Better Life With Steem || The Diary game || 12/2/2024

in Incredible India2 years ago

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

GridArt_20240213_191716155.jpg

আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার গতকালকের সমস্ত কাটানো সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চাই।

সকালবেলা
IMG_20240213_164731.jpg

সকালবেলা সাড়ে পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ওযু করে ফজরের নামাজ আদায় করি। আর এই কয়েকদিন ধরে অনেকটাই শীত লাগছে তাই মাকে বলি চা করতে তারপর আমার রং চা করে এবং দুটি বিস্কুট দিয়ে খেয়ে নিলাম। আজকে নামাজ পড়ে আর শুয়ে থাকিনি কারণ আমাকে আমার শ্বশুরবাড়িতে যেতে হবে কিছু জিনিসপত্র আনার জন্য। কারন আমার সংসারের জিনিসপত্র সবগুলো আমার শ্বশুরবাড়িতে কয়েকদিন পর ঢাকা যাব তার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে হয় সেজন্য আমার বোনকে নিয়ে যাবো।

প্রথমে ভেবেছিলাম আমার ছোট বোন এবং আমি যাব আর ছেলেকে রেখে যাব ও অসুস্থ গাড়ির ঠান্ডা বাতাসটা ওর শরীরে লাগলে আরো সমস্যা হবে। তারপর আর ছেলেকে রেখে যেতে পারলাম না কারণ আমাকে দেখে এত পরিমাণ কান্না করছে যে তারপর মা বলে আমি ওকে কি ভাবে রাখবো এরকম সারাদিন কান্না করবে আর আরো শরীর অসুস্থ।

IMG_20240213_164837.jpg

আর ছেলেকে নিয়ে গেছি অনেক ভালোই হয়েছে কারণ আমার বাড়িতে আসতে অনেকটাই সময় লাগছে এতক্ষণ পর্যন্ত মা ওকে রাখতে পারত না। যাই হোক আমার বোন এবং আমি ছেলে তিনজনে মিলে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাস্তা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম তারপর আমার ছোট বোন বলছে আপু একটা সেলফি তুলি তাও সেনাপ চ্যাট দিয়ে। একটা সেলফি তুলেছি এর মাঝে গাড়ি এসে হাজির হলো তারপর গাড়িতে উঠলাম

IMG_20240212_101125.jpg

আমাদের বাড়ির দরজা থেকে গাড়িতে উঠলাম তারপর বাজারে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামলাম। কারন আমার ফোন থেকে টাকা তুলতে হবে সেজন্য একটি বিকাশ দোকান থেকে ফোন দিয়ে টাকা তুলে নিলাম। ফোন থেকে টাকা তুলে তারপর আরেকটা গাড়ি নিলাম একদম আমাদের খেয়াঘাটে পৌঁছে দিল।

IMG_20240212_111106.jpg
IMG_20240212_111101.jpg

খেয়াঘাট এসে দশ মিনিট বসতে হলো এরপর দশ মিনিট পর একটা ট্রলার আসলো তারপর সেই ট্রলার পার হতে আমাদের ১০-১২ মিনিট সময় লাগছে ওপারে গিয়ে তারপর একটা রিক্সা নিলাম রিক্সা নিয়ে বাজারে ৫ মিনিটের মতোন গাড়ি দাঁড় করালাম । কারণ আমার চাচী শাশুড়ির জন্য পান জর্দা বিস্কিট এবং বরই নিলাম। বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে নয়টা বের হয়েছি আর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছি সকাল বারোটায়।

আর আমি শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে তখনও বোরকা খুলে নি কারণ আমার বাজারে একটা খুব প্রয়োজনীয় কাজ ছিল । তাই আমার বোনকে এবং ছেলেকে রেখে তারপর আমি আবার বাজারে যাই। এবং সেখান থেকে আসতে আমার দুপুর একটা বিশ মিনিট সময় লাগছে।

দুপুর +বিকেল

বাজার থেকে আসার সময় আমি ঝালমুড়ি কিনে নিয়ে আসছিলাম তারপর বাড়িতে এসে সেই ঝালমুড়ি খেলাম। আমার কাজে আমি লেগে গেলাম দুটো বোস্তায় ভর্তি করে নিলাম আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো। সেগুলো আমার গুছিয়ে নিতে নিতে সাড়ে তিনটা বেজে গেলো।

