ছাত্রদের গার্জিয়ানদের নিয়ে একটা মিটিং হয়। প্রায় ওখানে হাজারের উপরে মানুষ হয়। আমার দুপুরে রান্না বান্না প্রায় সাড়ে বারোটার দিকে শেষ হয়ে গেছে। রান্না শেষ হতে না হতে মা-বাবা চলে এসেছে। আমার রান্না শেষ হওয়ার পর কালি মাখা পাতিল গুলো ধুয়ে এনেছি এবং ঘর বাহির সবকিছু ঝাড়ু দিয়েছি। রান্না সবকিছু কাজ করে ছেলেকে গোসল করি এনেছি। ছেলেকে ওর নানী আপুর কাছে রেখে আমি গোসল করে আসছি এবং জোহরের নামাজটা পড়ে নিলাম।

IMG_20240116_185057.jpg

মা আব্বু গোসল করে নামাজ পড়ে নিলো তারপর আমি টেবিলের সবার জন্য ভাত বেরিয়েছি তারপর আমরা সবাই দুপুরের খাবার খেলাম। আমি খেয়ে তারপর ছেলেকে খাইয়ে দিলাম কারণ ওর খেতে অনেকক্ষণ সময় লাগে। ছেলেকে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম তারপর ঘুমোতে নিয়ে গেলাম ১০ মিনিটের ভিতরে ঘুমিয়ে পড়ল।

🌺বিকেলবেলা🌺

IMG_20240115_163822.jpg
IMG_20240116_185342.jpg

আজ বিকেল বেলা ছেলের পাশে শুয়ে থাকে নি ওকে ঘুম পাড়িয়ে আমি তো বাইরের দিকে হাঁটতে গেলাম। আমার বাড়ির পাশের বোনের মেয়েকে নিয়ে রাস্তায় কিছুক্ষণ হেঁটে তারপর জমির খেতের দিকে একটু রোদ পোহাতে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম কয়েকজন মিলে কলাই শাক তুলছে। আমি বেশিক্ষণ ওখানে আর থাকিনি কারণ ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে গিয়ে ছিলাম আমাকে ঘুম থেকে উঠে না দেখলে খুব কান্না করবে তাড়াতাড়ি করে বাড়িতে চলে গেলাম। বাড়িতে আসলাম যে ভয়টা পেয়েছিলাম সেটাই হলো সেই ঘুম থেকে উঠে আমাকে না পেয়ে ওর নানি আপুর কোলে বসে অনেক কান্নাকাটি করছিলো। তারপর ছেলেকে কান্না থামানোর জন্য আমাদের সামনে রাস্তায় হাটাহাটি করলাম।

💗সন্ধ্যা +রাত💗

IMG_20240116_185138.jpg
IMG_20240116_184652.jpg

ছেলেকে সান্তনা করতে করতে মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। নামাজটা পড়ে নিলাম এবং ছেলেকে ওর বোনের কাছে রেখে গেলাম। নামাজ শেষ করে সন্ধ্যা বেলা ছেলেকে এক পিস কেক খাইয়ে দিলাম এবং মেয়েকে কিছু খেতে দিলাম। ছেলেকে খাইয়ে দিলাম তারপর ওর নানি আপুর পাশে বসিয়ে দিলাম সে তফছি তুলছিল। তারপর আমার ছেলে যেটা করলে ওর আপুর কাছ থেকে তফছি নিয়ে সেও ঘুনতে শুরু করলো এবং মুখ দিয়ে কি যেন বিড়বিড় করছে আর এক একটা করে তব্জির দানা টানছে ঠিক ওর নানি আপুর মতো । সেই সময় আমি ওর একটা ফটোগ্রাফি করলাম। ওর এইসব বুদ্ধিমতী কাজ দেখে আমি আমার কাজে লেগে গেলাম এবং পোস্ট লিখতে শুরু করি। আর মনে মনে ভাবছি আজকে সকাল থেকে কি কি করেছি। সেগুলো ভাবতে ভাবতে লিখতে শুরু করলাম।

৮:৩০ টার ভিতরে আমার পোস্ট লেখা কমপ্লিট হয়ে গেল এবং এশার নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দিলাম ওকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরাও খেতে গেলাম। আমরা খেতে খেতে আব্বুর চলে আসলো এবং তাকেও খেতে দিলাম। খাওয়া দাওয়া করার বেশি রাত জাগলাম না সাড়ে নয়টার ভিতরে যার যার বিছানা ঘুমাতে গেলাম। আজকের পোস্ট লেখা আমার এখানেই শেষ।

আমার পরিচিত ধৈর্য সহকারে পড়া যাবে সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন (আল্লাহ হাফেজ)
Sort:  
Loading...
 2 years ago 
  • ঠিকই বলেছেন আপনি শীতের দিনে শীত লাগবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইদানিং অসহনীয় শীত লাগছে একেবারে হাড় কাঁপানো শীত। আপনি খুব মজার একটি পিঠে দিয়ে নাস্তা করেছেন রসে ভেজানো পিঠা। যা আপনার বোন বানিয়ে পাঠিয়েছে। দুপুরের খাবারটা বেশ ছিল। আপনার মেয়ের কাছে ছেলেকে দেখে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলেন। আরো কিছু কর্মকাণ্ড করলেন সারাদিন। আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালোই কাটলো আপনার দিনটি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
 2 years ago 

