Better Life With Steem || The Diary game || 16/07/2024
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, ভোরের আলো ফুটতেই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পড়ি। উঠে হাত মুখ ধুয়ে ওযু করে ফজরের নামাজ পড়ি । নামাজ পড়ে আধা ঘন্টার মতন শুয়ে থাকি। যখন দেখি ৭ টা বেজেছে তখন শোয়া থেকে উঠে রান্নাঘরে চলে যাই।
রান্না ঘরে গিয়ে প্রথমে থালা-বসন গুলো ধুয়ে তারপর সকালের নাস্তা বানানোর কাজে লেগে পড়ি। সকালের নাস্তার জন্য রুটি আর ডাল ভুনা করেছি। রুটি বানাতে গিয়ে পুরো শরীর ভিজিয়ে গেছে, শরীর থেকে টপটপ করে ঘাম পড়ছে। রুটি বানানোর শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে আবার ফ্যানের নিচে কিছুক্ষণ শুয়ে পড়ি। এরপর কিছুক্ষণ পর দেখি একে একে করে সবাই ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে এসেছে, তারপর আমি শোয়া থেকে উঠে তাদেরকে সকালে নাস্তা খেতে দিয়ে এবং আমিও খাই।
সকালের নাস্তা একগাদা খেয়ে আবার দুপুরে খাওয়ার জন্য রান্নার কাজে লেগে পড়ি। আজকে দুপুরে রান্না করতে নিয়েছি শুধু গরুর মাংস, সাহেব সবজি এনে দিতে চেয়েছিল আমি বারণ করেছি কারণ সকালবেলা অনেক খানি ডাল ভুনা করেছি, আমি যদি এর ভিতর আবার সবজি রান্না করতে যাই তাহলে ডাল ভুনা গুলো কেউ খাবেনা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই হিসাব করে চলে আর কোন তরকারি রান্না করিনি। শুধু গরুর মাংস, আর সকালে ডাল ভুনা, দিয়েই আজকের দিন টা চালিয়ে নিবো।
আর হ্যাঁ , আর একটা কথা আজকে রান্না করতে অনেক লেট হয়েছে কারণ, কালকে নাকি মাইকে অ্যানাউন্স করে দিয়েছিল আজকে সকালে থেকে কারেন্ট থাকবে না দুপুর দুইটার সময় আসবে। আমি আবার তা শুনিনি, না শোনার কারণে পানি ধরে রাখতেও পারেনি আর ঠিক সময় মত রান্না করতেও পারিনি যখন পানি এসেছে তখন রান্না করেছি।
যাই হোক কারেন্ট দুটার সময় আসার কথা ছিল তার আগে এসে পড়েছে, কারেন্ট আসার পর লাইনে পানি এসেছে পানি ধরে তারপর রান্নাবান্না শুরু করে দিলাম। দুপুরে রান্না শেষ করে তাড়াতাড়ি ছেলেকে নিয়ে গোসল করে এসে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম। ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে তারপর আমি খেতে বসলাম এর ভিতর দেখি সাহেব এবং তার বন্ধু চলে এসেছে। তারপর তাদেরকে দুপুরে খাবার খেতে দিয়ে আমি খেলাম।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমায়নি শুয়ে ফোন ব্যবহার করছিলাম ছেলে - মেয়ে ওরা ঘুমিয়ে গেছে। ফোন ব্যবহার করার মধ্যে লটকনের কথা মনে পড়ল। তারপর শোয়া থেকে উঠে রান্নাঘরে গিয়ে লটকন ভর্তা করে বানিয়ে খেলাম। লটকন ভর্তা খেতে খেতে আসরের আযান দিলো নামাজ পড়ে নিলাম।
মেয়ে বিকেলবেলা ঘুম থেকে উঠে রঙিন কাগজ দিয়ে ইউটিউবে দেখে ফুল বানাতে লাগলো। ফুলটা দেখতে বেশ ভালোই লাগছে দেয়ালে লাগিয়ে দিলো। আসলে ওর হাতে এবং চোখের অনেক গুণ আছে যেটা একবার দেখলে সেটাই নিজে নিজে বানানোর চেষ্টা করে।
এরপর সন্ধ্যা হলো মাগরিবের আজান দিল নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে দুই ভাই বোনকে দুইটা ডিম পোজ করে দিলাম। ওদের খাওয়া হলে পড়তে বসাই,তবে ছেলে বেশিক্ষণ পড়েনি আধা ঘন্টার মতন পড়ে খেলনা নিয়ে খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ও খেলতে লাগলো এই ফাকে আমি এশার নামাজ পড়ে আসি। তারপর ওকে রাতের খাওয়া দাওয়া করাই। ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিয়ে আমরা খেয়ে নিলাম । সাহেব আর ভাইয়ের জন্য ভাত তরকারি ভেরে আমরা শুয়ে পড়ি। তারা তাদের সময় মতন খেয়ে নিবে। আজ আর লিখবো না সবাই সুস্থতা কামনা করে, এখানেই বিদায় নিচ্ছি। (আল্লাহ হাফেজ)
আপনি সারাদিনের সংসারের অনেক কাজ করেছেন, আপনার মেয়ে ইউটিউব দেখে কাগজ দিয়ে ফুল বানানো শিখেছে, আপনার মেয়ের তৈরিকৃত ফুলটা খুব সুন্দর হয়েছে, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।