IMG_20240212_154002.jpg

তারপর দুপুরে ভাত খেলাম ছেলেকে আর ভাত খেয়াতে পারলাম না আসার সময় ছেলের জন্য কেক নিয়ে আসছিলাম দুপুর বেলা সেই কেক খেয়েছে। ছেলেকে কেক খাইয়ে দিলাম তারপর ছেলেকে রেডি করালাম এবং আমরাও বোরকা পরলাম। আমার চাচী শাশুড়ি আমাদের থাকার জন্য অনেক অনুরোধ করছিল কিন্তু থাকলাম না।ছেলে অসুস্থ আর ছেলের ওষুধ পানি কিছুই আমি সঙ্গে করে নিয়ে আসেনি তাই থাকিনি।

IMG_20240213_190516.jpg

বাসা থেকে বের হয়েছি সাড়ে চারটার সময় এবং খেয়া পেয়েছি পাঁচটার। আসলে আজকে আওয়ার যাওয়ার পথে তেমন একটা ছবি তুলতে পারেনি হাত ভর্তি ব্যাগ বোস্তা ছিল। পাচটার খেয়া পাড়িয়ে ওপারে উঠে একটা গাড়ি নিলাম এবং তাতে ডাবল ভাড়া নিয়েছে আমাদের দুটো বোস্তার কারণে । আমাদের বাড়িতে যাওয়াতে রাস্তা পথে অনেকটাই লেট হয়েছে কারণ সামনে বড় একটা ট্রাক্টার ছিল সেটা পার হতে হতে ৩০ মিনিট লেগে গেল।

সন্ধ্যা +রাত

বাড়িতে আসতে আমাদের সাতটা বেজে গেল আর দেরি হওয়ার কারণ হলো তিনটা গাড়ি আমাদের পাল্টাতে হয়েছে। বাড়িতে এসে পৌছালাম আর প্রচুর মাথা ব্যথা করছিল এতটা মাথা ব্যাথা করছিলো যে মাথাটা পুরো ব্যথায় ফেটে যাচ্ছে। কারণ আমি বেশি জার্নি করতে পারিনা আর আজকে সারাদিন রোদের উপরে জার্নি করতে হয়েছে ।

তাই বাড়িতে আসা মাত্রই আমি শুয়ে পড়েছি আর ছেলের খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ণ মা করিয়েছে । তারপর আমি আটটা সময় শুয়া থেকে উঠে অল্প কিছু ভাত খেয়ে একটা মাথা ব্যাথার ওষুধ খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছি ।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। (আল্লাহাফেজ)
Sort:  

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 2 years ago 

ঢাকায় আসবেন সেজন্য বেশ কিছু জিনিসপত্র নিতে আপনি শ্বশুর বাড়িতে গেলেন। এদিকে আপনার ছেলে অসুস্থ তাই তাকে নিয়ে যেতে হলো। আপনার শ্বশুর বাড়ি যেতে অনেক বার গাড়ি বদলাতে হয় এটা সত্যি খুবই কঠিন ব্যাপার। তারপরও আপনি যথেষ্ট দক্ষতার সাথে সারাদিনের কাজগুলো করে নিয়েছেন। সন্ধ্যায় আবার বাড়ি ফিরে এসেছেন। কিন্তু মাথা ব্যথার কারণে আর কোন কিছুই করতে পারলেন না। সব মিলিয়ে যথেষ্ট পরিশ্রমের একটি দিন গেল আপনার। আপনার প্রতিটি দিন সুন্দর হোক এ কামনা করছি।

Loading...
 2 years ago 

আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আজ বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই দিন পার করেছে।। কয়েকদিন পর ঢাকায় আসবেন তাই এখন থেকেই সবকিছু রেডি করে রাখছেন।। আসলে কোথাও যাওয়ার আগে সবকিছু রেডি করে রাখাই ভালো।। আর ছেলেকে নিয়ে গিয়েছেন এটা অনেক ভালো করেছেন।।

 2 years ago 

এরকম ভেংগে ভেংগে কারো বাসায় যেতে হলে অনেক ঝামেলা আর জঞ্জাল পোহাতে হয়। যাতায়াত ব্যবস্তা এত কঠিন।
বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে আপনাকে এভাবে যেতে দেখে আমার নিজেরই ভয় লাগছে। খুব ব্যস্ত তম একটি দিন পার করেছেন বুঝাই যায়।

Coin Marketplace

STEEM 0.08
TRX 0.30
JST 0.035
BTC 110054.24
ETH 3852.93
USDT 1.00
SBD 0.52