Better Life With Steem || The Diary game || 15/07/2024
![]() |
---|
ফোনে এলার্ম ভাজা সত্বেও সকাল বেলা ঠিক সময় মতন ঘুম থেকে উঠতে পারিনি, রাত্রে লেট করে ঘুমানোর কারণে সকালবেলা উঠতে খুব কষ্ট হয়। তবে প্রতিদিন হয়না মাঝেমধ্যে এরকম লেট হয়। তাই আজকেও সকাল সাড়ে সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠি।
![]() |
---|
সকাল সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। এরপর চলে গেলাম কিচেনে সকালে নাস্তা বানানোর জন্য, এই দুইদিন ধরে এতটা গরম পড়ছে সহ্য না করার মতন। তারপরও কিছু করার নেই পেটে দিতে হলে সব কিছু সহ্য করে নিতেই হবে, একদিকে ঘামছি আর রুটি বানাচ্ছি। রুটি বানিয়ে আজকে আর ভাজি করিনি কালকের পটল তরকারি ছিল ওগুলো দিয়ে খেয়েছে আর চা বানিয়ে ছিলাম।
![]() |
---|
সকালের নাস্তা শেষ করে কিছুক্ষণ শুয়ে শরীরটা ঠান্ডা করি। আধা ঘন্টার মতন শুয়ে থেকে তারপর আবার যাই রান্না ঘরে। রান্না করার সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না করতে শুরু করে দিলাম। আজকে দুপুরে রান্না করেছি বেগুন পটল ভাজি, ডাল ভুনা, আর পুঁইশাক, সব তরকারি রান্না করে তারপর চালটা ধুয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এদিকে ভাত হতে লাগল আমি এবং ছেলে গোসল করে আসি।
![]() |
---|
গোসল করে এসে জোহরে নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দি, ওকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেই তারপর আমিও খেলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলের পাশে শুয়ে থাকি আর ফোন ব্যবহার করি। তবে বেশিক্ষন ফোন ব্যবহার করিনি, ১০-১৫ মিনিটের মতন ফোন ব্যবহার করে আমিও ঘুমিয়ে পড়ি।
![]() |
---|
এরপর ঘুম থেকে পাঁচটা দশে উঠে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পরে উঠেছি এর ভিতরে ভাইয়া চলে আসে মানে সাহেবের বন্ধু, সাহেব আজকে দুপুরে ভাত খেতে আসেনি ভাইয়া এসেছে তাও সাড়ে পাঁচটার সময়। আর হ্যাঁ, ভাইয়া আসার সময় আম ভর্তা নিয়ে এসেছে যেটা দেখে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি আর খেতে খুব মজা লেগেছে। ভাইয়াকে ভাত খেতে দিয়ে আমি রুমে এসে আমের ভর্তা খেলাম।
তার খাওয়া শেষ হলে সব গুছিয়ে রাখি। এরপর ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেলো ওকে নিয়ে বাসার ভিতরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের হাঁটাচলা দেখি। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর মাগরিবের আযান দিলো এরপর ছেলেকে বসিয়ে রেখে ওযু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি।
![]() |
---|
মাগরিবের নামাজ পড়ে ওঠা মাত্রই দেখি সাহেব বাসায় এসেছে, তারপর সন্ধ্যার নাস্তার জন্য কয়েকটি রুটি বানিয়ে সাহেবকে ডাল ভুনা দিয়ে খেতে দিলাম। আমি ওগুলো খাইনি আমি আম কেটে খেলাম, আর ছেলে মেয়েকে ডিম পোজ করে দিলাম।
সন্ধ্যার নাস্তা করে ছেলেকে পড়তে বসাই, ওকে পড়তে বসালে আমাকে উল্টা পড়ায়। এরপর কিছুক্ষণ ওকে পড়াশুনা করিয়ে, আমি আমার পোস্টে লিখতে শুরু করি। পোস্ট লেখা কমপ্লিট করে এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি। ছেলের খাওয়া শেষ হলে সাহেবকে জিজ্ঞেস করি রাতে খাবার এখন খাবে কিনা,তারপর সে বলে এখন খাবো না আমার জন্য ভাত বেড়ে রেখে আর তোমরা খেয়ে শুয়ে পড়ো। এরপর আমি সেটাই করি আমরা খেয়ে তার জন্য ভাত বেড়ে রেখে শুয়ে পড়ি।। আজ আর লিখবো না সবাই সুস্থতা কামনা করে, এখানেই বিদায় নিচ্ছি। (আল্লাহ হাফেজ)
আমরা মাঝে মাঝে বেশি ঘুমের কারণে মোবাইলে এলাম বাজলেও ঘুম থেকে জাগ্রত হতে পারি না, বিশেষ করে রাতে যখন দেরিতে ঘুমায় তখন সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয়, আপনার আমের ভর্তা দেখে খেতে মন চাইলো, আম যখন বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভর্তা করা হয় তখন সে আম অনেক সুস্বাদু হয়, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সারাদিনে কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এবং আপনার রান্নার রেসিপিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপু
অনেক সময় ফোনের এলাম বাজার সত্বেও ঘুম ভাঙতে চায়না। আপনি সারাদিন অনেক রান্না করেছেন। রান্না করা একটা খুব পরিশ্রমের কাজ। তবে আমের ভর্তা হয় এই প্রথমবার শুনলাম। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।