Better Life With Steem || The Diary game || 11/12/2023

in Incredible India2 years ago

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

হ্যালো স্টিমেট বন্ধুরা

GridArt_20231211_224124854.jpg

প্রথমে আপনাদেরকে বলতে চাই। আজ রাত দশটা নাগাত পোস্ট লিখতে বসেছি। কারণ শরীরটা ভালো লাগছে না আর মনটাও অনেক খারাব কারন আমার ফুফু অনেক অসুস্থ। তাকে দেখতে গিয়েছিলাম দেখে আরো ভীষণ কষ্ট লাগলো। ভাবছিলাম আজ মনে হয় পোস্ট লিখতে পারবো না৷ তারপর আবার ভাবলাম পোস্ট না লিখলেও ভালো লাগবে না। সেই কথা ভেবে রাত দশটার সময় পোস্ট লিখতে বসলাম।

তো এবার জানবো সকল বন্ধুরা কেমন আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সারাদিনে সকল কার্যক্রম ও ভালো-মন্দ মুহূর্তগুলো তা বিস্তারিতভাবে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।


সকালবেলা
IMG_20231211_213535.jpg

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা হিসেবে এক পিচ কেক খেয়ে নিলাম। আমি খেয়ে ছেলেকে খাওয়াতে বসলাম ওকে খাওয়াতে গেলে কত যে সময় লাগে তা তো বলার বাহিরে। অবশেষে ওকে খাওয়াতে পেরে আমি বন্ধুদের পোস্টে কিছু কমেন্ট করলাম। কয়েকটি কমেন্ট করে তারপর সকাল বেলার কিছু কাজ ছিল ওগুলো করলাম। ছেলেকে স্কুলে নিয়ে গেলাম আর ওর পাশে অনেকক্ষণ বসে থাকলাম। প্রায় এক ঘন্টার মতন স্কুলে আছিলাম। আমি ওকে রেখে চুপি চুপি আসতে লাগলাম ওমনি আমাকে দেখে ফেলল এবং কান্না করে দিল আমার সাথে আসবে। তারপর আমি আর কি করবো ওকে নিয়ে এসে পড়লাম। ও ওদিকে খেলনা নিয়ে খেলছিল আর আমি এদিকে ফোনে কিছু কাজ করলাম। যাইহোক আজকে সকাল বেলার মুহূর্তগুলো এরকম ভাবে কাটলাম ।

দুপুর+ বিকেল

মা রান্নাবান্না করার জন্য সব কিছু গুছিয়ে নিলো। আর আমি এদিকে পাতিলে চাল নিয়ে ধুয়ে এনে চুলার উপরে পাতিল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিলাম। তারপর আর সবগুলো কাজ মা করল। এদিকে প্রায় বারোটা বেজে গেল আর আমি ছেলেকে গোসল করে আনলাম জুতো জামা কাপড় সবকিছু পড়িয়ে উঠানে হাঁটতে দিলো। তারপর আমিও গোসল দিয়ে আসলাম। ওর খেলার ছলে আমি জোহরের নামাজও পড়ে নিলাম। তারপর ফোনের কার্টুন দেখিয়ে দুপুরের ভাত খাই এবং ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি এদিকে ছেলেকে ঘুম পড়ালাম আর মা গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে নিলো । তারপর ভাত ভেরে আমাদের সবাইকে ডাক দিল তো খেতে গেলাম।

IMG_20231211_212031.jpg

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম এবং ছেলের পাশে শুয়ে থাকলাম। তারপরে কিছুক্ষণ পর মা বল তোর ফুফুদের বাড়িতে যাবে সে অনেক অসুস্থ। তার অসুস্থ কথা শুনে আমি যেতে রাজি হলাম এবং তখন ছেলে ঘুমিয়ে ছিল। তারপর ওকে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম। ঘরে দেখার মতন কেউ আছিল না সবাই খেলাম তার জন্য ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম। গিয়ে দেখলাম ফুফুর ছেলে মেয়েরা তার পাশে বসে কান্না করছিল। তারপর ওগুলো দেখে মনটা ভীষণ খারাপ লাগছিল। তা ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে এবং আরো কয়েকটি রোগ ধরা পড়েছে রক্তস্বল্পতায় ওর অনেক কম । তার জন্য পাঁচটা চেকআপ করেছে। ওখান থেকে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল।