আজ সকালে বোনের হাতের পিঠা খেয়েছেন।। আপনার বউ পিঠা বানিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল আর সেটা ফ্রিজে রেখেছে আর সকালে গরম করে খেয়েছেন।। আজ আক্তার মা মাদ্রাসায় গিয়েছিল কারণ সেখানে মিটিং ছিল।। আর সেই কারণে দুপুরের রান্না নিজেই করেছেন।। আর বিকালে বাইরে বের হয়েছিলাম সেখানে কিছু মানুষ কলাই শাক উঠাছে কিন্তু আমি কালাই শাক চিনতে পারলাম না আপু।।।

 2 years ago 

আহা ভাই এটা কি বলেন আপনার এত কৃষি কাজ করেন তো চিনতে পারলেন না। তাহলে আমার মনে হয় আপনাদের এলাকায় কেউ তেমন একটা মন বেশি চেনে না । যদি শাকগুলো না চিনেই থাকেন তাহলে আমি আর একদিন আমার পোষ্টের কলাই শাকের ফটো শেয়ার করব।

ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।

 2 years ago 

হয়তো আমাদের এখানে এদিকে অন্য নামে ডাকতে পারে।। আর হ্যাঁ অপেক্ষায় রইলাম আপনার কালাই শাক দেখার জন্য।।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

ইদানিং একেবারে হাড় কাঁপানো কাপানো শীত পড়ছে। যা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। তবে শীতের দিনে যদি রসের পিঠা পাওয়া যায় তাহলে তা সোনায় সোহাগা। আপনি সকালে নাস্তা সেরেছেন পিঠা দিয়ে। অতঃপর দুপুরের রান্না আপনি নিজেই করলেন। আপনার ছেলে নানুর তসবি নিয়ে খুব মজা করলো। ছেলেকে নিয়ে আপনার সারাদিন কেটে যায়। খুব ভালো লাগলো আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়ে।

 2 years ago 

আসলে শীতের সময় শীত লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরেও এত পরিমাণে ঠান্ডা যেটা সহ্য করার বাহিরে। বিশেষ করে আমরা যারা সংসারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তাদের জন্য অবস্থা একেবারে খারাপ সারাক্ষণ পানির কাছাকাছি আমাদেরকে থাকতে হয়।

আজকে আপনি আর আপনার ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে তার পাশে শুয়ে পড়লেন না। আপনি বাহিরে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করেছেন এবং আপনাদের জমিন গুলো দেখে এসেছেন। সে আপনার আম্মুর সাথে বসে তফছি পড়ছে এটা খুবই ভালো। কেননা মুসলমান হিসেবে জিকির করা আমাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

শীতের সময় শীত লাগবে এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার তবুও আমাদের সংসারে কাজ করার জন্য শীতকে ভয় না পেয়ে নিজেদের কাজগুলো চালিয়ে যেতে হয়। সব সময় শুয়ে বসে থাকি কিছু ভালো লাগে না তাই ভাবলাম একটু জমির দিক থেকে হেঁটে আসি। আর আমার ছেলে তফছি পড়াটা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো তার জন্য আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম। একজন মুসলমান হিসেবে কাজটাই করা আমাদের সকলের উত্তম।
থ্যাঙ্ক ইউ আপু আমার পোষ্টে ধৈর্য সহকারে পরে আপনি খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।

 2 years ago 

শীতের তীব্রতা আজকে থেকে একটু কমতে শুরু করেছে, যদিও গ্রামে এর তীব্রতা অনেক বেশি।

এরকম টাটকা খেজুর রসের পিঠা মানেই যেন শীতের আসল মজা। খুব ই লোভনীয় মনে হচ্ছে।

মাশাল্লাহ আপনার ছেলেও তসবি জপসে যেটা জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো।

 2 years ago 

আজ আপনার দিনটা খুব সুন্দর ,ভাবেই কেটেছে। আপনাদের যেহেতু চলে এলাকা ওখানে খুব একটা খেজুরের রস পাওয়া যায় না বললেই চলে তাই আপনার বোনের বাসা থেকে রস দিয়ে পিঠা বানিয়ে পাঠিয়েছে।
ছেলে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ করে। পিঠে দিয়ে সকালের নাস্তাটা সেরে নিলেন। যেহেতু আপনার ভাইয়ের মাদ্রাসায়, গার্জিয়ানদের ডেকেছিল সেখানেই আপনার মা গিয়েছিল, আর তাই আপনি আজ দুপুরের রান্নাটা করে নিলেন।
বিকালে ছেলেকে ঘুমে রেখে মেয়েকে নিয়ে একটু হাঁটতে বের হলেন এবং জমির কাজ পর্যন্ত চলে গেলেন পোহানোর জন্য। স্বপ্নে নিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন কেটেছে আপনার। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনার ১৬ই জানুয়ারির কাটানো দিনের কার্যলিপি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছেন ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন শীতের দিনে তো শীত লাগবে এটা স্বাভাবিক। আপনার পোস্ট পড়লে সব থেকে বেশি ভালো লাগে আপনি শত ব্যস্ততার মাঝেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।

 2 years ago 

তবে ঠিক তো শীতের দিনে তো শীত লাগবেই। মুসলমান হিসেবে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব ততটুকু তো পালন করতেই হবে। তাই শত ব্যস্ততার মাঝে কাজকর্ম রেখে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে আমাদের। আশা করি আপনি এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন।
থ্যাঙ্ক ইউ খুব সুন্দর একটি মতামত দিলেন আপনার।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.35
JST 0.034
BTC 114840.64
ETH 4533.50
SBD 0.85