Better Life With Steem || The Diary game || 12/07/2024
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আবারো একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম আলহামদুলিল্লাহ, তবে আজকে চোখে ঘুম ভাঙ্গাতে দেখতে পেলাম বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি পড়ছে, বৃষ্টি পরা সত্ত্বেও প্রচুর গরম পড়ছিল। কিছুক্ষণ জানালার পাশে দাঁড়িয়ে হাতে বৃষ্টির পানি ছোঁয়া লাগালাম এবং উঁচু উঁচু বিল্ডিং গুলো দাঁড়িয়ে দেখলাম।
কিছুক্ষণ জানালার পাশে দাঁড়িয়ে সময় কাটিয়ে তারপর চলে যাই কিচেনে আজকে সকালে থালা-বাসন ধুতে হয়নি, রাতে সবকিছু ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর আমি আমার সকালের নাস্তা বানানোর কাজে হাত লাগাই, আগে আমরা আমাদের পরিবারের চারজন ছিলাম এখন পাঁচজন হয়েছি, তাই বেশি করে একটু নাস্তা বানাতে হয়।। আর পাঁচজন হওয়ার কারণ হলো সাহেবের বন্ধু আমাদের সাথেই থাকে।।
সকালের নাস্তার নয়টার ভিতরে বানানো হয়েছে তখনও সাহেব এবং তার বন্ধু ঘুম থেকে ওঠেনি, ছেলে মেয়ে উঠেছে ওদেরকে নিয়ে আমি সকালের নাস্তা খেয়ে নিলাম। সকালে নাস্তার সাথে ছেলেকে একটা আম কেটে খেতে দিলাম।।
সকালে নাস্তা ৯:৩০ টার ভিতরে শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে দুপুরে রান্নাবান্নার কাজে লেগে পড়ি। রান্না করার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না করতে শুরু করি। আজকে রান্না করেছি পুই শাক, আর ঢেঁড়স ভাজি, একটার মধ্যে রান্নাবান্না সবকিছু কমপ্লিট হয়ে গেল। এদিকে সাহেব এবং তার বন্ধু গোসল করে দুইজনে মিলে মসজিদে নামাজ পড়তে চলে গেল। ছেলেকে নিতে চেয়েছিল, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে নিতে পারেনি।
তারা বাসা থেকে বের হওয়ার পরেই আমি গোসলে চলে যাই, গোসল করতে গিয়ে সাহেব এবং তার বন্ধুর কতগুলো কাপড়-চোপড় ধুয়ে, তারপর গোসল করি। গোসল শেষ করে জোহরের নামাজ পড়ি আমার নামাজ পড়ার ভিতরে তারা এসে গেল, এরপর নামাজ পড়া শেষ করে তাদেরকে দুপুরে খাবার খেতে দি। এদিকে তাদেরকে খাবার খেতে দিয়ে আমি ছেলেকে খাইয়ে দি, ছেলের খাওয়া শেষ হলো সাহেব এবং তার বন্ধুর খাওয়া হলো তারপর আমি খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খানাদানা শেষ করে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি।। দুপুরে খানা খাওয়ার পর বিকেল বেলা ঘুমানোর একটা অভ্যাস হয়ে গেল, আমার চেয়েও ছেলের অভ্যাসটা বেশিও খাওয়ার পরেই ঘুম আসে। যাইহোক ছেলে মেয়ের সঙ্গে আমিও ঘুমিয়ে পড়ি।
ঘুম থেকে উঠেছি আসরের ১০ - ১৫ মিনিট আগে, বাহিরে বৃষ্টি ছিল এবং হালকা হালকা বাতাস ছিল তাই বিকেল বেলা ঘুমটা একটু গভীর হয়েছিল আসরের নামাজ পড়তে পারিনি।। কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান দিল ওযু করে মা-মেয়ে একসাথে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ শেষ করার কিছুক্ষণ পর মেয়ে বলে আম্মু ক্ষুধা লেগেছে চিনি পড়াটা বানাবো তবে তুমি না আমি নিজের আজকে বানাবো। আমি আর না বলিনি নিজেই আগ্রহ করে বানাচ্ছে আর কাজ শেখাটাও খুব ভালো তাই, বারন না করে ওর হ্যা তে হ্যাঁ মিলিয়ে দিলাম। তারপর কিছুক্ষণ পর দেখি পরোটা বানিয়ে আমার সামনে নিয়ে এসেছে এবং খেয়ে দেখলাম ভালোই হয়েছে। আর ছোটদের কাজের সবসময় ভালোই বলতে হয় তাহলে ওদের কাজ করার উৎসাহটা বেড়ে যায়।
মেয়ের বানানো পরোটা দিয়ে সন্ধ্যার নাস্তা করে নিলাম। এরপর আমি পোস্ট লিখতে বসি আজকের পোস্ট লেখাটা নয়টার আগেই শেষ করেছি কারণ, আজকে আমাদের সাপ্তাহিক হ্যাংআউটের অনুষ্ঠান হবে। তাই নয়টা বাজলে ক্লাসে জয়েন্ট করি।। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল, সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মতন এখানেই শেষ করছি।। (আল্লাহ হাফেজ)
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আজকে আপনার সারাদিনের কাজকর্ম আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন এবং বৃষ্টির যে কিছু মুহূর্ত আপনি আমাকে সাথে শেয়ার করছেন সেগুলো অনেক সুন্দর ছিল এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
জানালার পাশে দ্বাড়িয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখতে ভালোই লাগে, বাড়িতে মানুষ বেশি থাকলে রান্না একটু বেশিই করতে হয়, আপনার সাহেবের বন্ধুর জন্য ভাল রান্না করেছেন, আপনার মেয়ে নিজেদের থেকে রান্না শিখছে এটা খুব ভাল দিক। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার বাসায় সদস্য সংখ্যা একজন বেড়ে গিয়েছে। আপনার হাসবেন্ড এর বন্ধু আপনাদের সাথে থাকছে এজন্য। দুপুরের খাওয়া শেষ করে ছেলে মেয়েকে নিয়ে একটু ঘুমিয়েছিলেন৷ কাজের ফাঁকে একটু রেস্ট নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আপনার কিন্তু খুব কাজের।
প্রতিদিনের মতো আজকেও সকালের কাজগুলো সেরে নিয়ে যাক আর হ্যাঁ আমগুলো দেখতে বেশ লবণীয় ছিল ।। বর্তমান সময়ে আমের সিজন শেষের পথে তারপরও বাজারে সব সময় আম পাওয়া যায়।। আমারও বিকালে ঘুমানোর একটা অভ্যাস আছে।।
বাহ্ মেয়ের হাতের বানানো চিনির পরোটা খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আপনার। আসলেই বাচ্চাদের যে কোনো কাজে বড়দের উৎসাহ দেওয়া উচিত, যাতে তাদেরও কাজের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। সন্তানের তৈরি করে দেওয়া যে কোনো জিনিসই বাবা-মায়ের ভালো লাগবে এটা খুব স্বাভাবিক। তবে ভালো না লাগলেও সব সময় তার কাজকে ভালো বলা উচিত এবং আরও কিভাবে ভালো করা যায়, সেটা শেখানো উচিত। ভালো লাগলে আপনার পোস্ট পড়ে। ভালো থাকবেন।