সন্ধ্যা+ রাত
IMG_20231211_182520.jpg

হাত মুখ ধুয়ে অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর ছেলে সন্ধ্যা বেলা কি খাবে কি খাবে বলে একটা ডিম পোজ করে দিলাম। ছেলে খেতে লাগল এবং ওর পাশে বসে আমি ওর খাওয়া দেখছিলাম। আর আমি এদিকে কয়েকটি কমেন্ট করলাম। তারপরে এশার নামাজ পড়ে সবাই ভাত খেয়ে নিলাম। ভাত খাওয়া শেষ করে রাত ৯ টা বাজে ডিসকর্ডে ভয়েস কলে গেলাম। ১০-১৫ মিনিটের মতন কথা হল। তারপর আব্বা রাত ৯:৪৫ এ আসলো সে ভাত খেলো কিছুক্ষণ কথা হল তারপর দশটা নাগাতে আমি পোস্ট লিখতে বসলাম।

বন্ধুরা আজ পর্যন্তই আর নয় আশা করি আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে সবাই পড়বেন। পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ থ্যাঙ্ক ইউ (আল্লাহ হাফেজ)
Sort:  

আপনি সকালে উঠে নাস্তা হিসাবে এক পিস কেক খেলেন, তারপর বন্ধুদের পোস্টে কমেন্ট করলেন। দুপুরে আপনি চাল ধুয়ে পাতিলে বসিয়ে দিলেন, দুপুরে গোসল করে আপনার ছেলেকে কার্টুন দেখিয়ে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন। সব মিলিয়ে একটা সুন্দর দিন অতিবাহিত করেছেন।

 2 years ago 

ধন্যবাদ জানাই আপনাকে আমার পোষ্টের সম্পূর্ণ পরে আপনি খুব সুন্দর একটি আপনার মতামত জানিয়ে দিলেন থ্যাংক ইউ।

 2 years ago 

আপনার ছেলেকে খাওয়াতে সময় লাগে আর আমার মাকে খাওয়াতে গেলে সময় লাগে। শীত চলে এলো তবু ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে না। আমাদের এখানেও একই অবস্থা। এটা খুব মারাত্মক জ্বর, প্লেটলেট কমে যায় অস্বাভাবিক হারে। আপনার ফুফু খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই শুভকামনা রইলো।

Loading...
 2 years ago 

আপনার প্রথমে ধন্যবাদ জানায়,, আপনার মনের অবস্থা খারাপ থাকার সস্তেও আপনি যে পোস্ট করেছেন। আপনার ফুফুর জন্য দোয়া রইল, আল্লাহ যেন তাকে সুস্থতা দান করে। আপনার মতো আমার একই অবস্থা ছেলে অসুস্থ, তাকে সময় দেওয়া তার পর পোস্ট করা খুব কষ্ট কর হয়ে যাচ্ছে,, রাত ২ টার সময় দেখি ছেলের শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তখন উঠে ঔষধ খাওয়া দেয়। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আসলে পরিবারকে অসুস্থ থাকলে মাথায় ভীষণ চিন্তা থাকে। তবে আপনার কমেন্টের মাধ্যমে আমি জানতে পারলাম আপনার ছেলের অনেক শরীলে জ্বর এবং জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে তারপর রাত দুইটা সময় ওষুধ খাইয়ে দিলেন। আপনার ছেলে যেন সুস্থ কামনা করে তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে যায়।
থ্যাঙ্ক ইউ আমার পোস্টি আপনি পড়ে আপনার সুন্দর একটি মনের মতামত জানিয়ে দিলেন।

 2 years ago 

পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে মন কখনোই ভালো থাকে না। আপনার ফুফু অসুস্থ তাকে দেখতে গিয়ে হয়তো বা উনার অবস্থা দেখে আপনার মনটা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে। আসলে অসুস্থ আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে পাওয়া একটা নেয়ামত। আমি জানিনা তুমি বর্তমানে কেমন আছেন। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনার ফুফু খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।

আপনি আপনার মায়ের রান্নাবান্নার কাজে সাহায্য করে থাকেন। এবং আপনার সন্তানকে সব সময় যত্ন নেয়ার চেষ্টা করেন। একজন আদর্শ মায়ের এটাই গুনাগুন যদিও মনটা খারাপ তার পরেও পরিবারের সাথে আপনার দিনটা বেশ ভালই কেটে গেল। এভাবেই ভালো কাটুক ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

