Better Life With Steem || The Diary game || 15/4/2024
আজ সকালে ঘুম ভাঙলো আব্বুর ফোন পেয়ে, চোখে ঘুম ঘুম নিয়ে ফোনটা রিসিভ করি। ফোনটা রিসিভ করেই একটা সুখবর শুনি, আর সেই সুখবরটা হলো আমার ছোট বোনের বিয়ে মানে আজকে দেখে আন্টি পড়িয়ে যাবে। আর কোরবানির পর তুলে নেবে, এই খবরটা পেয়ে আমার মনের ভিতর একটা আনন্দের কাজ করলো। আর এদিকে এই কয়দিনের তুলনায় আজকে মনটা একটু ভালো কারণ , ছেলে মোটামুটি সুস্থ হয়েছে।
যাই হোক আব্বুর ফোন পেয়ে ঘুম থেকে উঠলাম, এরপর ছেলেকে মুখ ধুয়ে দিয়ে বিছানায় বসিয়ে সামনে দুই পিস বিস্কুট দিয়ে আমি বাসার বাসি কাজগুলো করি। কাজগুলো সম্পূর্ণ করে তারপর ছেলের কাছে কিছুক্ষণ বসে থেকে ওর খাওয়া দেখি ওর খাওয়া শেষ হলে সকালের ওষুধ খাইয়ে দি।
ছেলেকে সকালের নাস্তা ও ওষুধ খাইয়ে দিয়ে, আমি দুপুরের রান্নার কাজে লেগে পড়ি। ভাবছি আজকে ডাল রান্না করব কারণ কালকে দুপুরে সাহেব ভাত খাওয়ার সময় ডাল রান্নার কথা বলছিল। তার সাথে আলু ও গাজর ভাজি আর কাঁচকলা ভর্তা এগুলো রান্নাবান্না করে সব কিছু গুছিয়ে রেখে তারপর গোসল করে আসি। গোসল করে বের হয়েছি এরপরে জোহরের আজান দিলে তারপরে সঙ্গে সঙ্গে জোহরের নামাজ পড়ি।
আর এদিকে সাহেব শুধু ঘুমাচ্ছে এত ডাকাডাকি করছি তারপরে ওঠেনা সে বলে আমার সময় মতন উঠবো।। আজকে সকালে দোকান খুলবে না বিকাল পাঁচটার সময় খুলবে তার জন্য নিচিন্তাভাবে ঘুমাচ্ছে যাইহোক তাকে ডাকাডাকি করে আমি ছেলেকে ভাত খায়াতে বসি। আর এদিকে ছেলেকে খাওয়াতে খাওয়াতে আমার পেটে চড় পড়ে গেছে মানে ক্ষুধায় পেট চো চো করছে।
এরপর সাহেবকে জিজ্ঞেস করি তুমি কি ঘুম থেকে উঠবে, নাকি আমরা ভাত খাব অনেক ক্ষুদা লেগেছে । সে বলে তোমরা খাও আমি এতো তাড়াতাড়ি খাবো না। তারপর আমরা মা মেয়ে খেয়ে পরিপাটি হয়ে থাকি। আমরা খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ রেস্ট করি। এরপর সাহেব তিনটার সময় ঘুম থেকে উঠে গোসল করে আসে আর এদিকে আমি তার জন্য ভাত বেরে রাখি সেগুলো খেয়ে নিল।
দুপুরের খাবার খেয়ে আবার এক-দেড় ঘণ্টা মতো বিশ্রাম নিলে,,এরপর ৪:২০ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়। সাহেব বাসা থেকে বের হওয়ার পর আমি আর ঘুমাই নি,,ঘুমালে আর আসরের নামাজ পড়তে পারবো না তার জন্য কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করি। তারপর আসরের আযান দেওয়া নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে বাহিরের শুকনো কাপড় গুলো এনে গুছিয়ে রাখি তারপর আবার কিছুক্ষণ ছেলের পাশে বসে থাকি।
বসে থাকে থেকে এদিকে মাগরিবের আযান দিলে তারপর ওযু করে মাগরিবের নামাজ পরি। নামাজ পড়ে উঠলাম আর মেয়ে বলে আম্মু খুদা লাগছে, তারপর আমি আটা দিয়ে চাপটি পিঠা বানাই এরপর দুপুরের রান্না করা ভাজি দিয়ে পিঠা গুলো খাই। সন্ধ্যা এগুলো খেয়ে তারপর মা ও ছোট বোনের সাথে কথা বলি।
তাদের সাথে কথা বলা শেষ করে এবং ফোনটা কেটে তারপর আমি পোস্টা লেখা শেষ করি। এরপর আমি এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাত্রের খাবার খাইয়ে দিয়ে ওষুধ খাইয়ে দি। ছেলেকে খাওয়াতে বসলে তো অনেক সময় লাগে তার জন্য আগে আমি নামাজটা পড়ি।সবশেষে আমরা মা মেয়ে রাতের খাবার খেয়ে বিছানা রেডি করে শুয়ে পড়ি।।।
আশা করছি আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে সবাই পড়বেন আর পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
---|
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো। নতুন বছরে বোনের বিয়ের কথা শুনলে কার না ভালো লাগে।আপনার বোনের আজকে এনগেজমেন্ট হবে শুনে আমারও ভালো লাগলো। আসলে যেকারো সুসংবাদ সবার মনে আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে।
কাচাকলার ভর্তা দেখতে খুব লোভনীয় লাগতেছে। আপনার আটার তৈরি চাপাটিও খুব সুন্দর হয়েছে। আমি বানাতে পারি না।আমার জা'কে দেখি খুব সুন্দর করে পাতলা পাতলা করে বানায় কিন্তু আমারগুলো ভালে হয় না।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
দিদি ঠিকই বলেছে নতুন বছরের বোনের বিয়ের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। ঠিকই বলেছেন কাঁচকলা ভর্তাটা দেখতে খুব যে রকম লোভনীয় খেত সেরকম স্বাদ হয়েছিল। চাপটি পিঠা আমার কাছে বেশ ভালই লাগে তাই বানালাম।
ধন্যবাদ দিদি আমার দিনলিপি পরে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।
যাক আপনার পোস্ট পড়ে আমার নিজের অনেক ভালো লাগলো। একসাথে দুইটি খুশির আনন্দ পেয়েছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফোন রিসিভ করে ছোট বোনের বিয়ের খবর শুনেছেন। এদিকে আপনার ছেলে অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।
আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।
সারাদিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন একসাথে দুটোই খুশি সংবাদ শুনে খুব ভালো লাগেছে। তবে এর চেয়ে খুশি হয়েছি আমার ছেলের অসুস্থ থেকে সুস্থ হয়েছে।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন ।
আপনি ছেলে কে সময় মতো ওষুধ খাইয়ে দিলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো।আর আপনার সাহেব ডাল রান্না করতে বলেছেন আর আপনি তাই ডাল এর সাথে আলু ও রান্না করেছিলেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।