আসলে পরিবারই কেউ অসুস্থ থাকলে কোন কাজে মন দেওয়া যায় না শুধু চিন্তাটাই মাথায় ভেসে উঠে। থ্যাংক ইউ আপু আমার পোষ্টি পরে আপনার মতামতে জানিয়ে দিলেন।

 2 years ago 

আসলে কেউ অসুস্থ থাকলে মন মেজাজ ভালো লাগে না। মাথার ভিতরে শুধু চিন্তাটাই ভেসে ওঠে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে আপনি পড়ে খুব সুন্দর একটি আপনার মতামত জানিয়ে দিলেন।

 2 years ago 

আপনার ফুফুর সুস্থতা কামনা করছি। আপনি অসুস্থ থাকার পরেও নিজের কাজের বেলায় অনেক দ্বায়িত্বশীল। আপনি সারাদিন অনেক কাজ করেছেন। বাচ্চাদের খাওয়াতে গেলে রীতিমতো যুদ্ধ করা লাগে। তার পিছন পিছন ঘুরে খাওয়ার খাওয়াতে হয়। সারাদিন আপনি অনেক কাজ করেছেন তা আপনার আলোচনায় ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে আপনার সুন্দর একটা দিনের সময় গুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আমার পোস্টে আপনি সম্পূর্ণ পড়ে আপনার সুন্দর একটি মতামত আপনার কমেন্টে জানিয়ে দিলেন থ্যাঙ্ক ইউ।

 2 years ago 

বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে তার পেছনেই সারাটা দিন কেটে যায়,আপনারও দিনের বেশির ভাগ সময় আপনার ছেলের সাথে কেটেছে।
দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে আপনার ফুপু কে দেখতে যান।।
শুনে অনেক খারাপ লাগলো যে উনি অনেক অসুস্থ। আল্লাহ তাআলা উনার সহায় হোন।
ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

থ্যাংক ইউ আপু আমার পোস্টটি পড়ে আপনার সুন্দর একটি মতামত জানিয়ে দিলেন।

এটা জেনে খারাপ লাগল যে আপনার ফুফু অনেক অসুস্থ। আসলে পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কেউ অসুস্থ থাকলে খুব খারাপ লাগে।আপনি আপনার বাচ্চা কে স্কুলে দিয়ে আসার সময় দেখে ফেলে এবং কাঁদতে আরম্ভ করে।আসলে বাচ্চারা এরকমই। রাতে বাবুকে খাইয়ে ডিসকর্ডে আলোচনায় যোগদান করলেন।আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি কার্যলিপি শেয়ার করার জন্য। আপনি সারাদিনে যা যা করেছেন সবকিছু আমাদের মাঝে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন। আপনার আগামী দিনগুলো যেন ভালভাবে কাটে তার জন্য শুভকামনা রইল ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ে খুব সুন্দর ভাবে বিস্তারিত করে কমেন্ট করলেন থ্যাঙ্ক ইউ।

 2 years ago 

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা হিসেবে এক পিস কেক খেয়ে নিলেন। এরপরে ছেলেকে স্কুলে নিয়ে গেলেন।ছেলে আপনাকে ছেড়ে এক মুহূর্ত থাকতে চায় না এটি বোঝা গেল।এরপরে বাড়িতে ফিরে এসে ভাত রান্না করে নিলেন। ছেলেকে গোসল করিয়ে খেলতে দিয়ে নিজেও গোসল করে নামাজ পড়ে নিলেন। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলেন।অতঃপর বিকেলে আপনার ফুফু অসুস্থ এই খবরটা শুনে জলদি তাকে দেখতে গেলেন। ফুফু কে দেখে আপনার খুব মন খারাপ হলো। এরপর সন্ধ্যার পরে আবার বাড়ি ফিরে আসলেন ।আপনার বাবা আসলে রাতের খাবার খেয়ে নিলেন।অতঃপর আপনি পোস্ট লিখতে বসলেন। এভাবে সন্তানকে নিয়ে আপনার এমনিতে প্রতিদিন ব্যস্ত সময় যায়। আর আজকে আপনার ফুফুকে নিয়ে আপনার মন খারাপের দিন পার হলো।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.034
BTC 110975.24
ETH 4409.28
SBD 0.83